২৪/১১/২০২৪ খ্রি.
রাজশাহী জেলার বোয়ালিয়া থানার কুমারপাড়া গ্রামের,শ্রী সুজন চন্দ্র পেশায় একজন ছাত্র। করোনার সময় শখের বসে শুরু করেন বকনা বাছুর ও ছাগল পালন। এই শখ থেকেই ২০২০ সালে গাভি পালন শরু করেন। গাভি পালনের আগে উপজেলা প্রাণিসম্পদ থেকে নেন প্রশিক্ষণ। সুজন বলেন ,গাভি একবার বাচ্চা দিলে অনেক দিন ধরে দুধ দেয়। গাভি কিনতে তার খরচ হয় ৪২,০০০ টাকা । ঘাসের চাহিদা মেটাতে ১২ শতাংশ জমিতে লাগান হাইব্রিড নেপিয়ার ঘাস। বর্তমানে সুজনের খামারে ৫ টি গাভি সহ ২টি বকনা ও ১টি ষাড় বাছুর; আছে,মোট ৮ টি গাভিসহ ও ২টি খাসি ছাগল । বছরে দুইটি গাভি প্রতিদিন দুধ দেয় যা বিক্রি খামারের খরচ যোগান। যা বছর শেষে দেখা যায় ৪৫০০০ -৫২০০০ টাকা আয় থাকে।
সহযোগিতা সম্পর্কে সুজন জানান , খামারে গাভি রোগাক্রান্ত হলে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস এ যোগাযোগ করেন এবং প্রাণিসম্পদ অফিস বিভিন্ন সহযোগিতা করেন। পরিশেষে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তর, আঞ্চলিক অফিস, রাজশাহী থেকে সুজন চন্দ্র কে গাভি পালনের সুষ্ঠ পরামর্শ সহ গাভী পালন, মহিষ পালন, ছাগল পালন, কবুতর পালন, সবুজ ঘাস সংরক্ষণ প্রযুক্তি সম্প্রসারণ, গবাদি পশুর সুষম খাদ্য তৈরির উপকরণ ও খাওয়ানোর নিয়মাবলী, উন্নত জাতের ঘাস চাষ বিষয়ক লিফলেট ও ফোল্ডার বিনামূল্যে প্রদান করা হয়।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তর, আঞ্চলিক অফিস, রাজশাহী থেকে খামারটি পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন কালে খামারিকে পরামর্শ প্রদান করেন মো: রাসেল মিয়া, কৃষি তথ্য কেন্দ্র সংগঠক, এবং খামারির ছবি ও ভিডিও ধারণ করেন মো.রাকিবুজ্জান, অডিও ভিজ্যুয়াল ইউনিট অপারেটর ।
প্রতিবেদনকারী
(মো: রাসেল মিয়া)
কৃষি তথ্য কেন্দ্র সংগঠক
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তর,
আঞ্চলিক অফিস, রাজশাহী।