রাজশাহীর বোয়ালিয়া উপজেলার পাঠানপাড়া এলাকায় শ্রী রজনী রানী পেশায় একজন গৃহিনী। শখের বসে শুরু করেন ছাগল পালন। এই শখ থেকেই ২০২১ সালে ছাগল পালন শরু করেন। এর আগে নেন প্রশিক্ষণ। শ্রী রজনী রানী বলেন , ছাগল সাধারনত বছরে ২ বার বাচ্চা দিয়ে থাকে। কোন ছাগল একটি করে ,আবার কোন কোন ছাগল তিনটে চারটি করে বাচ্চা দিয়ে থাকেন।ছাগল কিনতে তার খরচ হয় ৩০,০০০ টাকা । ঘাসের চাহিদা মেটাতে ১০ শতাংশ জমিতে লাগান নেপিয়ার ঘাস। বর্তমানে রজনী রানীর খামারে এখন ১২টি ছাগল আছে ; এর মধ্যে বাচ্চা আছে ৬ টি । কোরবানি ঈদের সময় ৪ টি খাসি ছাগল বিক্রি করেন। ৪ টি খাসি ছাগল ১৫,০০০ টাকা দরে মোট ৬০,০০০ টাকায় বিক্রি করেন।
ছাগল পালন সর্ম্পকে রজনী রানী বলেন , প্রতিদিন সকালে তার স্বামী ছাগল নিয়ে মাঠে যায় বিধায় ছাগল পালনে খরচ কম এবং লাভ অনেক বেশি হয় । ব্র্যাক বেঙ্গল ছাগলের তুলনা মূলক ভাবে রোগ বালাই অনেক কম হয়ে থাকে। টিকা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন ছয় মাস পর পর পিপিআর এবং কৃমিনাশক করি দুই থেকে তিন মাসের ভিতরে তারপরে ভারমিকটা করি ছয় মাস পর পর এগুলো করলে ছাগলের তেমন কোন আর সমস্যা হয় না। ছাগল পালন করে এখন তার সংসার ভালোই চলছে ।
সহযোগিতা সম্পর্কে রজনী রানী জানান , খামারে ছাগল বিশেষ কোনো রোগাক্রান্ত হলে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস এ যোগাযোগ করেন এবং প্রাণিসম্পদ অফিস বিভিন্ন সহযোগিতা করেন। পরিশেষে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তর, আঞ্চলিক অফিস, রাজশাহী থেকে রজনী রানী কে ছাগল পালন এবং হাঁস পালনের সুষ্ঠ পরামর্শ সহ গাভী পালন, মহিষ পালন, কবুতর পালন, সবুজ ঘাস সংরক্ষণ প্রযুক্তি সম্প্রসারণ, গবাদি পশুর সুষম খাদ্য তৈরির উপকরণ ও খাওয়ানোর নিয়মাবলী, উন্নত জাতের ঘাস চাষ বিষয়ক লিফলেট ও ফোল্ডার বিনামূল্যে প্রদান করা হয়।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তর, আঞ্চলিক অফিস, রাজশাহী থেকে খামারটি পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন কালে খামারিকে পরামর্শ প্রদান করেন মো. ছামছুল হক, কৃষি তথ্য কেন্দ্র সংগঠক, এবং খামারির ছবি ও ভিডিও ধারণ করেন মো. রাকিবুজ্জামান, অডিও ভিজ্যুয়াল ইউনিট অপারেটর ।
প্রতিবেদনকারী:
(মো. ছামছুল হক)
কৃষি তথ্য কেন্দ্র সংগঠক
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তর,
- আঞ্চলিক অফিস, রাজশাহী