১৩.১১.২০২৪ খ্রি.
কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার ধনাইতরী গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা ইকরাম হোসেন। ৬ সদস্যের পরিবার নিয়ে বসবাস তার। তিনি ২০১৮ সালে চাকরি পিছে না ছুটে হালাল পথ হিসেবে পশুর খামার করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। সাথে বেকার সমস্যা দূর করতে প্রাণিসম্পদ খামারে ভবিষ্যৎ অপার সম্ভাবনা আছে বলে মনে করেন। এখন তার খামারে দুইজন কর্মচারী ১৮,০০০ টাকায় মাসিক বেতনে কাজ করছেন।
ইকরাম হোসেনের খামারে বর্তমানে শাহীওয়াল,ফ্রিজিয়ান, দেশি, সব মিলে ২৭ টি গবাদি পশু রয়েছে। এরমধ্যে ০৮ টি বকনা বাছুর আছে। খামারের গাভী থেকে দৈনিক ১১০ লিটার দুধ সংগ্রহ করেন এবং দুধ নিকটস্থ বেকারিতে দিয়ে থাকেন। এসব গবাদি পশুকে দৈনিক খাবার হিসেবে সাইলেজ, ভুট্টা, সয়াবিন, ভুসি, বাজার থেকে নারিশ কোম্পানির খাদ্য নিয়মিত দিয়ে থাকেন। তিনি আরও বলেন, পরিবেশ পরিস্থিতি ঠিক থাকলে ভবিষ্যতে আরো বড় পরিসরে গবাদি পশু খামার করার ইচ্ছা আছে।
খামার পরিচালনা করতে নানা সমস্যা ও আয়-ব্যয় সম্পর্কে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, নিকটতম প্রাণিসম্পদ অফিসে যোগাযোগ করে আমার খামারে প্রত্যেকটি গবাদি পশুকে সঠিক সময়ে ভ্যাকসিন প্রদান করি। তাই রোগবালাই হওয়ার আশঙ্কা খুব কম থাকে তারপরেও মাঝেমধ্যে গ্যাস, পাতলা পায়খানা ছোটখাটো সমস্যা সম্মুখীন হই। এবং আমার খামারটি সার্বিক পরিচালনা করতে বছরে ও ১৯ থেকে ২০ লাখ টাকা খরচ হয়ে থাকে আর বছর শেষে ০১ থেকে ০২ লাখ টাকা লাভ হয়।
সবশেষে, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তর কর্তৃক প্রকাশিত মুদ্রণ সামগ্রী মধ্যে সাইলেজ (গোখাদ্য সংকটে সমাধান), মহিষ পালন, ছাগল পালন, গ্রামীণ পরিবেশে হাস পালন, বর্ষা মৌসুমে তাজা ও ভিজা খড় সংরক্ষণ/সবুজ ঘাস সংরক্ষণ (সাইলেজ) প্রযুক্তি সম্প্রসারণ। ঝুরি/ব্যাগ সাইলেজ, হাইব্রিড ভুট্টা চাষাবাদ পদ্ধতি/ ভুট্টা। গবাদি পশুর প্রধান খাদ্য উপদান, উন্নত জাতের ঘাস চাষ প্রযুক্তি সম্প্রসারণ/উন্নত জাতের ঘাস চাষ, গরুর ইষ্টপুষ্টকরণ প্রযুক্তি। ইউরিয়া মোলাসেস স্ট্র (ইউ এম এস) তৈরির ফর্মুলা, গবাদি পশুর সুষম খাবার তৈরীর উপকরণ ও খাওয়ার নিয়মাবলী বিষয়ক বিনামূল্যে প্রদান করা হয়। এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তরের মোবাইল অ্যাপস “মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য ভাণ্ডার” সম্পর্কেও অবগত করা হয়।
প্রতিবেদনকারী।
খালেক হাসান, কৃষি তথ্য কেন্দ্র সংগঠক
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তর, কুমিল্লা