- মো: লিখন ইসলাম বাকৃবি
- ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০
অধ্যাপক ড. রুহুল আমিন বলেন, বোয়ার জাতের ছাগলের উৎপত্তি দক্ষিণ আফ্রিকায়। যা গোশতের জন্যে বিশ্বখ্যাত। বছরে সর্বোচ্চ ৭০ কেজি গোশত দিতে পারে। তবে এটি বাংলাদেশের জলবায়ুর সাথে পুরোপুরি মানানসই নয়। তাই এ সমস্যার সমাধানে ব্ল্যাক বেঙ্গল ও বোয়ারের সঙ্কর জাত উদ্ভাবন করা হয়। পুরুষ ছাগল বছরে ২৬ কেজি এবং মাদি ছাগল ২৩ কেজি পর্যন্ত গোশত উৎপাদনে সক্ষম। এ জাতটি রোগ প্রতিরোধে শক্তিশালী এবং সহজে পালন করা যায়।
তিনি আরো জানান, গবেষণায় দেখা গেছে, সঙ্করের স্ত্রী বাচ্চাদের এক বছর বয়সে মাত্র ছয় শতাংশের ডাক এসেছিল। অন্যদিকে ব্ল্যাক বেঙ্গল পাঠীর ছয়-সাত মাসেই প্রথম গর্ভধারণ করে। অর্থাৎ ব্ল্যাক বেঙ্গলের তুলনায় সঙ্কর স্ত্রী বাচ্চাদের মা হতে প্রায় দ্বিগুণ সময় লাগে। এমন অবস্থায় এক বছর বয়সে লিঙ্গ নির্বিশেষে সব সঙ্কর যদি জবাই করে গোশত উৎপাদন করা হয়, তাহলে কৃষকের দ্বিগুণ লাভ হবে ব্ল্যাক বেঙ্গলের তুলনায়।
গবেষক আরো বলেন, বাংলাদেশে জাতীয় প্রজনন নীতিমালায় শুধুমাত্র ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল অনুমোদিত। ফলে সঙ্কর জাতের ছাগল দেশব্যাপী ছড়িয়ে দিতে সরকারি অনুমোদন একটি বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
গবেষক খালিদ সাইফুল্লাহ বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হলো কম খরচে ভোক্তার কাছে গুণগত গোশত পৌঁছে দেয়া। খামারিরা এ জাত পালন করে বছরে প্রায় দ্বিগুণ মুনাফা করতে পারবেন। কারণ, একই পরিমাণ খাবার ও পরিচর্যায় ব্ল্যাক বেঙ্গলের তুলনায় সঙ্কর জাত থেকে দ্বিগুণ গোশত পাওয়া যায়।’