শাইখ সিরাজ
শুধু সবজি উৎপাদনই নয়, উৎপাদন খরচ সাশ্রয় করার লক্ষ্যে উদ্যোক্তারা সার ও কীটনাশক আমদানি শুরু করেছেন। বর্তমানে এটিও তাঁদের বাণিজ্যের অন্যতম খাত। নাজিম উদ্দিন দেখালেন সেচের পানির সঙ্গে কিভাবে সার মিশিয়ে সবজির ক্ষেতে প্রয়োগ করছেন তাঁরা। আমাদের দেশের কৃষি বিজ্ঞানী ও কৃষি কর্মকর্তারা সার প্রয়োগের এ বিষয়টিকে ছিটিয়ে প্রয়োগের মধ্যেই আটকে থাকতে চাচ্ছেন।
বিদেশের মাটিতে শ্রমিক থেকে উদ্যোক্তা হওয়া চাট্টিখানি কথা নয়। বহু বিরূপ অভিজ্ঞতার ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছে তাঁদের। কিন্তু ভেঙে পড়েননি। যেখানে সম্ভাবনা দেখেছেন ছুটে গেছেন। স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করতে কাজ করে চলেছেন প্রতিনিয়ত। তারই ফসল আজকের এই কৃষি বাণিজ্যের বিস্তীর্ণ প্রান্তর। যেখান থেকে সংগ্রহ চলছে সমৃদ্ধিময় দিনের।
নাজিম উদ্দিন বলছিলেন, ওমান সরকারের সাম্প্রতিক সময়ের নীতিগত সিদ্ধান্তে দুয়ার খুলেছে নতুন সম্ভাবনার। আগে ওমানে প্রবাসীরা ব্যবসা-বাণিজ্যের লাইসেন্স পেতেন না। এখন লাইসেন্স দেওয়া হচ্ছে। ফলে কৃষিতে বিনিয়োগের মাধ্যমে এখানে তৈরি হচ্ছে নানামুখী উদ্যোগের সুযোগ। প্রবাসীরা চাইলেই কৃষিতে বিনিয়োগ করতে পারেন।
কৃষিতে বিনিয়োগ বিষয়ে কথা হয় ওমানপ্রবাসী ব্যবসায়ী সিআইপি ইয়াসিন চৌধুরীর সঙ্গে। তিনি বলেন, বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি হলেও অনেক বিষয় রয়ে গেছে, যেগুলো সরকারের সঙ্গে সরকারের চুক্তির মাধ্যমে সহজ করা যায়। যেমন—কম্পানি তৈরির লাইসেন্স পাওয়া যাচ্ছে ঠিকই, কিন্তু জমি লিজ নেওয়ার ব্যাপারে দীর্ঘ সময়ের জন্য জমি লিজ না পাওয়া গেলে কৃষি বাণিজ্যের সাফল্য তুলে আনা সম্ভব হবে না।
ব্যক্তি উদ্যোগে এমন সফল প্রচেষ্টাগুলো আমাদের উচ্ছ্বসিত করে। হাজারো প্রতিবন্ধকতা পার হয়ে মরুর বুক যাঁরা সবুজে ঢেকে দিচ্ছেন, যাঁরা রেমিট্যান্স পাঠিয়ে উজ্জীবিত রাখছেন দেশের অর্থনীতি, আমাদের সরকারের উচিত সর্বাত্মক সহায়তা নিয়ে তাঁদের পাশে থাকা। তাহলে অর্থনীতির এই চাকা সদা গতিশীল থাকবে, হবে বিস্তৃত।