০৮.১২.২০২৪ খ্রি.
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার লক্ষীনগর গ্রামের খাইরুল মাসুদ তিনি পেশায় একজন কন্ট্রাক্টর। কিন্তু তিনি কনস্ট্রাকশন কাজের পাশাপাশি ২০১৮ সালে ০৪ টি গাভী দিয়ে গবাদিপশু লালন-পালন শুরু করেন। শুরুতেই সফলতা পেয়ে তার খামারটিতে গবাদি পশুর সংখ্যা বাড়াতে থাকেন। তার খামারে বর্তমানে গবাদি পশুর সংখ্যা ২৪ টি। এর মধ্যে ১০ টি ফ্রিজিয়ান জাতের, ০৬ টি শাহীওয়াল, ০৪ টি নেপালি ও ৪ টি দেশি জাতের গবাদিপশু রয়েছে। এর আগে গত কোরবানির ঈদে ১১২টি গবাদিপশু বিক্রি করেন। এছাড়াও তার খামারটিতে ১০ টি রাজহাঁস, ০২ টি ছাগল ও ৫০ টি অধিক কবুতর রয়েছে। এখান থেকে ০৫ টি গাভী ১৫-২০ লিটার করে প্রতিদিন মোট ৮০-৯০ লিটার দুধ দিয়ে থাকে। রামিশা ডেইরি ফার্মে প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় গবাদি পশুকে গমের ভুসি, সোয়াবিনের ভুসি, বুটের ছোলা, চালের কুড়া, সরিষার খৈল এবং ৩৩ শতাংশ নিজস্ব জমিতে চাষ করা নেপিয়ার প্রজাতির কাঁচা ঘাস দিয়ে থাকেন। তার খামারটিতে ইতোমধ্যে গবাদিপশুর সাধারণ রোগ যেমন গ্যাস হওয়া, পাতলা পায়খানা, বদহজম সংগঠিত হয়েছে; কিন্তু বড় ধরনের কোন রোগ বা সংক্রমণে আক্রান্ত হয়নি। এসব গবাদি পশুর চিকিৎসায় স্থানীয় চিকিৎসক দ্বারা সেবা নিয়ে থাকেন। খাইরুল মাসুদ সাহেব ঈদ উপলক্ষে গবাদিপশু বিক্রি ও স্থানীয় ইপিজেড বাজারস্থ এলাকায় রামিশা ডেইরি ফার্ম নামে নিজস্ব মিষ্টি দোকান রয়েছে সাথে তার খামার থেকে সংগ্রহকৃত খাঁটি গাভীর দুধ বিক্রি করে থাকেন। তার খামারটি পরিচালনা করতে মোট ০৫ জন কর্মচারী ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকায় মাসিক বেতনে দৈনিক কাজ করে থাকেন।
সবশেষে, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তর কর্তৃক প্রকাশিত মুদ্রণ সামগ্রীর মধ্যে সাইলেজ (গোখাদ্য সংকটে সমাধান), মহিষ পালন, ছাগল পালন, গ্রামীণ পরিবেশে হাস পালন, বর্ষা মৌসুমে তাজা ও ভিজা খড় সংরক্ষণ/সবুজ ঘাস সংরক্ষণ (সাইলেজ) প্রযুক্তি সম্প্রসারণ। ঝুরি/ব্যাগ সাইলেজ, হাইব্রিড ভুট্টা চাষাবাদ পদ্ধতি/ ভুট্টা মুদ্রণ সামগ্রী বিতরণ করা হয় । এছাড়া গবাদিপশুর প্রধান খাদ্য উপদান, উন্নত জাতের ঘাস চাষ প্রযুক্তি সম্প্রসারণ/উন্নত জাতের ঘাস চাষ, গরুর ইষ্টপুষ্টকরণ প্রযুক্তি। ইউরিয়া মোলাসেস স্ট্র (ইউ এম এস) তৈরির ফর্মুলা, গবাদিপশুর সুষম খাবার তৈরীর উপকরণ ও খাওয়ার নিয়মাবলী , কবুতর পালন, গাভী পালন, চিতল মাছ চাষ, কালিবাউশ মাছ চাষ, পাংগাস মাছ চাষ, ট্যাংরা মাছ চাষ বিষয়ক মুদ্রণ সামগ্রী বিনামূল্যে প্রদান করা হয়। এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তরের মোবাইল অ্যাপস “মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য ভাণ্ডার” সম্পর্কেও অবগত করা হয়।
প্রতিবেদনকারী।
খালেক হাসান, কৃষি তথ্য কেন্দ্র সংগঠক
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তর, কুমিল্লা