১৮.১২.২০২৪ খ্রি.
হাজেরা বেগম, কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার কমলাপুর গ্রামের একজন সফল গবাদিপশু পালনকারী। ২০ বছরের অভিজ্ঞতায় তিনি তার সফল খামারে গড়ে তুলেছেন ।
তিনি তার পরিবারের দুধের চাহিদাপূরণের পাশাপাশি বাজার খরচ এবং পুষ্টি সম্পৃক্ত নানা প্রয়োজন মেটাতে শুরু করেছিলেন গবাদিপশু পালনে। শুরু থেকে, তার লক্ষ্য ছিল একটি স্বনির্ভর খামার তৈরি করা, যেখানে দেশী গরু এবং অস্ট্রেলিয়ান ফ্রিজিয়ান জাতের গরুর মধ্যে ভারসাম্য বজায় রেখে লাভবান হওয়া। বর্তমানে তার খামারে ১টি দেশী গরু এবং ৫টি অস্ট্রেলিয়ান ফ্রিজিয়ান গরু রয়েছে, যা পরিবারের খাদ্য এবং বাজারে বিক্রির জন্য দুধ উৎপাদন করে।
এছাড়াও, তার খামারে ৩০-৩৫টি দেশি হাঁস এবং ৪টি ছাগল রয়েছে ; যা তার খামারের আয়ের উৎসকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। তিনি খামারের খাবারের জন্য নিজস্ব জমিতে উৎপাদিত ভুসি, খুদি এবং কাচা ঘাস দিয়ে থাকেন, যা তার খরচ কমিয়ে আনে এবং উৎপাদনকে লাভজনক করে তোলে।
এখানে কাজ করার জন্য তিনি ১জন কর্মচারী নিয়োগ করেছেন, যিনি মাসে ১৫,০০০ টাকা বেতন পান। তার খামারে বছরে প্রায় সাড়ে ৪ লাখ টাকা খরচ হয় এবং বছরে খরব বাদে এক থেকে দেড় লাখ টাকা লাভ হয়।
তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা আরও বড় পরিসরে গবাদিপশু পালন করার। তিনি আশাবাদী যে, ভবিষ্যতে তার খামার আরও সম্প্রসারিত হবে এবং তিনি নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য একটি উদাহরণ হয়ে উঠবেন।
এছাড়া, গবাদিপশু পালন ছাড়াও তার ছেলের নিকটস্থ বাজারে একটি কসমেটিকসের দোকান আছে, যা তার পরিবারের আয়ের আরেকটি উৎস। তাঁর এই মাল্টি-ব্যাবসা মডেল তাকে আর্থিকভাবে আরো শক্তিশালী করেছে। হাজেরা বেগমের সফলতার গল্প প্রমাণ করে যে, যদি সঠিক পরিকল্পনা এবং কঠোর পরিশ্রম থাকে, তাহলে গবাদিপশু পালন একটি লাভজনক এবং স্বনির্ভর ব্যবসা হতে পারে।
সবশেষে, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তর কর্তৃক প্রকাশিত মুদ্রণসামগ্রীর মধ্যে সাইলেজ (গোখাদ্য সংকটে সমাধান), মহিষ পালন, ছাগল পালন, গ্রামীণ পরিবেশে হাস পালন, বর্ষা মৌসুমে তাজা ও ভিজা খড় সংরক্ষণ/সবুজ ঘাস সংরক্ষণ (সাইলেজ) প্রযুক্তি সম্প্রসারণ। ঝুরি/ব্যাগ সাইলেজ, হাইব্রিড ভুট্টা চাষাবাদ পদ্ধতি/ ভুট্টা। গবাদি পশুর প্রধান খাদ্য উপদান, উন্নত জাতের ঘাস চাষ প্রযুক্তি সম্প্রসারণ/উন্নত জাতের ঘাস চাষ, গরুর ইষ্টপুষ্টকরণ প্রযুক্তি। ইউরিয়া মোলাসেস স্ট্র (ইউ এম এস) তৈরির ফর্মুলা, গবাদি পশুর সুষম খাবার তৈরীর উপকরণ ও খাওয়ার নিয়মাবলী বিষয়ক বিনামূল্যে প্রদান করা হয়। এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তরের মোবাইল অ্যাপস “মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য ভাণ্ডার” সম্পর্কেও অবগত করা হয়।
প্রতিবেদনকারী।
খালেক হাসান, কৃষি তথ্য কেন্দ্র সংগঠক
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তর, কুমিল্লা