৭১
গবাদিপশু ও হাসমুরগি থেকে উৎপাদিত খাদ্য পণ্য যেমন দুধ মাংস ডিম প্রাণিজ আমিষের প্রধানতম তিনটি উৎস্য, যা মানুষের জীবদ্দশায় পুষ্টির আধার হিসেবে বিশ্বব্যাপী ভূমিকা রাখে। ওয়াস্টিং, স্টান্টিং, আন্ডারওয়েট এই গুরুত্বপূর্ণ তিনটি সূচকে উন্নতি সাধন করতে হলে বাংলাদেশের মানুষের জন্য প্রাণিজাত পণ্য থেকে পুষ্টি গ্রহণ অপরিহার্য। ডিম ও মাংস উৎপাদনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশে মুরগিপালন একটি জনপ্রিয় কৃষি কার্যক্রম, যা দেশের মানুষের পুষ্টি ও কর্মসংস্থানে ভুমিকা রেখে চলছে। মাংসের জন্য জনপ্রিয় ও অনবদ্য একটি উদ্ভাবন ছিল সোনালী জাতের মুরগি, যা ডিএলএসের দুজন (একজন মরহুম কর্মকর্তা এবং অপরজন অবসরপ্রাপ্ত জীবন্ত কিংবদন্তী) কর্মকর্তার একান্ত পরিশ্রম ও আন্তরিক প্রচেষ্টা ও মেধার সম্মিলনে সৃষ্ট এবং পদক পাওয়ার যোগ্য কাজ। অনুরূপ আরেকটি সৃষ্টি হল বাউ মুরগি। এই নিয়ে গবেষণা করছেন বাকৃবির তরুণ অধ্যাপক পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগ ড. মোঃ বজলুর রহমান মোল্লা। তিনি উচ্চতর গবেষনাকাজে নিজেকে ব্যস্ত রেখেছেন, সংগে নিয়েছেন পিএইচডি গবেষক এবং স্নাতকোত্তর ছাত্র-ছাত্রী। বৈজ্ঞানিকভাবে গ্রহণযোগ্য বিভিন্ন প্রজনন পদ্ধতি ও বুদ্ধিমত্তা কাজে লাগিয়ে তিনি কয়েক জেনারেশনে মুরগি উৎপাদন করেন। তিনি এসব বিভিন্ন জেনারেশনের উৎপাদন সক্ষমতা ও অন্যান্য প্যারামিটার মূল্যায়ন করে অধিক ডিম ও অধিক মাংস উৎপাদনে পারঙ্গম জেনারেশন চিহ্ণিত করতে সক্ষম হয়েছেন।
তার এই গবেষনা কার্যক্রমে অর্থায়ন করেছে এলডিডিপি। আমরা বিশ্বাস করি তার গবেষণা ফলাফল দেশের উদ্যোগী মুরগি খামারীদের যেমন উৎসাহী ও আত্ম-বিশ্বাসী করে তুলবে, তেমনি দেশে প্রাণিজ আমিষ উৎপাদন বৃদ্ধিতেও ভুমিকা রাখবে। প্রফেসর ড. মোঃ বজলুর রহমান মোল্লা পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং তার গবেষণাদলের সকলকে জানাই আন্তরিক অভিনন্দন।
লেখক ঃ