বরিশাল সদর উপজেলার কড়াপুর গ্রামের ‘ভাই ভাই ডেইরি এন্ড এগ্রো ফার্ম’ এখন এলাকার একটি সুপরিচিত নাম। গরুর খামার ব্যবসায় দীর্ঘ দুই দশক ধরে নিরলস পরিশ্রম করে আসছেন খামারটির মালিক আব্দুল কুদ্দুস। আধুনিকতা, পরিচ্ছন্নতা ও গরুর যত্নের দিক দিয়ে এই খামারটি স্থানীয়ভাবে প্রশংসিত। ২০০২ সালে খামারটির যাত্রা শুরু হয় মাত্র ৩টি গরু নিয়ে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে পরিধি ও অভিজ্ঞতা। বর্তমানে খামারে ১০টি গরু এবং ৫টি বাছুর রয়েছে। গরুগুলোর মধ্যে দেশি ও ফ্রিজিয়ান জাতের মিশ্রণ রয়েছে, যা থেকে প্রতিদিন গড়ে ৫০-৬০ লিটার দুধ সংগ্রহ করা হয়।
আব্দুল কুদ্দুস বলেন,“আমি নিজে খামারটির দেখভাল করি। গরুর যত্ন,খাদ্য ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় আমি আপোষ করি না। নিয়মিত টিকাদান এবং পুষ্টিকর খাবার নিশ্চিত করি। বরিশাল সদর উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা নিয়মিত পরিদর্শন করেন এবং সেবা দিয়ে যান। খামারটিতে স্থানীয় কয়েকজনকে কর্মসংস্থানের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। দুধ সরবরাহ হয় বরিশাল শহরের বিভিন্ন দুধ বিক্রয়কেন্দ্রে ও স্থানীয় বাজারে। তবে এই দীর্ঘ যাত্রা ছিল না একেবারে মসৃণ। খাদ্যের দাম বাড়া, গরুর রোগবালাই, এবং বাজারে দুধের দর ওঠানামা – এসব চ্যালেঞ্জের সঙ্গেও নিয়মিত লড়াই করে যাচ্ছেন তিনি। তিনি মনে করেন, সরকার ও ব্যাংকের সহযোগিতা পেলে এই খাত আরও সম্প্রসারণ করা সম্ভব। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন,“ভাই ভাই ডেইরি ফার্ম শুধু দুধ উৎপাদনের জন্যই নয়, বরং এলাকার তরুণদের কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।” মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তরের ২ জন কর্মচারী অদ্য ২৬ মে ২০২৫ তারিখে সেখানে পরিদর্শনে যায় এবং বিনামূল্যে লিফলেট বিতরণ করা সহ ঘাসচাষ এবং টিকা প্রদানের পরামর্শ দেয়।
বরিশাল অঞ্চলের খামারটি বর্তমানে একটি অনুপ্রেরণার নাম। কড়াপুর গ্রামে দাঁড়িয়ে থাকা এই ছোটখাটো খামারটি বড় স্বপ্ন দেখাচ্ছে অনেককে।
প্রতিবেদক
জান্নাতুল ফেরদৌস
কৃষি তথ্য কেন্দ্র সংগঠক
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তর, বরিশাল