সাগরে জেলেদের জালে ধরা পড়ছে রূপালী ইলিশসহ নানা প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ। ৬৫ দিন বন্ধ শেষে বন্যাসহ বৈরী আবহাওয়ার কারণে জেলেরা নিয়মিত সাগরে মাছ ধরতে যেতে পারেনি। এরপরেও গত বছরের রেকর্ড ছাড়িয়েছে মাছ আহরণ। মাছ আহরণ নিয়ে মৎস্য ব্যবসায়ীরা নানা প্রতিবন্ধকতার কথা বললেও পরিস্থিত স্বাভাবিক থাকলেও স্মরণকালের মাছ আহরণের আশংকা করছে মৎস্য অধিদপ্তর।
গেল ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে মাছ ধরতে যাওয়ার ব্যাপক প্রস্তুতি থাকলেও ক’দিন আগের বন্যা ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে সুবিধা করতে পারেনি জেলেরা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় এখন পুরোদমে চলছে মাছ শিকার। মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র ভরে গেছে ইলিশ-রূপচাঁদা সহ নানা প্রজাতির সামুদ্রিক মাছে। মাছ আহরণ ছাড়িয়েছে গত বছরের রেকর্ড।
জেলা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের তথ্য মতে, ২০২৩ সালের আগস্টে মাছ ধরার উপর ৬৫ দিন নিষেধাজ্ঞা শেষে মাছ আহরণ হয়েছিল ৬৫৯ টন। আর এবছর (২০২৪ সালের) আগস্টে আহরণ হয়েছে ৭০৮ টনের চেয়ে বেশি। যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ৫০ টন বেশি। সাগরে পর্যাপ্ত মাছ পড়লেও স্থানীয় বাজারে মাছের দাম কমছে ধীরগতিতে।
মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে মাছ বেশি আসলেও বাড়তি দাম নিয়ে হতাশ ক্রেতারা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বেশি দামে জেলেদের কাছ থেকে মাছ কিনতে হচ্ছে। এছাড়া পরিবহণ ও শ্রমিক খরচসহ নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে মাছের দাম বাড়তি।
ট্রলার মালিক শাহাব উদ্দিন জানান, সাগরে ট্রলার পাঠাতে অনেক টাকার রশদ লাগে। তেলের দাম বেশি। এছাড়া চোরাই পথে ইলিশ পাচারসহ নানা অব্যবস্থাপনার কারণেই মাছের দাম বাড়তি রয়েছে।
জেলা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী জিএম রাব্বানী বলেন, মাছ ধরা ৬৫ দিন বন্ধ শেষে বৈরী আবহাওয়া সহ নানা প্রতিকূলতার মাঝেও গত বছরের তুলনায় এ বছর আগস্টে ৫০ টনের বেশি মাছ অবতরণ হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এই সংখ্যা আরো বাড়বে।
অবতরণ কেন্দ্রে রূপচাঁদাসহ অন্যান্য সামুদ্রিক মাছের দাম কমে আসলেও এখনো তুলনামূলকভাবে বাড়তি’ই রয়েছে ইলিশের দাম। এ নিয়ে ইলিশের বাজারে গুঞ্জন রয়েছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কারণেই এমনটা হচ্ছে। এই ক্ষেত্রে বাজার মনিটরিং জরুরি হয়ে পড়েছে।
সূত্র : পার্বত্যনিউজ