কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার নাফ নদীতে বড়শিতে ধরা পড়েছে ৩২ কেজি ওজনের এক জোড়া কোরাল মাছ। মাছ দুটি ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। সাবরাং নদীর ইউনিয়নের শাহ পরীর দ্বীপ জেটি ঘাটে হাইর হোছেন নামে এক জেলের বড়শিতে মাছ দুটি আটকায় বলে জানান, টেকনাফ উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন। বড়টির ২০ ও ছোটটির ওজন ১২ কেজি।মাছ দুটির দাম ৪৫ হাজার টাকা হাঁকা হলেও বিকালে সাবরাং বাজারের মাছ ব্যবসায়ী ছৈয়দ আলমের কাছে দুটি ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি করেন হাইর হোছেন।ছৈয়দ আলম বলেন, বরফ দিয়ে ফ্রিজিং করে মাছ দুটি চট্টগ্রাম ফিশারি ঘাটে পাঠানো হয়েছে। জেলে হাইর হোছেন বলেন, প্রায় সাত বছর ধরে নাফ নদীতে নৌকা নিয়ে মাছ ধরা বন্ধ। তাই শাহ পরীর দ্বীপ জেটিতে বসে প্রতিদিনের মত আমরা কয়েকজন বড়শি ফেলি। ঘণ্টাখানেক পর আমার বড়শি টেনে তোলার চেষ্টা করি। কিন্তু বড়শিটি বেশ ভারি মনে হওয়ায় আরও একজনের সহযোগিতা চাই। পরে বড়শি টেনে তুলে দেখি, একটি বড় কোরাল মাছ আটকা পড়েছে। সেটির ওজন ছিল ২০ কেজি।পরে তিনি একই জায়গায় পরপর তিন বার বড়শি ফেলে ব্যর্থ হন।মৎস্য শিকারি হাইর হোছেন বলেন, ২০ মিনিট পর আমার বন্ধু মোকাদ্দেরে বরশিতে আরও একটি কোরাল মাছ ধরা পড়ে। সেটির ওজন ছিল প্রায় ১২ কেজির মত। শাহ পরীর দ্বীপে বেড়াতে আসা পর্যটক জয়নুল আবেদিন বলেন, বেড়াতে এসে নাফ নদীতে বড়শি দিয়ে সরাসরি মাছ ধরা উপভোগ করলাম। সঙ্গে আমার বউ বাচ্চারা রয়েছে। ওরাও এই দৃশ্য দেখে খুবই খুশি। বড়শিতে ছোট-বড় অনেক মাছ ধরা পড়ে। নিজেকে আজ খুব ভাগ্যবান মনে হচ্ছে। এতবড় কোরাল মাছ খেতে না পারলেও সরাসরি মাছ ধরা উপভোগ করলাম।
টেকনাফ উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, নাফ নদীর কোরাল মাছ খুবই সুস্বাদু। কোরাল সাধারণত ৩০ থেকে ৩৫ কেজি ওজনের হয়। কোনো কোনো সময় এর চেয়ে বেশি ওজনের কোরালও পাওয়া যায়। এর মধ্যে প্রজনন মৌসুমসহ সরকারি বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা মেনে চলায় নাফ নদীতে এখন বড় বড় কোরাল মাছ পাওয়া যাচ্ছে। আজও দুইটি কোরাল পেয়েছে, মাছ দুটির ওজন ৩২ কেজির মত।
সূএ : বিডিনিউস২৪.কম