ঢাকা,২৫.১১.২৪ খ্রি.
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তরে কৃষি তথ্য সার্ভিসের সার্বিক দিকনিদের্শনায় বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের কৃষি মিডিয়াভিত্তিক ত্রৈমাসিক প্রান্তিক কর্মশালা মাঘ-চৈত্র/১৪৩১(১৫ জানুয়ারি-১৩এপ্রিল/২৫) অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ (২৫.১১.২৪ খ্রি.) সোমবার সকাল ১০.০০টায় দিনব্যাপী এ কর্মশালা তথ্য দপ্তরের সভাকক্ষে শুরূ হয়।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কৃষি তথ্য সার্ভিসের পরিচালক, জনাব মো. মসীহুর রহমান। কর্মশালার সভাপতিত্ব করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তরের উপপরিচালক ডা. সঞ্জীব সূত্রধর (উপসচিব)।
কর্মশালার শুরুতে বিভিন্ন দপ্তর-সংস্থা থেকে আগত অতিথিবৃন্দ নিজ নিজ পরিচয় প্রদান করেন।
পরবর্তীতে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তরের তথ্য কর্মকর্তা (প্রাণিসম্পদ), ডা. মো. এনামুল কবীর।
এরপর তথ্য দপ্তরের কার্যক্রম ও সৃষ্টির ইতিহাস নিয়ে পাওয়ারপয়েন্ট স্লাাইড এবং দপ্তর কর্তৃক নির্মাণকৃত কয়েকটি টিভিসি ও জিংগেল প্রদর্শন করেন এদপ্তরের গণযোগাযোগ কর্মকর্তা, জনাব মো. সামছুল আলম।
প্রদর্শনীপর্ব শেষে কৃষি মিডিয়াভিত্তিক ত্রৈমাসিক প্রান্তিক কর্মশালা মাঘ- চৈত্র/১৪৩১ এর সিডিউল তৈরির মূলপর্ব শুরু করেন কৃষি তথ্য সার্ভিসের পরিচালক, জনাব মো. মসীহুর রহমান। ত্রৈমাসিক সিডিউল তৈরির কার্যক্রম পরবর্তীতে পরিচালনা করেন কৃষি তথ্য সার্ভিসের উপপরিচালক (গণযোগাযোগ),জনাব ফেরদৌসী ইয়াসমিন।
কর্মশালায় ত্রৈমাসিক সিডিউল তৈরির কার্যক্রম শেষে বিভিন্ন দপ্তর সংস্থা থেকে আগত উপস্থিত কর্মকর্তাবৃন্দ সিডিউল তৈরির উপর মতামত ব্যক্ত করেন। কৃষি তথ্য কেন্দ্র, বিএআরসি, পিডিও, সুস্মিতা দাস বলেন, বেতার ও টেলিভিশনের অনুষ্ঠানে কথক হিসাবে কে বা কারা থাকবেন, কি বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে তা সঠিকভাবে জানানোর জন্য একটি প্লাটফর্ম থাকলে ভালো হয়।
এছাড়া বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের সিনিয়র লিঁয়াজো অফিসার জনাব মো. আব্দুল মমিন বলেন, কথিকার শিরোনাম ও টেকনিক্যাল টার্মগুলো বুঝার জন্য বিশেষজ্ঞ নিয়ে একটি সভার আয়োজন করলে ভালো হয়।
অন্যদিকে বাংলাদেশ বেতারের সহকারী পরিচালক, কৃষি বিষয়ক কার্যক্রম, বাংলাদেশ বেতার, রনিয়া সুলতানা বলেন, কথোপকথন এর তালিকা গুছিয়ে দিলে বাংলাদেশ বেতারে অনুষ্ঠান পরিচালনার কাজ সহজ হয়। এই ধরনের অনুষ্ঠান বাংলাদেশ বেতারের কাজকে আরো সহজ করবে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে মো. মসীহুর রহমান বলেন, বেতার ও টেলিভিশনের অনুষ্ঠানের জন্য কঠিন শব্দ ব্যবহার না করাই ভালো। কৃষকের জন্য সহজ শব্দের ব্যবহার করলে কৃষকেরা সহজে বুঝতে পারবে। এই জন্য এ বিষয়ে একটি সেমিনারে আয়োজন করা হবে। এই ধরনের আয়োজনের জন্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তরকে তিনি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
অনুষ্ঠানের সভাপতি ডা. সঞ্জীব সূত্রধর বলেন, যারা বেতারে ও টেলিভিশনে কথা বলবে তাদের মানসিক প্রস্তুতির জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণের প্রয়োজন। এজন্য বাংলাদেশ বেতার এর পক্ষ থেকে দক্ষ প্রশিক্ষক দ্বারা প্রস্তুতিমূলক সভার আয়োজন করা যেতে পারে। তাছাড়া বিভিন্ন দপ্তর সংস্থা থেকে আগত প্রতিনিধি বৃন্দদেরকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং কৃষি তথ্য সার্ভিস এর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।