১৪.১১.২০২৪ খ্রি.
কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার সাকতলা গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা মো. মামুন। পাঁচ সদস্য পরিবার নিয়ে বসবাস তার। তিনি পারিবারিক কৃষি কাজের সাথে সম্পৃক্ত । পাশাপাশি ২০১২ সাল থেকে এখন পর্যন্ত গবাদিপশু পালন করছেন। তার এই গবাদিপশুর খামারটিতে বর্তমানে ফ্রিজিয়ান জাতের ৯ টি গবাদিপশু রয়েছে; এরমধ্যে ২ টি গাভী ও ২ টি বকনা বাছুর রয়েছে। গাভী থেকে দৈনিক ০৮ থেকে ১০ লিটার দুধ সংগ্রহ করে পার্শ্ববর্তী বাসা বাড়িতে দৈনিক বিক্রি করেন। এছাড়াও মো. মামুনের বাড়িতে দেশী প্রজাতির হাঁস এবং মুরগি লালন পালন করেন। তিনি গবাদি পশুদেরকে খাবার হিসেবে নিজ কৃষি জমিতে চাষকৃত কাঁচা ঘাস, নেপিয়ার, জাপানি, ভুট্টা, খড় ও ভুসি খাদ্য তালিকা রাখেন। যার ফলে বাহির থেকে বাড়তি খাবার যোগান দিতে অতিরিক্ত টাকা খরচ করতে হয় না। তিনি বলেন, আমার গবাদি পশুর খামারটি আরো পরিসরে ডেইরি ফার্ম করার খুব ইচ্ছে। এমন সময় মো. মামুনকে তার নিকটতম উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের সাথে যোগাযোগ করে সরকারের বিভিন্ন সাহায্য সহযোগিতা ও প্রাণিসম্পদ অফিসের কর্মকর্তার সুপরামর্শে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ঠিক করতে বলা হয়। এবং খামারটির পরিচালনা করতে সমস্যা ও বাৎসরিক আয়, ব্যয় সম্পর্কে প্রশ্ন করলে, তিনি বলেন , এখন পর্যন্ত গবাদিপশু খামারটিতে বড় ধরনের সমস্যা সম্মুখীন হয়নি; তবে ছোটখাটো সমস্যা যেমন : পেট ফোলা, লাম্পি, চোখ উঠা, বদহজম সংগঠিত হয়েছে। নিকটতম প্রাণিসম্পদ অফিসের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ হয়। গবাদি পশুর খামাটি সার্বিক পরিচালনা করতে বছরে ০১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত টাকা খরচ হয়ে থাকে আর বছর শেষে ৪০ থেকে ৬০ হাজার টাকা লাভ হয়।
সবশেষে, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তর কর্তৃক প্রকাশিত মুদ্রণ সামগ্রী মধ্যে সাইলেজ (গোখাদ্য সংকটে সমাধান), মহিষ পালন, ছাগল পালন, গ্রামীণ পরিবেশে হাস পালন, বর্ষা মৌসুমে তাজা ও ভিজা খড় সংরক্ষণ/সবুজ ঘাস সংরক্ষণ (সাইলেজ) প্রযুক্তি সম্প্রসারণ। ঝুরি/ব্যাগ সাইলেজ, হাইব্রিড ভুট্টা চাষাবাদ পদ্ধতি/ ভুট্টা। গবাদি পশুর প্রধান খাদ্য উপদান, উন্নত জাতের ঘাস চাষ প্রযুক্তি সম্প্রসারণ/উন্নত জাতের ঘাস চাষ, গরুর ইষ্টপুষ্টকরণ প্রযুক্তি। ইউরিয়া মোলাসেস স্ট্র (ইউ এম এস) তৈরির ফর্মুলা, গবাদি পশুর সুষম খাবার তৈরীর উপকরণ ও খাওয়ার নিয়মাবলী বিষয়ক বিনামূল্যে প্রদান করা হয়। এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তরের মোবাইল অ্যাপস “মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য ভাণ্ডার” সম্পর্কেও অবগত করা হয়।
প্রতিবেদনকারী।
খালেক হাসান, কৃষি তথ্য কেন্দ্র সংগঠক
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তর, কুমিল্লা