কুমিল্লা জেলার হোমনা উপজেলার বাবরকান্দি গ্রামের বাসিন্দা সুমি আক্তার। তিনি পেশায় একজন গৃহিণী। তার পরিবারে আছে ছোট একটি মেয়ে। সংসারের কাজের পাশাপাশি তাহার বড় ভাইয়ের অনুপ্রেরণায় শুরু করেন সমন্বিত খামার।
শুরুতে তিনি শুধু তিতির পালন করতেন । ৭০টি বাচ্ছা নিয়ে শুরু হয়েছিল তার এই খামার। তিনি তিতিরের বাচ্ছা লালন পালন করে বড় হলে বিক্রি করে দিতেন। এতে তার ভালোই মুনাফা আসত। যেই টাকা লাভ আসত তিনি ভাবেন তা দিয়ে কিভাবে খামারটি বড় করা যায়। এভাবে তিনি খামারে টার্কি আর চিনা হাঁস পালন শুরু করেন।
বর্তমানে তার খামারে ৪০০ টি তিতির মুরগি , ২৫০ টি টার্কি মুরগি এবং ২০০ টি চিনা হাঁসের বাচ্ছা রয়েছে। তিনি এই মুরগি লালন পালন করেন অধিক মাংস উৎপাদন এবং একই সাথে ডিম উৎপাদনের উদ্দেশ্যে।
পূর্বে টার্কি, তিতির পালন বেশ জনপ্রিয় থাকলেও মাঝে টার্কি পালনের চাহিদা কমে যায় কিন্তু বর্তমানে তিনি টার্কি পালন করে অধিক লাভবান হন। এই মুরগি পালন করার উদ্দেশ্য হচ্ছে এর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি, অল্প দিনেই ওজন বাড়ে। তার খামারে বড় জাতের মুরগি বিক্রির পাশাপাশি ছোট মুরগির বাচ্চা রাখেন এবং তা বিক্রি করেন।
টিকা নিয়ে জানতে চাইলে বলেন , তিনি যথাযথভাবে হাঁস মুরগিকে টিকা প্রদান করেন। দিনে ২ বেলা খাবার প্রদান করেন। এই খামার পরিচালনা করতে তিনি কোন লোক রাখেন না ; সংসারের কাজের পাশাপাশি তিনি নিজেই কাজ করেন খামারে।
তাহার এই সমন্বিত খামার পরিচালনা করে তিনি স্বাবলম্বী হয়ে উঠেন। তিনি আরও জানান , কারো যদি মুরগি কিংবা চিনা হাসের বাচ্ছা প্রয়োজন হয় তাহার সাথে যোগাযোগ করার জন্য। পাশাপাশি সাধারণ মহিলারা তাহার মতো অল্প করে বাচ্ছা কিনে খামার শুরু করতে পারেন। বসে না থেকে যেকোনো নারী এই কাজটি করতে পারেন বলে জানান। এতে পরিবারে আর্থিক সচ্ছলতা ফিরে আসবে।
পরিশেষে তাহাকে তথ্য দপ্তরের পরিচিতি দিয়ে এই দপ্তরের মুদ্রণ সামগ্রী এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য ভান্ডার অ্যাপ ডাউনলোড করতে বলা হয় এবং এর কমেন্ট এ যেকোনো তথ্য জানতে লিখতে বলা হয়। আমাদের সেবাটি ভালো লাগলে কমেন্ট এ তার মতামত লিখতে বলা হয়।