৩০.০৬.২০২৫ ইং
কুমিল্লা জেলার দক্ষিণ সদর উপজেলার জাঙ্গালিয়া গ্রামের হাউজিং কম্পানির খামারের মালিক প্রথমে শখের বশত ২০১৮ সালে প্রথমে একটি গাভী ও কিছু দিন পর আরও একটি গর্ভবতী গাভী ক্রয় করেন। জানা যায়, বর্তমানে খামারে মোট ১০টি গরুটি গরু আছে, যার মধ্যে ৪টি গাভী, ২টি ষাড় ও ৪টি বাচ্চা রয়েছে।
গরুগুলোর সুষম খাদ্যের জন্য তিনি নিজ উদ্যোগে ব্যবস্থা নিয়েছেন। খড়ের পাশাপাশি নিজ জমিতে উৎপাদিত কাঁচা ঘাস ও প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখা হয়। মাঝেমধ্যে বাজার থেকে কোম্পানির ফিডও ক্রয় করে থাকেন।
তবে এই দীর্ঘ পথচলায় কিছু চ্যালেঞ্জও মোকাবেলা করতে হয়েছে তাকে। গরু গুলোর মাঝে ক্ষুরা রোগ, এলএসডি রোগ ও গ্যাসের সমস্যা দেখা দিয়েছিল। যথাসময়ে স্থানীয় ওষুধের দোকান থেকে চিকিৎসা নিয়ে তিনি গবাদি পশুগুলোর সুস্থতা নিশ্চিত করেছেন। যদিও ইব্রাহীম প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে কোনো প্রশিক্ষণ নেননি বা সরাসরি যোগাযোগ হয়নি, তবুও তিনি নিজ প্রচেষ্টায় খামারটিকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করে আসছেন।
সম্প্রতি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তর, আঞ্চলিক অফিস কুমিল্লা থেকে খামারটি পরিদর্শন করা হয় এবং খামারিকে তথ্য দপ্তরের পরিচিতি দিয়ে নিকটস্থ প্রাণিসম্পদ অফিসের সাথে যোগাযোগ রাখতে পরামর্শ দেয়া হয়। সেই সাথে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ বিষয়ক বিভিন্ন মুদ্রণসামগ্রী বিনামূল্যে প্রদান করা হয়; যাতে তিনি খামার পরিচালনার জন্য প্রাথমিক জ্ঞান ও পরামর্শ পেতে পারেন। সেই সঙ্গে গ্রামের সাধারণ জনগণের মাঝে জনসচেনতার জন্য মুদ্রণ সামগ্রী বিনামূল্যে বিতারণ করা হয়।
খামার গড়ে তোলার এই গল্প শুধুই অর্থনৈতিক সাফল্যের নয়, বরং এটি একজন সাধারণ মানুষের স্বপ্ন, পরিশ্রম ও আত্মনির্ভরতার প্রতিচ্ছবি।