অদ্য-০৬.০১.২০২৫খ্রি.
মো. মামুন মজুমদার একজন সফল উদ্যোক্তা, যিনি কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার উত্তর রামপুর গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা। পেশায় ঠিকাদার হলেও তিনি ২০২১ সালে তার বড় ভাইয়ের সাথে মিলে ১০টি গরু নিয়ে একটি খামার প্রতিষ্ঠা করেন। শুরুতে তেমন অভিজ্ঞতা না থাকলেও কঠোর পরিশ্রম ও ধৈর্যের মাধ্যমে মাত্র চার বছরের ব্যবধানে তারা খামারে সফলতা অর্জন করেছেন।
বর্তমানে তার খামারে ২৫টি গরু রয়েছে। গরুগুলোর মধ্যে বেশিরভাগই হলেস্ট্রাইন ফ্রিজিয়ান জাতের। এ খামারের ব্যবস্থাপনায় ২ জন অভিজ্ঞ কর্মী রয়েছেন, যারা গরুগুলোর খাবার সরবরাহসহ অন্যান্য কাজ পরিচালনা করেন।
গরুগুলোকে চাউলের কুঁড়া, গমের ভুষি, খৈল, সয়াবিন, ভুট্টা ভাঙা, খড় এবং সবুজ ঘাস খাওয়ানো হয়। সবুজ ঘাসের জন্য তারা ৪ শতক জমিতে নেপিয়ার পাকচং ঘাস চাষ করেছেন, যা গরুর পুষ্টির চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
গরুর স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা হয়। কোনো গরু অসুস্থ হলে তাদের রয়েছে প্রশিক্ষিত জনবল এবং প্রয়োজনে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের পরামর্শ নেন। খামারের মেঝে নিয়মিত পরিষ্কার রাখার ফলে স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ নিশ্চিত হয়।
খামারে উৎপাদিত দুধ স্থানীয় বাজারে বেপারিদের কাছে বিক্রি করেন। এছাড়া গরুর গোবর থেকে বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট স্থাপন করে নিজের পরিবারের পাশাপাশি পাশের দুইটি পরিবারের জ্বালানি চাহিদা পূরণ করেন। মো. মামুনের এই উদ্যোগ শুধু তার পরিবারের জন্যই নয়, বরং এলাকার জন্য একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
সবশেষে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তর থেকে তাকে প্রাণিসম্পদ বিষয়ক বিভিন্ন লিফলেট প্রদান করা হয় এসাথে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তরের পরিচিতি দেয়া হয় । পাশাপাশি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য ভান্ডার, এ্যাপস, নিউজ পোর্টাল ও ফেসবুক পেইজ সম্পর্কেও অবহিত করা হয়।
প্রতিবেদনকারী :
সুরাইয়া আক্তার
কৃষি তথ্য কেন্দ্র সংগঠক
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তর
আঞ্চলিক অফিস, কুমিল্লা