২৯/০৬/২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ
রাজশাহী জেলার ছোট বনগ্রাম পশ্চিম পাড়ার নারী উদ্যোক্তা মোছাঃ মাহমুদা বেগম ২০২৩ সালে পারিবারিক কাজের পাশাপাশি নিজ উদ্যোগে ০২ টি গরু নিয়ে একটি গবাদি পশুর খামার শুরু করেন। বর্তমানে তার খামারে ০১ টি ষাঁড় গরু ০৩টি গাভি ও ৪ টি বকনা গরু আছে।
তিনি বলেন, প্রতিদিন খামার হতে ৩৫লিটার দুধ সংগ্রহ করেন। তিনি তার বাসা থেকে প্রতি কেজি দুধ ৭০ টাকা দরে বিক্রি করেন। তার খামারে ২ জন কর্মচারীর কর্মসংস্থান হয়েছে। তাদের বেতন বাবদ মাসিক ২১,০০০ টাকা প্রদান করতে হয়। খামারের বাৎসরিক ব্যয় সম্পর্কে জানতে চাইলে খাবার ,মেডিসিন ,ও কর্মচারীর বেতন বাবদ ব্যয় হয় ৩,৭৫,০০০(প্রায়) টাকা এবং বাৎসরিক আয় বাবদ তার খামার থেকে আসে সাড়ে ৫ লাখ টাকা।
খাবার ব্যাবস্থাপনা সম্পর্কে মোছাঃ মাহমুদা বেগম বলেন ,ঘাস এবং ভুট্টা চাষ করে সাইলেজ তৈরি করেন। ঘাস খাওয়ার পাশাপাশি তিনি দানাদার খাদ্য হিসাবে গমের ভুষি, ফিড , ভূট্টার গুড়া , চালের গুড়া, খৈল ,নালীগুড় ,খাওয়ান। খামার বাসস্থান সম্পর্কে রাশেদ বলেন , প্রতি ৫ দিন পর পর খামার পরিষ্কার করা হয়।
কোন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন কিনা সে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, উপজেলা যুবউন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে ৩ মাসের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। তিনি আরো জানান, খামারে গবাদি পশুর রোগ হলে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসে যোগাযোগ করেন এবং প্রাণিসম্পদ অফিস বিভিন্ন সহযোগিতা করেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তর ,আঞ্চলিক অফিস ,রাজশাহীর পক্ষ থেকে গাভী পালন ,ছাগল পালন ,সবুজ ঘাস সংরক্ষণ, প্রযুক্তি সম্প্রসারণ, গবাদি পশুর সুষম খাবার তৈরির উপকরণ ও খাওয়ানোর নিয়মাবলী, উন্নত জাতের ঘাস চাষ বিষয়ক লিফলেট ও ফোল্ডার বিনামূলে প্রদান করা হয় এবং পরামর্শ প্রদান করা হয়।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তর, আঞ্চলিক অফিস, রাজশাহী থেকে ২ জন কর্মচারী খামারটি পরিদর্শন করেন।
মো. ছামছুল হক
কৃষি তথ্য কেন্দ্র সংগঠক
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তর ,
আঞ্চলিক অফিস , রাজশাহী।