কুমিল্লা জেলার লাকসাম উপজেলার মনোহরগঞ্জের তরুণ উদ্যোক্তা শাহাবুদ্দিন। তিনি পেশায় একজন প্রবাসী। তার পরিবারে আছে ছোট একটি মেয়ে ও একটি ছেলে। দীর্ঘ ১২ বছর প্রবাস জীবন কাটানোর পর দেশে ফিরে শখের বসে গড়ে তুলেন খামার।
শুরুতে তিনি প্রবাস জীবন থাকতে ভাবেন দেশে এসে কর্ম হিসেবে তিনি কি করবেন। পরে তিনি ভাবেন খুব স্বল্প সময়ের মধ্যে কিভাবে আর্থিকভাবে স্বচ্ছল হওয়া যায়। দেশে ফিরে তিনি খামারের পরিকল্পনা করেন। শুরুতেই ২০০টি টাইগার মুরগি ও মোরগ দিয়ে শুরু হয়েছিল তার এই খামার। বন্যায় তার খামারে কিছু মুরগি মারা গেলেও বর্তমানে তার খামারে ২৫০ টি টাইগার জাতের বড় মুরগি ও ৮০০ টি বাচ্ছা রয়েছে। তিনি এই মুরগি লালন পালন করেন অধিক মাংস উৎপাদন এবং একই সাথে ডিম উৎপাদনের উদ্দেশ্যে। সেই সাথে ডিম থেকে বাচ্ছা ফুটানোর পর তা অল্প কিছুদিন লালন পালন করে বিক্রি করে দেন। মুরগির পাশাপাশি তিনি গরুও পালন করেন।
টাইগার মুরগি বেশ জনপ্রিয় থাকলেও মাঝে পালনের চাহিদা কমে যায় কিন্তু বর্তমানে পালন করে অধিক লাভবান হন। এই মুরগি পালন করার উদ্দেশ্য হচ্ছে এর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি, অল্প দিনেই ওজন বাড়ে। তার খামারে বড় জাতের মুরগি বিক্রির পাশাপাশি ছোট মুরগির বাচ্চা রাখেন এবং তা বিক্রি করেন।
টিকা নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন , তিনি যথাযথভাবে মুরগিকে টিকা প্রদান করেন। তিনি মারেক্স, গামবোরো,রানীক্ষেত টিকা দেন। দিনে ২ বেলা খাবার প্রদান করেন। দুপুরে তিনি খাদ্য হিসেবে কাচা ঘাস খাওয়ান। তবে সেটা শীতকালে কম দেন। এই খামার পরিচালনা করতে তিনি কোন লোক রাখেন না । তিনি নিজেই কাজ করেন খামারে।
তার এই খামার পরিচালনা করে তিনি স্বাবলম্বী হয়ে উঠেন। তিনি আরও জানান , কারো যদি মুরগি কিংবা বাচ্ছা প্রয়োজন হয় তার সাথে যোগাযোগ করার জন্য। বসে না থেকে যে কেউ এই কাজটি করতে পারেন বলে জানান। এতে পরিবারে আর্থিক সচ্ছলতা ফিরে আসবে।
পরিশেষে তাকে তথ্য দপ্তরের পরিচিতি দিয়ে এই দপ্তরের মুদ্রণ সামগ্রী এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য ভান্ডার অ্যাপ ডাউনলোড করতে বলা হয় এবং এর কমেন্ট এ যেকোনো তথ্য জানতে লিখতে বলা হয়। আমাদের সেবাটি ভালো লাগলে কমেন্ট এ তার মতামত লিখতে বলা হয়।