খালেক হাসান, Author at মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সংবাদ https://motshoprani.org/author/khaleque/ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তর নিউজ পোর্টাল Sun, 31 Mar 2024 07:52:19 +0000 en-US hourly 1 https://wordpress.org/?v=6.5.2 https://motshoprani.org/wp-content/uploads/2024/04/color-icon.png খালেক হাসান, Author at মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সংবাদ https://motshoprani.org/author/khaleque/ 32 32 উটকে কেন জীবন্ত বিষধর সাপ খাওয়ানো হয় https://motshoprani.org/9439/ Sun, 31 Mar 2024 07:52:19 +0000 https://motshoprani.org/?p=9439 খাদ্যচক্রের নিয়মানুযায়ী প্রকৃতির এক প্রাণী অন্য প্রাণীকে ভক্ষণ করে থাকে—এটি স্বাভাবিক। তা–ই বলে জ্যান্ত বিষধর সাপ গিলে ফেলবে কোনো প্রাণী! হ্যাঁ, বিশেষ পরিস্থিতিতে মরুর বাহন উটকে আস্ত সাপ খাওয়ানো হয়। তা–ও আবার কিং কোবরার মতো সাপ। উট এমনিতে খুবই শান্তশিষ্ট প্রাণী। এমন নিরীহ গোছের একটি প্রাণীকে সাপ খাওয়ানো হয় কেন?

তথ্যপ্রযুক্তির কল্যাণে আজকাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উটকে সাপ খাওয়ানোর ভিডিও প্রায়ই দেখা যায়। বস্তুত ‘হায়াম’ নামের উটের এক অদ্ভুতুড়ে রোগের চিকিৎসায় এটি করা হয়।। স্থানীয় শব্দ ‘হায়াম’-এর অর্থ জীবন্ত সাপ গিলে ফেলা। এতে আক্রান্ত হলে খাওয়াদাওয়া বন্ধ করে দেয় উট। ধীরে ধীরে ফুলে শক্ত হয়ে যায় শরীর। তৈরি হয় রক্তশূন্যতা। এ ছাড়া গর্ভপাত, মৃত বাচ্চা প্রসব—প্রভৃতি জটিলতা হয়ে থাকে। চিকিৎসা করা না হলে মারা যেতে পারে। মারা যাওয়ার আগ পর্যন্ত কেবল সূর্যের দিকে তাকিয়ে থাকে। এর একমাত্র চিকিৎসা বলে মনে করা হয় বিষধর সাপ খাওয়ানো। উটমালিক আক্রান্ত উটের মুখ হাঁ করিয়ে জীবন্ত সাপ ঢুকিয়ে দেন। এরপর মুখে পানি ঢালা হয়, যাতে সাপটি ভেতরে চলে যায়। কখনো কখনো উট নিজে নিজেই সাপ খেয়ে ফেলে। সাপের বিষ সারা শরীরে ছড়াতে শুরু করলে খুব তৃষ্ণার্ত হয়ে পড়ে উট। তখন প্রচুর পানি পান করতে থাকে। এই অবস্থা চলতে থাকে মোটামুটি ছয় থেকে আট ঘণ্টা। একপর্যায়ে বিষক্রিয়ার ফলে উটের চোখ দিয়ে পানি ঝরতে শুরু করে এবং অল্প সময়ের মধ্যেই উট সুস্থ হয়ে যায়।

উটের রোগমুক্তির এই চিকিৎসাপদ্ধতি বিজ্ঞানসমর্থিত নয়। চিকিৎসকেরা এটিকে ভ্রান্ত ধারণা বলে মনে করেন
উটের রোগমুক্তির এই চিকিৎসাপদ্ধতি বিজ্ঞানসমর্থিত নয়। চিকিৎসকেরা এটিকে ভ্রান্ত ধারণা বলে মনে করেন .
উটের চোখনিঃসৃত এই পানিকে বলা হয় তিরইয়াক। এটি স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অত্যন্ত যত্নসহকারে তাঁরা এটি সংরক্ষণ করেন। তাঁদের ধারণা, সাপ ও অন্যান্য বিষাক্ত পোকামাকড় দংশন করলে এই পানি নিরাময় হিসেবে কাজ করে। পুরো ব্যাপারটিকে বলা যেতে পারে—বিষে বিষে বিষক্ষয়।

তবে উটের রোগমুক্তির এই চিকিৎসাপদ্ধতি বিজ্ঞানসমর্থিত নয়। চিকিৎসকেরা এটিকে ভ্রান্ত ধারণা বলে মনে করেন। তাঁদের মতে, উটের পরিপাকতন্ত্র অত্যন্ত শক্তিশালী। সাপের কামড় যেমন উটকে কাবু করতে পারে না, তেমনই সাপ গিলে ফেললেও খুব সহজেই তা হজম হয়ে যায়। মরুভূমির মতো প্রতিকূল পরিবেশে জীবন ধারণ করতে গিয়ে উট হরহামেশা সাপের চেয়েও বিষাক্ত খাবার বা প্রাণী খেয়ে থাকে। সেসবের তুলনায় সাপের বিষ অতি নগণ্য ব্যাপার। বিজ্ঞানীরা মনে করেন, উটের সাপ খাওয়া বা খাওয়ানো বিশেষ কোনো বিষয় নয়। এর কোনো ইতিবাচক দিকও বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত নয়। এটি নেহাতই একটি কুসংস্কার।
সূত্র. প্রথম আলো

]]>
বড়শিতে উঠে এলো ২০ কেজির কোরাল https://motshoprani.org/9436/ Thu, 28 Mar 2024 03:54:25 +0000 https://motshoprani.org/?p=9436 শুক্রবার (১৫ মার্চ) দুপুরে শাহপরীর দ্বীপ জালিয়াপাড়ায় জেলে নুর মোহাম্মদের (২৫) বড়শিতে মাছটি ধরা পড়ে। নুর মোহাম্মদ শাহপরীর দ্বীপ জালিয়াপাড়ার সাব্বির আহম্মদের ছেলে।
কক্সবাজারের টেকনাফের নাফ নদীতে বড়শিতে ধরা পড়েছে ২০ কেজির একটি কোরাল মাছ। মাছটি ১১০০ টাকা কেজি দরে ২২ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেটির ইজারাদারের টোল আদায়কারী মোহাম্মদ ছিদ্দিক।

তিনি বলেন, প্রতিদিনের মতো নাফ নদীতে মাছ শিকারে যান নুর মোহাম্মদ। দুপুরের দিকে তার বড়শিতে ২০ কেজির কোরাল মাছটি ধরা পড়ে

নুর মোহাম্মদ বলেন, বড়শি ফেলার কিছু সময়ের মধ্যে এটি ভারি হয়ে ওঠে। প্রথমে ভয় পেলেও পরে নিজের দিকে টানা শুরু করি। একদম কাছাকাছি চলে আসলে বড়শিতে মাছ ধরার বিষয়টি নিশ্চিত হই। কৌশলে মাছটি তীরে তুলে শাহপরীর দ্বীপ বাজারে নিয়ে যাই। এ সময় উৎসুক জনতা মাছটি দেখতে ভিড় করেন। পরে স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলম ২২ হাজার টাকায় মাছটি কিনে নেন।

টেকনাফ উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন জানান, কোরাল মাছ খেতে খুব সুস্বাদু। মাছটি ১১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রির কথা জানান তিনি।
সূত্র. সময় সংবাদ

]]>
মাছের স্কুল’ রাতারাতি বদলে দেয় জেলেদের ভাগ্য https://motshoprani.org/9444/ https://motshoprani.org/9444/#respond Mon, 18 Mar 2024 09:01:56 +0000 https://motshoprani.org/?p=9444 বঙ্গোপসাগরে রয়েছে মাছের স্কুল (মাছের ঝাঁক)। এককেটি স্কুলে থাকে কয়েক হাজার থেকে কয়েক লাখ পর্যন্ত মাছ। আর এই ধরনের একটি মাছের স্কুল ধরা পড়লেই রাতারাতি ভাগ্য বদলে যায় জেলে–বহদ্দারদের।

বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউটের কক্সবাজারস্থ সামুদ্রিক মৎস্য ও প্রযুক্তি কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শফিকুর রহমান জানান, বঙ্গোপসাগরে প্রায় ৪৭০ প্রজাতির মাছ শনাক্ত হয়েছে। যার মধ্যে কিছু প্রজাতির মাছ একাকী এবং কিছু প্রজাতির মাছ দলবদ্ধ বা ঝাঁকে ঝাঁকে চলাফেরা করতে পছন্দ করে। এই ধরনের একেকটি দলে কয়েকশ থেকে কয়েক লাখ পর্যন্ত মাছ থাকতে পারে। আর এই মাছের দলকে বলা হয় ‘স্কুল অব ফিশ’ বা মাছের স্কুল।

তিনি জানান, সাগরে ইলিশ, পোয়া, কোরাল, লাক্ষ্যা, পাঙ্গাস, বাটা, চামিলা, ছুরি, চিংড়িসহ আরও কিছু প্রজাতির মাছ ঝাঁকে ঝাঁকে চলাফেরা করে। তবে পোয়া, কোরাল, লাক্ষ্যা, পাঙ্গাস কিংবা ইলিশ মাছের একটি ‘স্কুল’ ধরা পড়লেই রাতারাতি ভাগ্য বদলে যায় জেলে–বহদ্দারদের।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ওশানোগ্রাফি বিভাগের চেয়ারম্যান ড. ওয়াহিদুল আলম জানান, বঙ্গোপসাগরে জেলেদের জালে মাঝেমধ্যেই বড় বড় ‘স্কুল’ ধরা পড়ে। এমনকি একবার জাল ফেলে উঠে আসতে পারে কোটি টাকার মাছও। তিনি জানান, গত ১১ জানুয়ারি পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে এক জেলের জালে ধড়া পড়ে ৯২ মণ ইলিশ। গত বছর ১৯ আগস্ট কক্সবাজার উপকূলের অদূরে একটি ট্রলারে ১৬০ মণ ওজনের ৫২ লাখ টাকার ইলিশ ধরা পড়ে। ২৬ আগস্ট পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে এক জেলের জালে ১৭০ মণ ইলিশ মাছ ধরা পড়ে। একই বছরের ১৪ আগস্ট নোয়াখালীর একটি ট্রলারে ৯৬ মণ ইলিশ ধরা পড়ে। ৫ সেপ্টেম্বর বরগুনার পাথরঘাটার একটি ট্রলারে ৩০ মণ ইলিশসহ ৫০ মণ মাছ ধরা পড়ে। গত বছর ৫ ফেব্রুয়ারি সেন্টমার্টিন দ্বীপের পশ্চিমে প্রায় ৮০ কিলোমিটার গভীর সাগরে জাল ফেলে কক্সবাজারের এক জেলে ৬ হাজার ১২২টি ইলিশ মাছ পান। তাছাড়া গত বৃহস্পতিবার বঙ্গোপসাগরে পিরোজপুর জেলার এক জেলের জালে ৯০টি লাক্ষ্যা মাছ ধরা পড়ে। গত ২২ ডিসেম্বর কক্সবাজারের মহেশখালীর উপকূলবর্তী বঙ্গোপসাগরে এক জালে ধরা পড়ে ৬ থেকে ১০ কেজি ওজনের ১৫৯টি কালো পোয়া। মাছগুলো কূলে আনার পর ২ কোটি টাকা দাম হাঁকানো হলেও পরে চট্টগ্রাম শহরে এ মাছগুলো ৩০ লাখ ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। এর আগে ৯ অক্টোবর সেন্টমার্টিনের উপকূলবর্তী বঙ্গোপসাগরে এক ট্রলারে ১১৫ কেজি ওজনের ১০টি পোয়া মাছ ধরা পড়ে। ৫ নভেম্বর হাতিয়ার মেঘনা নদী সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে একটি ট্রলারে ৩০০টি বড় আকারের সাগরের পাঙ্গাশ মাছ ধরা পড়ে। এসব মাছ নিলামে ৬ লাখ টাকায় বিক্রি হয়।

২০২২ সালের ১ সেপ্টেম্বর বঙ্গোপসাগরের ১০ বাইন এলাকায় জাল ফেলে টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপের একটি ট্রলারে ১৫০টি (১৭ মণ) লাল কোরাল মাছ ধরা পড়ে। মাছগুলোর একেকটির ওজন সাড়ে ৪–৫ কেজি। একই বছরের ২২ আগস্ট শাহপরীর দ্বীপ–সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে এক জালে ২০০টি লাল কোরাল মাছ ধরা পড়ে। যেগুলোর ওজন সাড়ে তিন কেজি থেকে পাঁচ কেজি পর্যন্ত। ২০২১ সালের ৯ নভেম্বর টেকনাফের জাহাজপুরা উপকূলে স্থানীয় এক জেলের টানা জালে ৯০টি লাল কোরাল মাছ ধরা পড়ে।

বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. তৌহিদা রশীদ বলেন, ভবিষ্যতে জেলেরা যাতে স্যাটেলাইটে এই ধরনের মাছের স্কুলের বিচরণ দেখে মাছ ধরতে যেতে পারে, তারজন্য এই প্রতিষ্ঠানে ওশান অবজার্ভেশন সিস্টেম স্থাপন করা হচ্ছে। বর্তমানে পরামর্শক নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে।
সূত্র. দৈনিক আজাদী

]]>
https://motshoprani.org/9444/feed/ 0
জালে আটকা পড়ল এক ঝাঁক ‘সামুদ্রিক সোনা’, কয়েক জেলে বনে গেলেন কোটিপতি https://motshoprani.org/9426/ Sun, 17 Mar 2024 06:56:15 +0000 https://motshoprani.org/?p=9426 দেখতে সাধারণ মাছের মতো হলেও কালো পোপাকে (পোয়া) বলা হয় ‘সামুদ্রিক সোনা’। আর সেই দুর্লভ মাছের ঝাঁক এসে ধরা পড়েছে কয়েকজন হতদরিদ্র জেলের জালে। দশটি বিশটি নয় ৩০০ বিশালাকার কালো পোয়া ধরা পড়েছে তাদের জালে। এমন অবিশ্বাস্য ঘটনাটি ঘটেছে পাকিস্তানের করাচির উপকূলীয় গ্রাম খারো চানের কয়েক জন জেলের জীবনে। কেটি বন্দরের কাছে সমুদ্রে মাছ ধরার সময় এমনটি ঘটেছে। নিজেদের নিরাপত্তার ভয়ে জেলেরা এসব মাছের মোট মূল্য প্রকাশ করেননি
এমন অবিশ্বাস্য ঘটনাটি ঘটেছে পাকিস্তানের করাচির উপকূলীয় গ্রাম খারো চানের কয়েক জন জেলের জীবনে। কেটি বন্দরের কাছে সমুদ্রে মাছ ধরার সময় এমনটি ঘটেছে। নিজেদের নিরাপত্তার ভয়ে জেলেরা এসব মাছের মোট মূল্য প্রকাশ করেননি। খবর এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।

বাজারে কালো পোপা বা কালো পোয়ার দাম আকাশচুম্বি। সামুদ্রিক এই মাছটির বৈজ্ঞানিক নাম প্রোটোনিবিয়া ডায়াকানথুস যার ইংরেজি নাম ব্ল্যাকস্পটেড ক্রোকার। এটি মূলত ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় পাওয়া যায়।

কালো পোপাকে ‘সমুদ্রের সোনা’ বলা হয় মূলত এর বায়ুথলি বা পটকার জন্য। এদের বায়ুথলি অনেক চড়া দামে বিক্রি হয়। এর বায়ুথলি সাধারণত হংকং, থাইল্যান্ড ও সিঙ্গাপুরে রপ্তানি হয়, যা থেকে বিশেষ ধরনের সার্জিক্যাল সুতা ও আইসিনগ্লাস তৈরি করা হয়। তবে পুরুষ মাছের বায়ুথলির দাম স্ত্রী মাছের তুলনায় বেশি। এ জন্যই কালো পোপাকে সি গোল্ড বা সামুদ্রিক সোনা বলা হয়। চীনে এই মাছের শুকনো পটকার কেজি বিক্রি হয় সর্বোচ্চ ৮০ হাজার ডলারে।

সাধারণত, ভারতের পশ্চিম উপকূলে শীত মৌসুমে এই মাছ জেলেদের জালে বেশি ধরা পড়ে। এর চামড়া থেকে জেলাটিন তৈরি করা হয়। এই প্রজাতির মাছ সর্বোচ্চ দেড় মিটার লম্বা ও ওজনে ৪৫ কেজি পর্যন্ত হতে পারে।
সূত্র. চ্যানেল ২৪

]]>
সাদা পোয়া মাছের বায়ুথলির চাহিদা বাড়ছে আমেরিকায় https://motshoprani.org/9327/ Tue, 12 Mar 2024 09:28:11 +0000 https://motshoprani.org/?p=9327 প্রকাশ: ০৫ মার্চ, ২০২৪ ১০:০১

সাদা পোয়া মাছের বায়ুথলির চাহিদা বাড়ছে আমেরিকায়.

এবার ইউরোপের বাজারেও বঙ্গোপসাগরের পোয়া মাছের চাহিদা বেড়ে গেছে। বিশেষ করে মাছটির ফত্না বা ব্লাডারের (বায়ুথলি) চাহিদাই সবচেয়ে বেশি। দীর্ঘদিন ধরে সামুদ্রিক পোয়া প্রজাতির মাছ ও মাছের ফত্নার বাজার চীন ও হংকংয়ের দখলে ছিল।

এবার আমেরিকার বাজারে পোয়া মাছ ও মাছের ফত্না রপ্তানির সুযোগ হওয়ায় স্থানীয় বাজারও এখন অত্যন্ত চাঙ্গা হয়ে উঠেছে।

বর্তমানে হংকং, চীন ও আমেরিকার বাজারে এক কেজি সাদা পোয়া মাছের ফত্না বিক্রি হচ্ছে ১৫ লাখ টাকায়।

দীর্ঘদিন ধরে কক্সবাজার থেকেই সামুদ্রিক এই মাছটি রপ্তানি হয়ে আসছে। কক্সবাজারে একসময় এই প্রজাতির মাছ রপ্তানির সঙ্গে ১৮টি কারখানা জড়িত ছিল। কিন্তু তখন এ রকম দাম ছিল না।

ফলে অনেকেই ব্যবসা ছেড়ে দেয়। বর্তমানে কক্সবাজারে মাত্র দুটি ও চট্টগ্রামে দুটি কারখানা থেকে এ জাতীয় মাছ রপ্তানি হয়ে আসছে। সাম্প্রতিক সময়ে বিদেশের বাজারে সামুদ্রিক এই মাছটির দাম অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় রপ্তানিকারকদের পাশাপাশি সাগরের জেলেরা মাছ শিকারে তৎপর হয়েছে। বঙ্গোপসাগরে পোয়া প্রজাতির অনেক প্রকারের মাছ রয়েছে।

এর মধ্যে পাঁচ প্রজাতির অর্থাৎ লাল পোয়া, কালো পোয়া, সোনালি পোয়া, তিন দাঁতের পোয়া ও সাদা পোয়া রপ্তানি হয়ে থাকে।

বাংলাদেশ সামুদ্রিক গবেষণা কেন্দ্রের (বুরি) জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা তারেকুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে জানান, বঙ্গোপসাগরের পোয়া মাছের বৈজ্ঞানিক নাম হচ্ছে (Otolithoides Pama)। এসব মাছ শীতকালেই জেলেদের জালে ও বড়শিতে বেশি ধরা পড়ে। সেন্ট মার্টিন দ্বীপ সন্নিহিত সাগরে এই প্রজাতির মাছ বেশি ধরা পড়ে। পোয়া মাছের বায়ুথলি ওষুধ প্রস্তুতকাজে ব্যবহৃত হয়।

সেই সঙ্গে স্যুপ হিসেবেও অত্যন্ত সুস্বাদু হয়ে থাকে।

কক্সবাজারে সাগর ফিশ এক্সপোর্ট প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার ও বাংলাদেশ এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি আবদুল শুক্কুর কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমি নব্বই দশক থেকে চীন ও হংকংয়ের বাজারে সামুদ্রিক পোয়া প্রজাতির মাছ ও ফত্না রপ্তানি করে আসছি। গেল বছর থেকে আমেরিকার বাজারেও পাঠাচ্ছি। বিদেশের বাজারে এখন হোয়াইট ক্রোকার জো ফিশের ফত্নার প্রতি কেজির দাম ১৫ লাখ টাকা।’

তিনি বলেন, তবে অন্যান্য প্রজাতির পোয়া মাছের দাম এত বেশি না। সবচেয়ে বেশি দাম কেবল সাদা প্রজাতির পোয়ার। কক্সবাজারে তাঁর কারখানায় সামুদ্রিক পোয়া প্রজাতির মাছ সূর্যের তাপে প্রক্রিয়াজাত করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

আবদুল শুক্কুর আরো জানান, প্রতি কেজি ৫০ ডলার হিসাবে সামুদ্রিক অন্যান্য পোয়া প্রজাতির এক টন মাছ বিমানে শিগগিরই আমেরিকায় পাঠানো হবে। বাংলাদেশ থেকে একমাত্র তাঁর প্রতিষ্ঠানই আমেরিকায় সামুদ্রিক মাছ (সি ফুড) রপ্তানির অনুমতি পেয়েছে বলে জানান তিনি।

গত শুক্রবার ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মাহবুবুল আলম কক্সবাজারে সাগর ফিশ এক্সপোর্ট কারখানা পরিদর্শন করেন। এ সময় সামুদ্রিক সাদা পোয়া মাছের ফত্নার এমন দাম শুনে আশান্বিত হয়ে সাগরে মাছটির রক্ষণাবেক্ষণসহ বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের পথ আরো বেগবান করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

এ সময় কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (কউক) চেয়ারম্যান কমোডর (অবসরপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ নুরুল আবছার বলেন, কক্সবাজারের সাগর এলাকায় পোয়া প্রজাতির মাছের বংশ বৃদ্ধির ব্যাপারে যা করণীয় তাই করার সহযোগিতা দেওয়া হবে।
সূত্র. কালের কণ্ঠ।

]]>
রঙিন মাছের দুনিয়ায় দুই বান্ধবী https://motshoprani.org/9362/ Tue, 12 Mar 2024 09:26:09 +0000 https://motshoprani.org/?p=9362 রাবেয়া খাতুনের সঙ্গে আশফাকুন নাহারের পরিচয় ছোটবেলায়, তাঁরা পরস্পরের আত্মীয়। দুজনের বাড়ি দুই জেলায়। দুজনই উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেছেন। নিয়েছিলেন বেসরকারি চাকরিও। একসঙ্গে কিছুদিন চাকরি করার পর মানুষের জন্য কাজ করার কথা ভাবেন, সিদ্ধান্ত নেন ব্যবসা করবেন।

২০১৭ সালে একদিন দুজন একত্রে বসে ভাবেন, চাকরি ছেড়ে ব্যবসায় গেলে হাতে পর্যাপ্ত সময় পাবেন। যে সময়টা তাঁরা মানুষের কল্যাণে ব্যয় করতে পারবেন। সেই সিদ্ধান্তে অল্প দিনের ব্যবধানে তাঁরা চাকরি ছেড়ে বেছে নেন অ্যাকুয়ারিয়াম তৈরি ও বিক্রির ব্যবসা। গড়ে তোলেন অ্যাকুয়ারিয়াম তৈরির কারখানা, রঙিন মাছের খামার। দিয়েছেন বিক্রয় ও প্রদর্শনীকেন্দ্র, যার নাম দিয়েছেন ‘স্বপ্নছোঁয়া ফিশ ফার্মিং অ্যান্ড অ্যাকুয়ারিয়াম’। এখন নিজেরাই কাচ কেটে অ্যাকুয়ারিয়াম তৈরি করছেন। যেখানে মাছ ছাড়া থেকে শুরু করে খাবার দেওয়া—সবই করেন তাঁরা। দুই বান্ধবী এখন রঙিন মাছের দুনিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। পাশাপাশি এ কাজ থেকে যে আয় করছেন, তা দিয়ে সামাজিক কাজ করে যাচ্ছেন। অসুস্থ রোগীর চিকিৎসায় সাহায্য, মসজিদ নির্মাণ বা সংস্কারকাজে সহায়তা, শীতের সময় বস্ত্র বিতরণ, ঈদে অসহায়দের নতুন কাপড় দেওয়া থেকে শুরু করে নানা অনুষ্ঠানে সহযোগিতা করছেন।

রাবেয়া খাতুন (৫২) মাগুরার পারলা গ্রামের মৃত আসমত আলী শেখের কন্যা। তাঁরা চার বোন—হাসিনা বেগম, শাহনাজ বেগম, রেবেকা খাতুন ও রাবেয়া খাতুন। রাবেয়া সবার ছোট, বড় তিন বোনের বিয়ে হয়েছে। রাবেয়া মাগুরা সরকারি কলেজ থেকে বাণিজ্যে স্নাতক (পাস) পাস করেন। পরে ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ করেন। আশফাকুন নাহার (৪২) ঝিনাইদহ শহরের চাকলাপাড়া এলাকার মৃত মুন্সী এনামুল হকের মেয়ে। একরামুল হক, এহসানুল হক ও এহতেশামুল হক নামে তাঁর তিন ভাই আছেন। এ ছাড়া এমরাতুন নাহার নামে বড় এক বোন আছেন। আশফাকুন সবার ছোট। তিনি ঝিনাইদহ সরকারি কেসি কলেজ থেকে বাংলায় স্নাতক (সম্মান) ও ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ করেন। তাঁরা দুজন সম্পর্কে খালাতো বোন।

কর্মজীবনের গল্প
১৯৯৭ সালে রাবেয়া প্রথম প্রশিকায় কর্মজীবন শুরু করেন। কিছুদিন পর যোগ দেন মার্কেন্টাইল কো-অপারেটিভ ব্যাংকে। ২০০৮ সালে যোগ দেন আদ-দ্বীন উইমেনস মেডিকেল কলেজের হিসাব বিভাগে। এখানে আগে থেকেই কাজ করতেন আশফাকুন নাহার। ৯–১০ বছর একসঙ্গে চাকরি করার পর মানুষের জন্য কাজ করার ইচ্ছা নিয়ে ব্যবসার চিন্তা শুরু করেন। আশফাকুন নাহার জানান, তাঁর বাবা পেশায় ঠিকাদার ছিলেন। পাশাপাশি সামাজিক নানা কর্মকাণ্ডে নিজেকে জড়িত রেখেছিলেন। এটা দেখে তাঁরও ব্যবসায়ী হওয়ার ইচ্ছা হতো। পড়ালেখা শেষে ব্যবসা করার ইচ্ছা থাকলেও পুঁজির অভাবে চাকরিতে চলে যান।

রাবেয়া খাতুন জানান, সংসারের হাল ধরার মতো তাঁর কেউ ছিল না। তাই চাকরিতে যোগ দেন। আশফাকুন নাহারের প্রতিষ্ঠানে আসার পর দুজন থাকা–খাওয়া, চলাফেরা একসঙ্গেই করতেন। আশফাকুন নাহার প্রায়ই ব্যবসা করার কথা বলতেন। ২০১৭ সালে একদিন দুজন একসঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নেন ব্যবসা করবেন, রঙিন মাছের ব্যবসা। এ জন্য অ্যাকুয়ারিয়াম তৈরির কারখানা, বিক্রির জন্য একটি শোরুম আর মাছ উৎপাদনের জন্য খামার করতে হবে। ওই বছরই আশফাকুন নাহার চাকরি ছেড়ে বাড়িতে এসে ব্যবসার প্রাথমিক কাজ শুরু করেন। আর ২০১৮ সালে চাকরি ছেড়ে তাঁর সঙ্গে যোগ দেন রাবেয়া খাতুন।

শুরুটা যেভাবে
ঝিনাইদহ শহরের কবি গোলাম মোস্তফা সড়কের পুরাতন কুষ্টিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সাত শতক জমি আশফাকুন নাহারের বাবার। সেখানে প্রতিষ্ঠান গড়ার ইচ্ছা নিয়ে পরিবারের সবার সঙ্গে কথা বলেন আশফাকুন। বাবার দেওয়া সেই সাত শতক জমির ওপর কারখানা আর শোরুম গড়ে তোলেন। প্রথমে ১৪ লাখ টাকা ব্যয় করতে হয়েছে। ২০১৮ সালের ২০ ডিসেম্বরে তাঁদের এই স্বপ্ন ছোঁয়ার যাত্রা শুরু হয়। পাশাপাশি নিজেদের বাসার সঙ্গে মৎস্য খামার প্রতিষ্ঠা করেন।

অ্যাকুয়ারিয়াম তৈরি ও বিক্রি
রাবেয়া খাতুন জানান, তাঁরা যখন এই প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন, তখন এলাকায় একটিমাত্র প্রতিষ্ঠান ছিল। পরে আরও বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। মালামাল ক্রয় থেকে শুরু করে অ্যাকুয়ারিয়াম তৈরি, বিক্রি, মাছের চাষ—সবই করেন তাঁরা। কাজের চাপ বাড়লে শ্রমিক নিয়োগ দেন। বর্তমানে মাসে অন্তত ১০টি অ্যাকুয়ারিয়াম তৈরি করছেন, বিক্রিও হয়ে যাচ্ছে। একটি অ্যাকুয়ারিয়াম তৈরি করতে ৩০০ থেকে ৫ হাজার টাকা খরচ হয়। বাজারে বিক্রি হয় ৫০০ থেকে ৭ হাজার টাকায়। ঝিনাইদহ ছাড়াও চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, মাগুরা, ফরিদপুর, মেহেরপুর এলাকায় তাঁদের তৈরি অ্যাকুয়ারিয়াম বিক্রি হচ্ছে।

তাঁদের মৎস্য খামারে ১৮ থেকে ২০ প্রজাতির ৫০ হাজারের বেশি মাছ রয়েছে। রাবেয়া জানান, এসবের সঙ্গে মাছের খাবারও বিক্রি করেন তাঁরা। তাঁদের এই আয় সংসারের খরচ আর মানুষের কল্যাণে ব্যয় করেন
সূত্র. প্রথম আলো।

]]>
ভেটেরিনারি সেক্টরে এক নতুন দিগন্ত https://motshoprani.org/9330/ Tue, 12 Mar 2024 09:24:19 +0000 https://motshoprani.org/?p=9330 গত ০৪ ই মার্চ ২০২৪ এ উন্মোচিত হলো ভেটেরিনারি সেক্টরে এক নতুন দিগন্ত। যোগ হলো নিরাপদ ও সুস্থ খামারের এক নতুন পথচলা যা ফার্মে আনবে সহজ সমাধান, গবাদিপ্রাণীর চিকিৎসায় যোগ করবে নতুন মাত্রা। উন্নত প্রযুক্তির এই নিরাপদ ব্যবহারই ভবিষ্যতে অবসান ঘটাবে অপরিকল্পিত এন্টিবায়োটিকের উপর নির্ভরশীলতা। এগ্রোভেট ডিভিশন, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস পিএলসি জার্মানীর স্বনামধন্য “Boehringer Ingelheim” এর সাথে যৌথভাবে বাংলাদেশে নিয়ে এল ফুট এন্ড মাউথ ডিজিজ (ক্ষুরা রোগ) এর ভ্যাকসিন, AFTOVAXPUR®।
ওয়েস্টিন ঢাকার বলরুমে অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস পিএলসি এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর জনাব তপন চৌধুরী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন Boehringer Ingelheim এর এনিমেল হেলথ এর কান্ট্রি হেড এবং ডিরেক্টর (ইন্ডিয়া) Dr. Vinod Gopal।
অনুষ্ঠানের Key Note Speaker হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিভাসু এর সাবেক ভিসি এবং ওয়ান হেল্থ এর ন্যাশনাল কোঅর্ডিনেটর, অধ্যাপক ডাঃ নিতিশ চন্দ্র দেবনাথ। নিরাপদ ভ্যাকসিন এর ব্যবহার ও ফার্মের নতুন সমাধান হিসেবে AFTOVAXPUR® ভ্যাকসিন সম্পর্কে বিস্তারিত বক্তব্য রাখেন Boehringer Ingelheim এর টেকনিক্যাল ডিরেক্টর Dr. Nicolas Denormandie এবং টেকনিক্যাল ও মার্কেটিং ম্যানেজার Dr. Mohamed Alnahrawy।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ডিরেক্টর জেনারেল জনাব ডাঃ মো: রিয়াজুল হক, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর এর ডিরেক্টর জেনারেল মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফ। এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর, ওয়ান হেলথ্, GdGI (FAO), বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকবৃন্দ সহ সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের ঊর্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে ডেইরি সেক্টরের অভিজ্ঞ ব্যক্তিবর্গেরা উপস্থিত থেকে তাদের ডেইরি ইন্ডাস্ট্রি সম্পর্কে বাস্তব অভিজ্ঞতা উপস্থিত সকলের সাথে শেয়ার করেন এবং একই সাথে বর্তমান ডেইরি সেক্টরের নানাবিধ বিষয় এবং ভ্যাকসিন ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।
বাংলাদেশের ডেইরি সেক্টরের স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের বিশিষ্ট ব্যাক্তিবর্গ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে তাদের মূল্যবান মতামত তুলে ধরেন।
সম্মেলনে আগত অতিথিদের অর্ভ্যথনা জানান স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস পিএলসি এর এগ্রোভেট ডিভিশন এর সিনিয়র ম্যানেজার জনাব আরিফুজ্জামান এবং রুবাইয়াত নূরুল হাসান। অনুষ্ঠানের সার্বিক পরিচালনা করেন এগ্রোভেট ডিভিশন এর জেনারেল ম্যানেজার জনাব জয়ন্ত দত্ত গুপ্ত । নৈশ ভোজের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সফল সমাপ্তি ঘটে।
সূত্র. মানবজমিন।

]]>
2028 সালের মধ্যে 206 বিলিয়ন ডলার যোগ করবে ব্লু ইকোনমি প্রোগ্রাম: বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট https://motshoprani.org/9351/ Tue, 12 Mar 2024 09:22:47 +0000 https://motshoprani.org/?p=9351 গবেষণাপত্রটি 2017 সালে ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠার সময় গৃহীত একটি 10-বছরের পরিকল্পনার বিশদ বিবরণ দেয়, যা 2018 থেকে 2028 সাল পর্যন্ত নীল অর্থনীতির বিকাশের জন্য একটি কৌশলগত পদ্ধতির রূপরেখা দেয়।
ভারী খনিজ এবং টাইটানিয়াম অক্সাইডের মতো খনিজ সম্পদের উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক সম্ভাবনা রয়েছে
একটি নতুন কাঁকড়া চাষ পদ্ধতি বার্ষিক $30 মিলিয়ন উপার্জন করতে পারে
দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা তথ্য সংগ্রহ এবং সম্পদ অনুসন্ধানের জন্য উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে
এই পরিকল্পনার লক্ষ্য হল মেরিকালচারের উন্নয়ন করা, লবণ উৎপাদনের উন্নতি করা এবং সামুদ্রিক শক্তির উৎস যেমন বায়ু ও জোয়ার-ভাটার শক্তির সন্ধান করা।

সরকার, গবেষণা প্রতিষ্ঠান এবং বেসরকারি খাতের মধ্যে সহযোগিতা সাফল্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হিসাবে দেখা হয়
বাংলাদেশ ওশেনোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট (বিওআরআই) দেশের ব্লু ইকোনমি উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করছে, গবেষণা কর্মসূচী জাতীয় জিডিপিতে যথেষ্ট বৃদ্ধির জন্য প্রত্যাশিত।
ইনস্টিটিউটের ভূতাত্ত্বিক সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোঃ জাকারিয়ার উপস্থাপিত একটি গবেষণাপত্র অনুসারে, এই স্বল্প, মাঝারি এবং দীর্ঘমেয়াদী কর্মসূচির সফল বাস্তবায়ন 2028 সালের মধ্যে অর্থনীতিতে 206 বিলিয়ন ডলারের পরোক্ষ অবদান দেখতে পাবে।

এই চিত্তাকর্ষক পরিসংখ্যানটি বাংলাদেশের বর্তমান জিডিপি $446.3 বিলিয়নের প্রায় অর্ধেক (46%) প্রতিনিধিত্ব করে, জাকারিয়া বলেন।

আজ ঢাকার আগারগাঁওয়ে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কমপ্লেক্সের মাল্টিপারপাস হলে ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট আয়োজিত ‘ব্লু ইকোনমি ডেভেলপমেন্টের জন্য গবেষণা ও পরিকল্পনা’ শীর্ষক সেমিনারে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।
জাকারিয়া নীল অর্থনীতির সম্ভাবনাকে উপলব্ধি করার জন্য ইনস্টিটিউটের চলমান প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরেন। তিনি গবেষণা ফলাফলের অর্থনৈতিক মূল্য মূল্যায়ন, সরকারী ও বেসরকারী বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং বাণিজ্যিক উৎপাদনের জন্য একটি পথ প্রতিষ্ঠার গুরুত্বের উপর জোর দেন।

গবেষণাপত্রটি 2017 সালে ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠার সময় গৃহীত একটি 10-বছরের পরিকল্পনার বিশদ বিবরণ দেয়। এই পরিকল্পনাটি 2018 থেকে 2028 সালের মধ্যে নীল অর্থনীতির উন্নয়নের জন্য একটি কৌশলগত পদ্ধতির রূপরেখা দেয়। স্বল্পমেয়াদী পরিকল্পনাটি 2018 থেকে 2020 পর্যন্ত বাস্তবায়িত হয়েছিল, তারপরে মধ্য-মেয়াদী পরিকল্পনাটি 2023 সালে শেষ হচ্ছে। বর্তমানে, 2028 সালের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কার্যক্রম চলছে।
জাকারিয়া ভারী খনিজ, টাইটানিয়াম অক্সাইড, বিশুদ্ধ সিলিকা এবং বিরল খনিজ সহ খনিজ উৎপাদনের সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন। তিনি পরামর্শ দেন যে এই সম্পদ থেকে প্রাপ্ত অর্থনৈতিক মূল্য বাংলাদেশের বর্তমান জিডিপির সাথে প্রায় মিলে যেতে পারে।

ইনস্টিটিউটটি সামুদ্রিক কাঁকড়া চাষের জন্য একটি প্রতিশ্রুতিশীল পদ্ধতিও তৈরি করেছে, যার ফলে বার্ষিক রাজস্ব $30 মিলিয়ন হতে পারে।জাকারিয়া বলেন, ২০২০ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে সেন্ট মার্টিন থেকে ফেনী পর্যন্ত প্রায় ৮,০০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে বেসলাইন ডেটা সংগ্রহ করা হয়েছিল। তবে গবেষণা জাহাজের অনুপস্থিতির কারণে, মাছ ধরার ট্রলার ব্যবহার করে অগভীর এলাকায় ডেটা সংগ্রহ করা হয়েছিল।গবেষণার ফলাফল কক্সবাজার সমুদ্র এলাকায় 8% থেকে 18% পর্যন্ত ভারী খনিজগুলির উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি প্রকাশ করেছে।দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং রিমোট সেন্সিং ব্যবহার করে ভৌত এবং মহাসাগরীয় দিকগুলির উপর ভিত্তি করে তথ্য সংগ্রহ করা জড়িত। এটি উপকূলীয় অঞ্চলে ফাইটোপ্ল্যাঙ্কটন জীববৈচিত্র্য এবং ক্লোরোফিলের ঘনত্ব নিরীক্ষণ করতে সহায়তা করে। এতে আঞ্চলিক মহাসাগরের মডেল তৈরি করাও অন্তর্ভুক্ত।

অতিরিক্তভাবে, পরিকল্পনায় ভূতাত্ত্বিক সমুদ্রবিজ্ঞানের উপর ভিত্তি করে তথ্য সংগ্রহ করা এবং খনিজ সম্পদ সনাক্তকরণ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এটি উৎপাদন এবং ধাতু প্রক্রিয়াকরণের জন্য সামুদ্রিক খনিজ ব্যবহার করার লক্ষ্য রাখে।

এতে ভোজ্য সামুদ্রিক এবং অ-সামুদ্রিক মাছের প্রজাতি তালিকাভুক্ত করা, সামুদ্রিক খাবারের গুণমান মূল্যায়ন করা এবং তাদের ব্যবহার প্রচার করা জড়িত।

তদ্ব্যতীত, পরিকল্পনায় পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি উৎপাদনের জন্য সামুদ্রিক শক্তির গবেষণা, অফশোর উইন্ডমিল স্থাপন এবং বায়ু ও জোয়ার-ভাটার শক্তি উৎপাদনের জন্য অবস্থান চিহ্নিত করা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে মেরিকালচারের মাধ্যমে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং লবণ উৎপাদনের উন্নতি করাও এর লক্ষ্য।

সেমিনারের প্রধান অতিথি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান মাছ, পরিবেশ ও সমুদ্রপথের মতো বিষয় নিয়ে গবেষণার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি নিঃস্বার্থভাবে দেশ ও জাতির সেবা করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তার মূল বক্তব্যে, রিয়ার এডমিরাল (অব.) মোঃ খুরশেদ আলম, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, গবেষণা কীভাবে বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে পারে এবং বাণিজ্যিক উৎপাদনে অবদান রাখতে পারে তা তুলে ধরেন। তিনি প্রযুক্তিগত অগ্রগতি এবং সরকারী সহায়তার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন।
খুরশেদ আলম প্রযুক্তি ব্যবহার করে গবেষণা প্রচেষ্টাকে একীভূত করার গুরুত্বের ওপর জোর দেন।
ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক অধ্যাপক তৌহিদা রশিদ এই ইভেন্টটির সভাপতিত্ব করেন, যিনি উল্লেখ করেছিলেন যে সরকারী সহায়তায় পদ্ধতিগত কাজ চলছে তবে তহবিল বৃদ্ধি এবং গবেষণা প্রচেষ্টার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছেন।
সূত্র.দ্যা বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

]]>
দেশ থেকে বিলুপ্ত হয়েছে ৩১ প্রজাতির বন্যপ্রাণী https://motshoprani.org/9368/ Tue, 12 Mar 2024 09:13:46 +0000 https://motshoprani.org/?p=9368 আবাসস্থল হারিয়ে ক্রমেই হুমকির মুখে দেশের বন্যপ্রাণী। আবার বন উজাড়ে কমছে খাদ্যের জোগান। এমন নানা সংকটে উভচর, সরীসৃপ, পাখি ও স্তন্যপায়ী মিলে গত ১০০ বছরে দেশ থেকে ৩১ প্রজাতির বন্যপ্রাণী চিরতরে হারিয়ে গেছে। ঝুঁকির কাছাকাছি রয়েছে আরো ৯০ প্রজাতির প্রাণী। প্রকৃতি সংরক্ষণবিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচারের (আইইউসিএন) এক জরিপে এ তথ্য উঠে আসে। তবে সম্প্রতি এ তথ্য জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী নিজেই।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খাদ্য ও বাসস্থান সংকট, বন উজাড়, অপরিকল্পিত নগরায়ণসহ নানা কারণে বন্যপ্রাণী বিলুপ্ত হচ্ছে। আইইউসিএনের ২০০০ সালের গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশ থেকে বিলুপ্ত বন্যপ্রাণীর প্রজাতির সংখ্যা ছিল ১৩। আর ২০১৫ সালের প্রতিবেদনে ৩১ প্রজাতির বন্যপ্রাণী বিলুপ্তর তথ্য দেয়া হয়েছে । অর্থাৎ এ ১৫ বছরে বাংলাদেশ থেকে আঞ্চলিকভাবে বিলুপ্ত হয়েছে অন্তত ১৬ প্রজাতির প্রাণী।

আইইউসিএনের তালিকা অনুযায়ী দেশে মোট ৫৬৬ প্রজাতির পাখি ছিল একসময়। তবে ১০০ বছরের মধ্যে ১৯ প্রজাতির পাখি চিরতরে হারিয়ে গেছে। এ সময়ে বিলুপ্ত হয়েছে ১১ প্রজাতির স্তন্যপায়ী ও এক প্রজাতির সরীসৃপ। বিলুপ্ত হওয়া স্তন্যপায়ী প্রাণীর মধ্যে রয়েছে ডোরাকাটা হায়েনা, ধূসর নেকড়ে, নীলগাই, বান্টিং বা বনগরু, বনমহিষ, সুমাত্রা গন্ডার, জাভা গন্ডার, ভারতীয় গন্ডার, বাদা বা জলার হরিণ, কৃষ্ণষাঁড় ও মন্থর ভালুক। পাখির মধ্যে রয়েছে লালমুখ দাগিডানা, সারস, ধূসর মেটে তিতির, বাদা তিতির, বাদি হাঁস, গোলাপি হাঁস, বড় হাড়গিলা বা মদনটাক, ধলাপেট বগ, সাদাফোঁটা গগন রেড, রাজশকুন, দাগি বুক টিয়াঠুঁটি, লালমাথা টিয়াঠুঁটি, গাছ আঁচড়া ও সবুজ ময়ূর। আর সরীসৃপজাতীয় প্রাণীর মধ্যে মিঠাপানির কুমির বাংলাদেশ থেকে হারিয়ে গেছে।

এদিকে ওয়াইল্ডলাইফ অলিম্পিয়াডের উদ্বোধন উপলক্ষে গতকাল পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানে মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘নানা কারণে আমাদের পরিবেশ আজ সংকটাপন্ন। বুনোহাতির দল থেকে শুরু করে পাখি, এমনকি সাগরের তলদেশের প্রাণী হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে। ১০০ বছরে দেশ থেকে বিলুপ্ত হয়ে গেছে ৩১ প্রজাতির বন্যপ্রাণী।’

পরিবেশনমন্ত্রী বলেন, ‘বন্যপ্রাণীর বিলুপ্তি ও বিপদাপন্ন হওয়ার ফলে বিঘ্নিত হচ্ছে প্রকৃতির স্বাভাবিক ভারসাম্য, যা মানুষের ওপরেও বিরূপ প্রভাব ফেলছে। বন্যপ্রাণী ও বাস্তুতন্ত্র রক্ষা এখন কেবল দরকারই নয়, বরং অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। আমরা আর কোনো বন্যপ্রাণী হারাতে চাই না।’

আইইউসিএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের ৩৯০টি বন্যপ্রাণী কোনো না কোনোভাবে বিপন্ন। এসব প্রাণীর তালিকাকে আবার তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এর মধ্যে মহাবিপন্ন প্রাণী ৫৬টি, বিপন্ন ১৮১টি ও ঝুঁকিতে আছে ১৫৩টি প্রজাতি। আর ঝুঁকির কাছাকাছি রয়েছে ৯০ প্রজাতির প্রাণী। এ প্রজাতিগুলোকে আইইউসিএন লাল তালিকাভুক্ত করেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মোস্তফা ফিরোজ বণিক বার্তাকে বলেন, ‘বাংলাদেশে বন্যপ্রাণী বিলুপ্ত হওয়ার পেছনে মানবসৃষ্ট কারণ সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখছে। যেমন বন্যপ্রাণীর বাসস্থান নষ্ট করা হচ্ছে। জনসংখ্যার ঘনত্ব, নগরায়ন, জলাশয় ভরাটের কারণে এসব প্রাণী হুমকির মুখে পড়ছে। এছাড়া হাওরে দেখা যায় অতিরিক্ত চায়না জালের ব্যবহার। এতে পাখি কমে যাচ্ছে। এসব কারণে আবার প্রজননস্থানও নষ্ট হচ্ছে। বাংলাদেশে এখন ৫৩টি এলাকাকে বন্যপ্রাণী প্রটেক্টেড এরিয়া হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। বিবেচনা করা হয়েছে পাঁচটি সামুদ্রিক প্রটেক্টেড এরিয়া। এছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনজনিত নানা সমস্যার কথা বিবেচনায় নিয়ে বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। এগুলো ধরে রাখা গেলে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ সম্ভব হবে।’
সূত্র.বনিক বার্তা ।

]]>
সাফারি পার্ক পেলো অর্ধশত চিত্রা হরিণ https://motshoprani.org/9378/ Tue, 12 Mar 2024 09:01:22 +0000 https://motshoprani.org/?p=9378 গাজীপুরের শ্রীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে ৫০টি চিত্রা হরিণ দিয়েছে গ্রিন ভিউ গলফ রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ।
রোববার (১০ মার্চ) দুপুরে বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অধিদফতরের মাধ্যমে সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ঢাকা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) শারমিন আক্তার এ হরিণগুলো বিনামূল্যে গ্রহণ করেন।

গ্রিন ভিউ গলফ রিসোর্টের ভূমি উপদেষ্টা বুলবুল ইসলাম বলেন, গ্রিন ভিউ গলফ রিসোর্টের সৌজন্যে ৫০টি হরিণ প্রদান করা হয়েছে। এতে অনেকে উৎসাহিত হবে। হরিণগুলোর মূল্য প্রায় এক কোটি টাকা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে হরিণগুলো দেওয়ার জন্য গত বছরের ২৪ আগস্ট বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অধিদফতরে আবেদন করেছিলাম। ওই বছরের সেপ্টেম্বর মাসে হরিণ প্রদানের অনুমতি পেয়েছি। প্রায় একযুগেরও বেশি সময় থেকে গ্রিন ভিউ গলফ রিসোর্ট সরকারি বিধি-বিধান মেনে হরিণ পালন করে আসছে। সঠিক পরিচর্যা ও পরিবেশ অনূকুলে থাকায় হরিণগুলো দ্রুত বংশ বৃদ্ধি করে। সাফারি পার্কের দর্শনার্থীর কথা চিন্তা করে ছোট-বড় ৫০টি হরিণ ওই পার্কে প্রদান করা হয়েছে।তিনি আরও বলেন, গ্রিন ভিউ গলফ রিসোর্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ফকির মনিরুজ্জামানের পক্ষে তার চার ভাই হরিণগুলো প্রদান করেন। হরিণগুলোর মধ্যে ২২টি বড় এবং ২৮টি ছোট হরিণ রয়েছে।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, সাফারি পার্কে প্রাণী আবদ্ধ থাকে এবং ভিজিটররা উন্মুক্ত থাকে। হরিণগুলো একটি অংশের মধ্যে বিচরণ করে। রিসোর্টে থাকা অবস্থায় হরিণগুলো নির্দিষ্ট একটি বেষ্টনির মধ্যে ছিল। এখন হরিণগুলো উন্মুক্ত অবস্থায় থাকবে। এতে করে প্রাণীগুলোর রোগবালাই কম হবে। হরিণগুলো প্রথমে সর্বনিম্ন ১৫ দিন কোয়ারেন্টাইন শেডে রেখে দেখবো রোগবালাই আছে কি না।

ঢাকা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) শারমিন আক্তার বলেন, হরিণ দ্রুত প্রজননক্ষম প্রাণী। হরিণের বংশ বিস্তার বেশ দ্রুত হয়। গ্রিন ভিউ গলফ রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ তাদের পালিত হরিণগুলো কোথাও বিক্রি বা দান না করে সরকারের কাছে প্রদান করেছে। আমরা চাই, এটার অনুকরণে অন্য প্রতিষ্ঠান আগ্রহী হয়ে এগিয়ে আসুক। সাফারি পার্কে হরিণগুলো সবসময় বিচরণ করবে, দর্শনার্থী, সর্ব সাধারণ এবং সর্ব পর্যায়ের দর্শক দেখবে, উপভোগ করবে এটা তাদের জন্য যেমন আনন্দের আমাদের জন্যও তেমন আনন্দের। এটি একটি চমৎকার উদ্যোগ। অন্যরা আগ্রহী হবে এবং অনুকরণীয় হয়ে থাকবে। সত্যিই এ উদ্যোগটি খুবই প্রশংসনীয় এবং ভালো উদ্যোগ।
সূত্র. রিজিংবিডি।

]]>