১৭.১২.২০২৪ খ্রি.
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা সাজ্জাদ হোসেন ভূঁইয়া। তিনি তার গ্রামে একটি এনজিও পরিচালনা করেন এবং ৫ সদস্য পরিবার নিয়ে বসবাস। ২০২০ সালে ২৫ শতাংশ ১ টি পুকুরে নিয়ে কার্প জাতীয় মিশ্রচাষ মাছ চাষ শুরু করেন। শুরুতে সাফল্য পেয়ে এখন তার মাছের পুকুরের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫টি যার পরিমাণ ২ একর। এখন তার পুকুরে রুই, কাতল, মৃগেল, কালিবাউশ, পাঙ্গাস ও সরপুটি মাছ চাষ করছেন। সাজ্জাদ হোসেন ভূইয়া তার পুকুরের মাছ স্থানীয় মাছের বাজার- টমছম ব্রিজ ও পদুয়ার বাজার মৎস্য আড়ৎতে বিক্রি করেন। মাছের খাবার হিসেবে প্রতিদিন খৈল, ভুসি ও বাহির থেকে ফিড দিয়ে থাকেন। তিনি মাছ চাষে এখনো পর্যন্ত কোনো ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হননি; তাই স্থানীয় মৎস্য অফিসে কোন প্রকার যোগাযোগ রাখেন না। সেজন্য সাজ্জাদ হোসেন কে তার নিকটস্থ উপজেলা মৎস্য অফিসে যোগাযোগ করে সরকার কর্তৃক সুযোগ-সুবিধা এবং লাভজনক মাছ চাষে পরামর্শ নিতে বলা হয়। তিনি বলেন, পুকুরে মাছ চাষ করতে সার্বিক সহযোগিতা আমার বাবা করেন তাই বাড়তি কোনো শ্রমিকের কাজ করতে প্রয়োজন হয় না।
বছরে কত টাকা খরচ ও লাভ হয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ৫ টি পুকুরে সার্বিক পরিচালনা করতে আমার বছরে প্রায়- ২ লক্ষ ৪০ হাজার থেকে ২ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা খরচ হয় এবং বছর শেষে মাছ বিক্রি করলে ৩.৫ লক্ষ বা ৪ লক্ষ আসে যা সব খরচ বাদ দিলে ১ লক্ষ বা তারও বেশি লাভ থাকে। তিনি বলেন , আমি মনে করি, মাছ চাষ একটি লাভজনক পেশা। ভবিষ্যতে আমার আরো বড় পরিসরে মাছ চাষ করার ইচ্ছা আছে।
সবশেষে, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তর, আঞ্চলিক অফিস, কুমিল্লার পক্ষ থেকে তথ্য দপ্তর কর্তৃক প্রকাশিত মুদ্রণ সামগ্রীর মধ্যে মৎস্য বিষয়ক “দেশীয় ছোট মাছের চাষাবাদ ও সংরক্ষণ, দেশী কৈ মাছের চাষ ব্যবস্থাপনা, কার্প জাতীয় মাছের মিশ্র চাষ ব্যবস্থাপনা, মহাশোল মাছের পোনা উৎপাদন ও চাষ ব্যবস্থাপনা, কৈ, শিং ও মাগুর মাছের চাষ ব্যবস্থাপনা, ট্যাংরা প্রজনন ও পোনা উৎপাদন প্রযুক্তি, চিতল মাছের কৃত্রিম প্রজনন ও পোনা উৎপাদন এবং মাছের রোগ প্রতিরোধ ও প্রতিকার ব্যবস্থাপনা, পাঙ্গাস মাছের মিশ্রচাষ ব্যবস্থাপনা , পাবদা মাছের পোনা উৎপাদন ও চাষ ব্যবস্থাপনা, কালিবাউশ মাছের কৃত্রিম প্রজনন ও পোনা উৎপাদন” বিনামূল্যে প্রদান করা হয়।
প্রতিবেদনকারী :
খালেক হাসান, কৃষি তথ্য কেন্দ্র সংগঠক
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তর, কুমিল্লা