যদি আপনাকে চোখ বন্ধ করে বাংলাদেশের কোন প্রাণির কথা ভাবতে বলা হয়! কী ভাববেন বলুনতো? আপনার চোখে প্রথম ধরা দেবে নানা পাখির কিচির মিচির শব্দ আর বাঘ, সুন্দরবনের ডোরাকাটা বাঘ। আমরা কী কখনও ভাবি, পৃথিবীটা শুধু মানুষের নয়, পৃথিবী প্রত্যেকটি জীবের এমনকী কীটের এমনকী জীবাশ্মেরও। আজ বিশ্ব প্রাণি দিবস। এ দিবস পালনের কারণ হল পৃথিবীর প্রতিটি প্রান্তে প্রাণীদের কল্যাণ, ওদের অবস্থার উন্নতি করা। বিশ্ব প্রাণি দিবস উদ্যাপন করে প্রাণী কল্যাণ আন্দোলনকে আরও একীভূত করা। আমরা প্রত্যেক প্রাণি অন্য প্রাণির উপর নির্ভরশীল। প্রাণিদের জন্য নিরাপদ জীবন চাইতেই পালন করা হয় অক্টোবর মাসের ৪ তারিখ।
জাতি, ধর্ম, বিশ্বাস বা রাজনৈতিক মতাদর্শ নির্বিশেষে দিবসটিকে বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ভাবে পালন করা হয়। অধিক জনসচেতনতা এবং শিক্ষার মাধ্যমে বিশ্বকে গড়ে তুলি যেখানে প্রাণিদের প্রতি সংবেদনশীলতা তৈরি ও তাদের কল্যাণে মনোযোগ দেয়া হয়।
বিশ্ব প্রাণী দিবস সর্বপ্রথম হেনরিক জিম্মারমেন নামের একজন জার্মান লেখক এবং প্রকাশক মেন্স উন্ড হুন্দ/মানুষ এবং কুকুর নামের ম্যাগাজিনে প্রকাশ করেছিলেন। তিনি ১৯২৫ সালের ২৪ মার্চ জার্মানির বার্লিন স্পোর্ট প্যালেসে এ দিবস উদ্যাপন করেন। ৫হাজারের বেশি লোক এ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিল।
১৯২৯ সালে প্রথমবারের মতো এই দিবসটি ৪ অক্টোবর পালন করা হয়। প্ৰথমদিকে তিনি কেবল এই দিবসটিতে জার্মানি, অস্ট্রিয়া, সুইজারল্যান্ড এবং চেকোস্লোভাকিয়ার অনুসারী পান। বিশ্ব প্রাণি দিবস জনপ্রিয়করণের জন্য জিম্মারমেন প্রতি বছর নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন। অবশেষে, ১৯৩১ সালে ইতালির ফ্লোরেন্সে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক প্রাণি সুরক্ষা কংগ্রেসে তার উত্থাপন করা প্রস্তাবমতে ৪ অক্টোবরকে বিশ্ব প্রাণি দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
এটা কখনো কখনো বলা হয়ে থাকে যে ১৯৩১ সালে ইতালির ফ্লোরেন্সে বাস্তুসংস্থানবিদের এক সম্মেলনে সংকটাপন্ন প্রজাতিদের সবার দৃষ্টিগোচর করতে বিশ্ব প্রাণী দিবসের প্রচলন করা হয়।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে অনেক প্রাণি বিলুপ্ত হচ্ছে শুধু প্রকৃতির পরিবর্তনের কারণে।
সূত্র: সিভয়েস২৪.কম।