Mohammad Al Amin, Author at মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সংবাদ https://motshoprani.org/author/mohammad-al-amin/ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তর নিউজ পোর্টাল Sun, 17 Mar 2024 06:54:34 +0000 en-US hourly 1 https://wordpress.org/?v=6.5.2 https://motshoprani.org/wp-content/uploads/2024/04/color-icon.png Mohammad Al Amin, Author at মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সংবাদ https://motshoprani.org/author/mohammad-al-amin/ 32 32 জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১১-১৭মার্চ জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ-২০২৪ উপলক্ষে আঞ্চলিক অফিস, কুমিল্লার প্রচার-প্রচারণা https://motshoprani.org/9418/ Sun, 17 Mar 2024 06:54:34 +0000 https://motshoprani.org/?p=9418
 মো.আল আমিন(কুমিল্লা)
১৪.০৩.২৪তারিখে  মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তর, আঞ্চলিক অফিস,কুমিল্লার পক্ষ থেকে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ-২০২৪ উপলক্ষ্যে প্রচার ও প্রচারনার লক্ষ্যে এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে কুমিল্লা জেলার পদুয়ার বাজার, বিশ্বরোড মাছের বাজার, টমছম ব্রিজ মাছের বাজার,শাসনগাছা মাছের বাজার,রানির বাজার, কান্দিরপাড় মাছের বাজার, রাজগঞ্জ মাছের বাজার মৎস্য আড়ৎ, মাছ ব্যবসায়ী এবং জনবহুল গুরুত্বপূর্ণ স্হানে স্থানীয় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তর প্রধান দপ্তর কর্তৃক প্রকাশিত  জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ ২০২৪  বিষয়ক লিফলেট বিতরণ করা হয়।
প্রতিবেদনকারীঃ
মো.আল আমিন
কৃষি তথ্য কেন্দ্র সংগঠক
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তর
আঞ্চলিক অফিস,কুমিল্লা।
]]>
ব্ল্যাক বেঙ্গল জাতের ছাগল পালনে সফলতা অর্জন করেছে দিদারুল রেজা রাসেল https://motshoprani.org/9333/ Thu, 07 Mar 2024 07:22:41 +0000 https://motshoprani.org/?p=9333 দিদারুল রেজা রাসেল কুমিল্লা জেলার আদর্শ সদর উপজেলায় এক মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহন করেন। তিনি ১৯৯৬ সালে এস এস সি ১৯৯৮ সালে এইচ এস সি এবং ২০০২ সালে কুমিল্লা সরকারি কলেজ থেকে স্নাতক এবং কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ থেকে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন।

২০২০ সালে সর্বপ্রথম ১০ থেকে ১২ টি ছাগল স্থানীয় বাজার থেকে ক্রয় করে ছোট আকারের ছাগলের খামার শুরু করেন এবং এই খামারের নাম দেন কুমিল্লা এগ্রো ফার্ম। বর্তমানে তার খামারে ২০-২৫ টি ব্ল্যাক বেঙ্গল জাতের ছাগল রয়েছে।

এই ছাগলের খামারকে কেন্দ্র করে সাত জন লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে অর্থাৎ প্রতিদিন এই সাত জন শ্রমিক ছাগলগুলোকে দেখাশোনা করেন।

দিদারুল নিজ উদ্যোগে প্রায় তিন কানি জায়গায় উন্নত জাতের নেপিয়ার ঘাস চাষ করেন এবং এই নেপিয়ার ঘাস ছাগলের প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় রাখেন। ছাগলের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রয়েছে নেপিয়ার ঘাস,গমের ভূষি,কাঠাল পাতা । প্রতিটি ছাগলের জন্য প্রতিদিন প্রায় ২০০ গ্রাম খাবার (ঘাস গমের ভূষি, কাঠাল পাতা) খাওয়ান।

দিদারুল বলেন তিনি প্রতিদিন উত্তর বঙ্গের বিভিন্ন জেলা- পঞ্চগড়, ঠাকুরগাও, রংপুর, গাইবান্দা থেকে প্রতিদিন ৪০টি ছাগল ক্রয় করেন এবং প্রতিদিন পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন জেলা- চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী ও কুমিল্লা বিভিন্ন উপজেলায় ৮৬০ টাকায় প্রতি কেজি হিসাবে জীবন্ত ছাগল বিক্রি করেন। প্রতিদিন প্রায় ২০-২৫টি ছাগলি বিক্রি করেন।

তিনি আরও বলেন তার একটি কুমিল্লা এগ্রো ফার্ম নামে অনলাইন পেইজ রয়েছে যার মাধ্যমে তিনি অনলাইনে ছাগল বিক্রি করে থাকেন কিছুদিন আগে দিদারুল তার কুমিল্লা এগ্রো ফার্ম থেকে বেপজায় ১০০ টি  ছাগল বিক্রি করেছেন।

প্রশিক্ষণের বিষয়ে জানতে চাইলে দিদারুল জানান জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর,কুমিল্লা থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন এসময় তিনি আরও বলেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা প্রায় সময় তার খামার পরিদর্শন করেন এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করে থাকেন।

ভবিষ্যতে দিদারুল রেজা তার খামার আরও বৃহৎ পরিসরে করতে চান । প্রবাস না গিয়ে, চাকুরীর পিছনে না ছুটে প্রাণিসম্পদ দপ্তর থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে যুবকদের নতুন উদ্যোক্তা হওয়ার আহবান জানিয়েছেন।

পরিশেষে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তর, আঞ্চলিক অফিস, কুমিল্লার পক্ষ থেকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তর, প্রধান কার্যালয় কর্তৃক প্রকাশিত ছাগল পালন, সবুজ ঘাস সংরক্ষন প্রযুক্তি সম্প্রসারণ, উন্নত জাতের ঘাস চাষ, হাইব্রীড ভূট্রা চাষাবাদ পদ্ধতি  বিষয়ক লিফলেট ও ফোল্ডার বিনামূলে প্রদান করা হয় এবং পরামর্শ প্রদান করা হয়।

প্রতিবেদনকারীঃ

মো.আল আমিন

কৃষি তথ্য কেন্দ্র সংগঠক

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তর

আঞ্চলিক অফিস, কুমিল্লা।

]]>
ছোট মাছে বড় রাজস্ব https://motshoprani.org/9290/ Mon, 04 Mar 2024 04:21:22 +0000 https://motshoprani.org/?p=9290 রাঙামাটি পার্বত্য জেলাকে ঘিরে রাখা দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ কৃত্রিম হ্রদ কাপ্তাই যেন প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর। কাপ্তাই হ্রদের সৌন্দর্যের পাশাপাশি এই হ্রদে রয়েছে প্রচুর মাছ। এই হ্রদেই পাওয়া যায় পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ কাচকি, চাপিলা, মলা, ঢেলাসহ বিভিন্ন ছোট মাছ। 

তবে বিভিন্ন ছোট মাছের মধ্যে কাচকি ও চাপিলা এই দুই মাছের বেশ চাহিদা রয়েছে রাঙামাটিসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। আর কাপ্তাই হ্রদে থেকে প্রায় ৮০ শতাংশই কাচকি ও চাপিলা মাছ আহরণ হয়। এছাড়া সরকার প্রতিবছর কাপ্তাই হ্রদের মাছ থেকে যে শুল্ক আদায় করে, তার ৯৫ শতাংশই আসে এই দুই মাছ থেকে। আকারে ছোট হলেও অর্থনীতিতে এই দুই মাছ বড় ধরনের আয় এনে দিচ্ছে। তাই ছোট প্রজাতির এই দুই মাছ ভূমিকা রাখছে দেশের অর্থনীতিতে।

কাপ্তাই হ্রদে মাছ শিকারের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করে প্রায় ২৫ হাজার জেলে। ছোট-বড় বিভিন্ন ধরনের জালের মাধ্যমে হ্রদ থেকে মাছ আহরণ করা হয়। তবে যেকোনো জালেই সবচেয়ে বেশি যে দুটি মাছ আহরিত হয় তা হলো কাচকি ও চাপিলা। এই মাছগুলো আকারে ছোট হলেও স্বাদে অনন্য। পার্বত্য চট্টগ্রাম কিংবা চট্টগ্রাম মহানগর তো বটেই ঢাকাসহ বিভিন্নস্থানে বেশ কদর এই মাছ দুটির। প্রতিদিন রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদ থেকে কাচকি-চাপিলা সারাদেশে যাচ্ছে পাইকারদের মাধ্যমে। এই দুই ছোট আকারের মাছের ওপরই নির্ভর এখানকার ব্যবসায়ী, জেলেসহ সংশ্লিষ্ট সকলেই।

বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের রাঙামাটি মৎস্য অবতরণ ঘাটে প্রতিদিন যে পরিমাণ মাছ অবতরণ হয় তার ৯৫ শতাংশই এই দুই মাছ। এজন্য কাপ্তাই হ্রদকে কাচকি-চাপিলার ভান্ডার বলা হয়। ১৯৬৫-৬৬ সালে কাপ্তাই হ্রদ থেকে কাচকি ও চাপিলা আহরণ ৩% থেকে বিগত ছয় দশকে বেড়ে বর্তমানে প্রায় ৯৫ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছেছে। বিএফডিসির ঘাটে কাচকি, চাপিলার সারি সারি ড্রামই বলে দেয় হ্রদে কাচকি ও চাপিলার উৎপাদন কতটা বেশি।

মৎস্য ব্যবসায়ী শাহেদ বলেন, আমি আমার ব্যবসায়ী জীবনের শুরু থেকেই দেখে আসছি কাপ্তাই হ্রদ থেকে আহরিত মাছের ৯০ শতাংশই ছোট মাছ। আর ছোট মাছের মধ্যে কাচকি ও চাপিলা মাছগুলোই বেশি আসে। আর এই মাছগুলো আমরা বেশিরভাগই ঢাকা বা অন্যান্য জেলাগুলোতে বিক্রি করে থাকি।

আরেক ব্যবসায়ী নাজিম উদ্দিন বলেন, আমাদের ফিসারিতে যা মাছ আসে তার ৯০ ভাগই হলো ছোট মাছ, ১০ ভাগ বড় মাছ। ছোট মাছ বলতে লেকে সাধারণত কাচকি ও চাপিলা এই দুটোই বেশি আছে।

রাঙামাটি মৎস্য ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি উদয়ন বড়ুয়া বলেন, রাঙামাটি বিএফডিসি কর্তৃক যে কার্পজাতীয় পোনা মাছগুলো কাপ্তাই হ্রদে ছাড়া হয় তার অধিকাংশই স্থানীয় চাহিদা মেটাতে চলে যায়। কিন্তু কাচকি ও চাপিলার মতো যে মাছগুলো প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্টি হয় এগুলো দিয়েই আমাদের জেলেরা ও ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করে। যেহেতু এই মাছগুলোর চাহিদা সারা দেশজুড়েই আছে তাই বলা যায় মৎস্য সংশ্লিষ্ট রাজস্ব তৈরিতে এই দুই মাছের ভূমিকা বেশি।

তিনি আরও বলেন, রাঙামাটিতে নিবন্ধিত জেলে আছে প্রায় ২৫ হাজার। পাশাপাশি শ্রমিক, মৎস্য পরিবহন শ্রমিকসহ প্রায় ৪০ হাজারের মতো মানুষ মৎস্য সংশ্লিষ্ট কাজে জড়িত। তাদের পুরো জীবন টাই কাচকি ও চাপিলার ওপর নির্ভরশীল।

কাপ্তাই হ্রদ বৃহত্তম মৎস্য ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি কবির আহম্মদ বলেন, ৩ মাসের বেশি মাছ আহরণ বন্ধ থাকার পর প্রায় ৬ মাস যাবৎ মাছ আহরণ চলছে। শীত মৌসুম থাকার কারণে কাচকি চাপিলাসহ বিভিন্ন মাছ একটু কম আহরণ হয়েছিল, সামনের মাস থেকে গরম বাড়লে মাছ আহরণও বাড়বে। তবে কাপ্তাই হ্রদে যেকোনো প্রজাতির মাছের পরিমাণ বাড়াতে হলে কাপ্তাই হ্রদ খননের বিকল্প নেই। হ্রদ খননের জন্য অতিসত্ত্বর কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।

কাপ্তাই হ্রদে বংশবৃদ্ধির জন্য বড় প্রজাতির মাছের পোনা ছাড়তে হলেও কাচকি মাছের বংশ বৃদ্ধি ঘটে প্রাকৃতিকভাবে। আলাদা ভাবে
পোনা ছাড়তে হয় না। তাছাড়া প্রজনন ক্ষমতা বেশি হওয়ায় সারাবছরই মাছ উৎপাদন ভালো।

বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউটের রাঙামাটি নদী উপকেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা লিপন মিয়া বলেন, কাপ্তাই লেকে যে পানির গুণাগুণ সেটি মাছ চাষ ও মাছের বৃদ্ধির জন্য খুবই উপযোগী। পাশাপাশি হ্রদে প্রাকৃতিক খাদ্যের প্রাচুর্যতাও বেশি। কাচকি মাছ সাধারণত সারাবছরই ডিম দিয়ে থাকে, তবে এদের যে ব্রিডিং পিরিয়ড সেটি জুন থেকে অক্টোবর পর্যন্ত, যা খুব লম্বা একটি সময়। এরা ৩-৪ মাস বয়সেই প্রজননের জন্য উপযোগী হয়ে যায়। আর আমাদের যে অন্যান্য দেশীয় ছোট মাছগুলো রয়েছে তা কাচকি মাছের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারে না। তাই কাপ্তাই হ্রদে কাচকি ও চাপিলা মাছের বৃদ্ধির পরিমাণ বেশি।

পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ এই মাছ বড় আয় এনে দিচ্ছে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনকে (বিএফডিসি)। গত বছর এই দুই মাছ থেকে সরকার রাজস্ব পেয়েছে প্রায় ১১ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি) রাঙামাটি অঞ্চলের ব্যবস্থাপক কমান্ডার আশরাফুল আলম ভূঁইয়া বলেন, আমরা যদি পুষ্টি বিবেচনা করি তাহলে বড় মাছের তুলনায় ছোট মাছের নিউট্রিশন ভ্যালু অনেক বেশি। কাচকি মাছে ভিটামিন, প্রোটিন ও মিনারেলের পরিমাণ অন্যান্য মাছের তুলনায় বেশি। সেটি বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে। এই ছোট মাছগুলো সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকাতে প্রান্তিক জনগণের পুষ্টির চাহিদা মেটাচ্ছে এই মাছগুলো। এদের প্রজনন সারাবছরই চলমান থাকায় হ্রদের পানির সঙ্গে সঙ্গে এর উৎপাদনও বৃদ্ধি পায়।

গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে কাচকি ও চাপিলা মাছের অবতরণের পরিমাণ ছিল প্রায় ৫২০০ টনের মত, সেখান থেকে আমরা প্রায় ১১ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করেছি।

গত মৌসুমে কাপ্তাই হ্রদ থেকে ৫ হাজার ৫০৪ টন মাছ অবতরণ হয়েছে। যার মধ্যে কাচকি ও চাপিলা মাছ অবতরণ হয়েছে প্রায় ৫ হাজার টন। প্রতি কেজি কাচকি ও চাপিলা থেকে সরকার রাজস্ব আদায় করে ২০ টাকা হারে।

উল্লেখ্য, ২০২২-২৩ মৌসুমে কাপ্তাই হ্রদ থেকে ৫ হাজার টন কাচকি ও চাপিলা মাছ অবতরণ করা হয়েছে। রাজস্ব আদায় প্রায় ১১ কোটি টাকা। ২০২১-২২ মৌসুমে অবতরণ হয় ৬১৭৭ টন, রাজস্ব আদায় হয়েছে প্রায় সাড়ে ১১ কোটি টাকা। এছাড়া ২০২০-২১ মৌসুমে ৬ হাজার ৪৫৫ টন কাচকি ও চাপিলা অবতরণ হয়। যা থেকে প্রায় ১২ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হয়।

সূত্র: ঢাকা পোষ্ট

]]>
তরুণ উদ্যোক্তাদের  প্রশিক্ষণে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তর,আঞ্চলিক অফিস, কুমিল্লার অংশগ্রহন https://motshoprani.org/8716/ Wed, 13 Dec 2023 06:24:35 +0000 https://motshoprani.org/?p=8716 মো.আল আমিন (কুমিল্লা)

গত ১০ ডিসেম্বর ২৩ ইং  তারিখে পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) কুমিল্লায় অনুষ্ঠিত তরুণ উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তর, আঞ্চলিক অফিস, কুমিল্লার কর্মকর্তা/কর্মচারীগণ অংশগ্রহণ করেন। উক্ত প্রশিক্ষণে ‍উপস্থিত ছিলেন পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন এর প্রশিক্ষক মো. মোরশেদ আলম এবং কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন উপজেলার মৎস্য চাষি ও খামারীরা। প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তর, আঞ্চলিক অফিস, কুমিল্লার বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। উক্ত প্রশিক্ষণে লিমা আক্তার, সহকারী তথ্য কর্মকর্তা তিনি গবাদিপশু, হাসঁ-মুরগি পালন, কবুতর পালন, রোগ ও টিকা নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সম্পর্কিত তথ্য সেবা নিতে উপজেলা, জেলা পর্যায়ের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ অফিসে যোগাযোগ করতে অনুরোধ জানান। উক্ত প্রশিক্ষণে মো. আল আমিন, কৃষি তথ্য কেন্দ্র সংগঠক তিনি মাছ চাষ, মাছের বিভিন্ন রোগবালাই, মাছের খাদ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা করেন । তিনি মৎস্য চাষিদের শীতের শুরুতে মাছ চাষের পুকুরে প্রতি শতাংশে ৫০০গ্রাম চুন ও ৫০০গ্রাম লবণ প্রয়োগের পরামর্শ প্রদান করেন। এছাড়া মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ বিষয়ক খামারীদের মৎস্য সম্পদ ও প্রাণিসম্পদ বিষয়ক মুদ্রণ সামগ্রীর বিনামূল্যে বিতরণ পাশাপাশি যে কোন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সম্পর্কিত তথ্য প্রদান করা হয় বলে জানান।

প্রতিবেদনকারীঃ

মো.আল আমিন

কৃষি তথ্য কেন্দ্র সংগঠক

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তর

আঞ্চলিক অফিস, কুমিল্লা।

]]>
রংপুরে নেপিয়ার ঘাস চাষে আগ্রহী হচ্ছে কৃষকরা https://motshoprani.org/8130/ Thu, 14 Sep 2023 05:53:30 +0000 https://motshoprani.org/?p=8130 রংপুরে উন্নত জাতের নেপিয়ার ঘাস চাষ দিনদিন বাড়ছে। গবাদিপশুর খাদ্য চাহিদা মিটিয়ে কৃষকরা বাজারে বিক্রয় করে আয় করছেন হাজার হাজার টাকা। খড়ের বিকল্প গরু-ছাগলসহ অন্যান্য গবাদিপশুকে খাদ্য হিসেবে দেওয়া হচ্ছে নেপিয়ার ঘাস।

রংপুর জেলার তারাগঞ্জ, গংগাচড়া, পীরগগঞ্জ, মিঠাপুকুর,বদরগঞ্জ, পীরগাছা, কাউনিয়া, ও সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপকহারে নেপিয়ার ঘাসের চাষ হচ্ছে।

বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কৃষি ও পতিত জমি এবং বাড়ির আশপাশে নেপিয়ার ঘাসের চাষ লড়্গ্য করা যায়। খড়ের চেয়ে এখন এই ঘাসের চাহিদা অনেক বেশি। কৃষক ও খামারিরা নেপিয়ার ঘাস চাষে উদ্যোগী হয়ে উঠছেন।

কৃষকরা অল্প পুঁজি বিনিয়োগ করে নেপিয়ার ঘাসের চাষ করে লাভবান হচ্ছেন। এ জাতের ঘাস রোপণের এক থেকে দু’মাসের মাথায় কাটার উপযোগী হয়ে যায়। দ্বিতীয় পর্যায়ে গোড়া থেকে চারা গজায়। সে ক্ষেত্রে দেড় থেকে দু’মাসের মধ্যে কাটার উপযোগী হয়। একটি গোছা থেকে ১২-১৫ কেজি ঘাস হয়। একবার বীজ বুনলে বা চারা রোপণ করলে কয়েক বছর ঘাস পাওয়া যায়।

পীরগাছা উপজেলার তাম্বুলপুর গ্রামের আয়াতউলস্নাহ জানান, নেপিয়ার ঘাস চাষ করে নিজস্ব গবাদিপশুর খাদ্য চাহিদা পূরণের পর বাজারে বিক্রয় করছি। এতে নিজের যেমন চাহিদা মিটছে তেমনি বাজারে বিক্রয় করে লাভবান হওয়া যাচ্ছে।

একই এলাকার খামারি ফারম্নক বলেন, আমার খামারে ৭টি গরু রয়েছে। খড়ের দাম বেশি হওয়ায় এখন এই ঘাস খাওয়ানো হচ্ছে। নেপিয়ার ঘাস চাষ গরুর খাবারের চাহিদা মিটছে।

কাউনিয়া উপজেলার রাজীব গ্রামের গরম্ন খামারী বলেন, এই ঘাস চাষ করে গরু-ছাগলকে খাওয়ানোর পাশাপাশি জমি থেকে ঘাস বিক্রিও করছি। ঘাসের টাকায় সংসারে স্বচ্ছলতা ফিরে এসেছে। ছেলে-মেয়ের পড়াশোনার খরচ, জমির সার-কীটনাশক কেনার জন্য আগের মতো কষ্ট করতে হয় না।

জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলায় নেপিয়ার ঘাসের চাহিদা অনেক বেশি। নেপিয়ার ঘাস একটি বহুবর্ষজীবী উদ্ভিদ। একবার লাগালে কয়েক বছর ধরে ঘাস পাওয়া যায়। অন্য ফসলের মতো নেপিয়ার ঘাসের পরিচর্যা করা লাগে না। সময়মতো সেচ আর সামান্য সার দিলেই ভালো ফলন হয়।

অতিরিক্ত জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা জোবাইদুল কবীর বলেন, কম বেশি সব জায়গাতে এখন নেপিয়ার ঘাস চাষ হচ্ছে। এর মধ্যে বেশি চাষাবাদ হয় বদরগঞ্জ, পীরগাছা ও সদর উপজেলায়। এখন খড়ের বিকল্প হিসেবে ঘাসের চাহিদা বেড়েছে। কৃষক ও খামারিরা নিজেরাই ঘাস উৎপাদনে ঝুঁকছেন। প্রতিটি উপজেলাতে নেপিয়ার ঘাসের বাজারও তৈরি হয়েছে।

সূত্র: আধুনিক কৃৃষি খামার।

]]>
বাকৃবিতে পোষাপ্রাণীর পরজীবীর উপর জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে কর্মশালা অনুষ্ঠিত https://motshoprani.org/8134/ Thu, 14 Sep 2023 05:51:35 +0000 https://motshoprani.org/?p=8134 বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) মেডিসিন বিভাগের কনফারেন্স হলে প্যারাসাইটোলজি বিভাগের আয়োজনে এবং পোষাপ্রাণীর পরজীবী নিয়ে গঠিত গ্রীষ্মমন্ডলীয় কাউন্সিল (ট্রুক্যাপ)-এর পৃষ্ঠপোষকতায় পোষাপ্রাণী পেশাদারির অব্যাহত দক্ষতা উন্নয়ন (ট্রুক্যাপ) কর্মশালার উদ্বোধনী বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ট্রুক্যাপ কর্মশালা আয়োজক কমিটির সভাপতি এবং প্যারাসাইটোলজি বিভাগের প্রফেসর ড. মোঃ হাসানুজ্জামান তালুকদারের সভাপতিত্বে দুই দিনব্যাপী এ কর্মশালা প্রধান অতিথি হিসেবে উদ্বোধন করেন ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এমদাদুল হক চৌধুরী। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো আব্দুল আউয়াল। ট্রুক্যাপ এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ড. তাওইন ইনপ্যানকেউ।

অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আরোও বক্তব্য রাখেন প্যারাসাইটোলজি বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. শারমীন আক্তার রনী, মাইক্রোবায়োলজি এন্ড হাইজিন বিভাগের প্রফেসর ড. কে. এইচ. এম. নাজমুল হুসাইন নাজির, মেডিসিন বিভাগের প্রফেসর ড. এ. কে. এম. আনিসুর রহমান, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ নূরে আলম এবং ডাঃ মোঃ সাদ্দাম হোসেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এমদাদুল হক চৌধুরী বলেন, পোষাপ্রাণীর রোগবালাই, চিকিৎসাসেবা সম্পর্কে গভীরভাবে জানতে হবে। যেকোন ব্যাক্তির পোষাপ্রাণীর পরজীবী, রোগবালাই সর্ম্পকে ধারণা না থাকলে সে নিজেও এসব পরজীবী, রোগবালাইদারা আক্রান্ত হবে। পোষাপ্রাণীর চিকিৎসাসেবা এখন শুধু ঢাকায় সীমাবদ্ধ নেই, বিভিন্ন জেলায় এর ব্যাপ্তি ছড়িয়ে গেছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ঠদের আরোও সচেতনতা বৃদ্ধি প্রয়োজন। এছাড়াও বক্তারা বলেন, এ কর্মশালার মাধ্যমে পোষাপ্রাণীর হাতে কলমে রোগবালাই নির্ণয় ও চিকিৎসাসেবা ত্বরান্বিত হবে।

কর্মশালায় পোষাপ্রাণী বিশেষ করে কুকুর-বিড়ালের প্র্যাকটিশনার, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, মাস্টার্স এবং পি.এইচডি ছাত্র-ছাত্রীসহ আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সূত্র: আধুনিক কৃষি খামার।

]]>
প্রাণিসম্পদ খামারী আব্দুল্লাহ মুশফিকের সফলতার গল্প https://motshoprani.org/8099/ Sun, 10 Sep 2023 06:21:19 +0000 https://motshoprani.org/?p=8099 আল আমিন (কুমিল্লা), ১০ সেপ্টেম্বর;

কুমিল্লা জেলার আদর্শ সদর উপজেলার কাশিনাতপুর গ্রামের আব্দুল্লাহ মুশফিক  মাদ্রাসা বিভাগ থেকে  মাস্টার্স সম্পন্ন করে নিজ উদ্যোগে  ২০১৭ সালে ০২টি গরু নিয়ে সাফিয়া এগ্রো খামার শুরু করেন।  বর্তমানে তার খামারে মোট ০৮টি গরু, ৩টি ছাগল ও ৩৫টি গাড়ল আছে। আব্দুল্লাহ বলেন তার খামারে জুন মাসে অর্থাৎ কোরবানীর সময় ৮-১০টি গরু বিক্রি করেছেন। তিনি বর্তমানে গরু মোটাতাজাকরন কার্যক্রম শুরু করেছেন । তিন বলেন খামারে গরু, ছাগল ও গাড়লের জন্য প্রতিদন ৮০-১০০কেজি খাবার সকাল ও বিকাল প্রদান করেন । খাবারের তালিকায় রয়েছে নেপিয়ার ঘাস ,সয়াবিন, কুড়া ইত্যাদি । এই খামারকে কেন্দ্র করে ০৩জন লোকের কর্মসসংস্থান হয়েছে। বর্তমানে আব্দুল্লাহ সহ ০৩ জন কর্মচারী নিয়মিত গবাদি পশুকে খাবার প্রদান ,পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা সহ খামারের সকল কাজ করে থাকেন। তিনি আরও বলেন যে, তার খামারের গাড়লের মাংস অনেক সুস্বাদু হওয়ার কুমিল্লা জেলার মাংস ‍বিক্রয়কারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গাড়ল ক্রয় করেন এবং প্রতিকেজি মাংস ৬০০-৭০০ টাকায় স্থানীয় বাজরারে বিক্রি করেন। প্রাণিসম্পদ বিষয়ক কোন প্রশিক্ষন গ্রহন করেছের কিনা সে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন জেলা প্রাণিম্পদ দপ্তর, কুমিল্লা এবং উপজেলা প্রাণিসম্পদ  দপ্তর আদর্শ সদর,কুমিল্লা থেকে তিনি প্রানিসম্পদ বিষয়ক সাত দিনের প্রশিক্ষন নিয়েছেন । তিনি আরও জানান খামারে গবাদি  পশু রোগাক্রান্ত হলে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস যোগাযোগ করেন এবং প্রাণিসম্পদ অফিস বিভিন্ন সহযোগিতা করেন। এছাড়া মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তর, আঞ্চলিক অফিস, কুমিল্লার পক্ষ থেকে  মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তর,প্রধান কার্যালয় কর্তৃক প্রকাশিতঃ গাভী পালন, ছাগল পালন,সবুজ ঘাস সংরক্ষন প্রযুক্তি সম্প্রসারণ,গবাদি পশুর সুষম খাবার তৈরীর উপকরন ও খাওয়ার নিয়মাবলী,উন্নত জাতের ঘাস চাষ, হাইব্রীড ভূট্রা চাষাবাদ পদ্ধতি  বিষয়ক লিফলেট ও ফোল্ডার বিনামূলে প্রদান করা হয় এবং পরামর্শ প্রদান করা হয়।

প্রতিবেদনকারী:

মো.আল আমিন

কৃষি তথ্য কেন্দ্র সংগঠক

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তর,কুমিল্লা।

]]>
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা,কুমিল্লা পদে যোগদান করেছেন মো. বেলাল হোসেন। https://motshoprani.org/7977/ Thu, 10 Aug 2023 05:43:12 +0000 https://motshoprani.org/?p=7977 মো:আল আমিন (কুমিল্লা): জেলা মৎস্য কর্মকর্তা,কুমিল্লা  হিসাবে যোগদান করেছেন বিসিএস (মৎস্য) ক্যাডারের কর্মকর্তা মো. বেলাল হোসেন। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মো:হেমায়েত হোসেন  এর স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে তাকে  কুমিল্লা জেলায় বদলী করা হয়। এর পূর্বে তিনি জেলা মৎস্য কর্মকর্তা, নরসিংদী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তর, কুমিল্লার পক্ষ থেকে তাকে অভিনন্দন জানানো হয় এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তরের বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে তাকে অবহিত করা হয়।

প্রতিবেদনকারী:

মো. আল আমিন

কৃষি তথ্য কেন্দ্র সংগঠক

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তর,কুমিল্লা।

]]>
বিবিএ-এমবিএ করে মাছের ব্যবসায়, এখন মাসে মুনাফা লাখো টাকা https://motshoprani.org/6959/ Sun, 16 Apr 2023 06:37:04 +0000 https://motshoprani.org/?p=6959

উচ্চশিক্ষার জন্য ২০১১ সালে নীলফামারী থেকে ঢাকায় আসেন মাহফুজুল ইসলাম। ঢাকায় তিনি মেসে ওঠেন। মেসজীবনে দেখেন, বাজার থেকে মাছ কিনে আনলে গৃহপরিচারিকা বিরক্ত হন। কারণ, মাছ কাটা-ধোয়া তাঁর জন্য বেশ ঝামেলার কাজ। পরে মাহফুজুল বুঝতে পারেন, এ শহরের অন্যরাও একই সমস্যায় আছেন। ব্যবসার ধারণাটি তখনই তাঁর মাথায় আসে।

মাহফুজুল ভাবলেন, ঢাকার বাইরে থেকে তাজা মাছ সংগ্রহ করে কেটে-ধুয়ে একদম রান্নার উপযোগী করে যদি বাসায় বাসায় পৌঁছে দেওয়া যায়, তাহলে নগরবাসীর ঝামেলা কমবে। তাঁর আয়ও হবে। এ ভাবনা থেকে শিক্ষার্থী অবস্থাতেই স্বল্পপরিসরে ঢাকায় এ ব্যবসা শুরু করেন তিনি। বিবিএ-এমবিএ শেষ করে চাকরির পেছনে না ছুটে তিনি পুরোদমে এ ব্যবসায় নেমে পড়েন। এই তরুণ উদ্যোক্তার এখন মাসে মুনাফাই আসে লাখো টাকা।

মাহফুজুলের (৩১) বাড়ি নীলফামারীর সৈয়দপুর। সৈয়দপুর ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি-এইচএসসি শেষ করে তিনি ঢাকায় আসেন। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে অ্যাকাউন্টিংয়ে বিবিএ করেন তিনি। ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি থেকে মার্কেটিংয়ে করেন এমবিএ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী থাকাকালে ২০১৬ সালে ‘ফিশ মার্ট’ নামের অনলাইনভিত্তিক ব্যবসায়িক উদ্যোগ শুরু করেন বলে জানান মাহফুজুল। তিনি বলেন, ‘ভিড়বাট্টা ঠেলে বাজারে গিয়ে মাছ কেনা, ঘরে এনে কাটা-ধোয়া—নগরজীবনের এই ঝক্কি দেখে ব্যবসার ধারণাটি আমার মাথায় আসে। শিক্ষক মা-বাবার সন্তান আমি। মাছ সংগ্রহ-বিক্রির কিছুই আমি জানতাম না। বিষয়টি বোঝার জন্য প্রথমে আমি ঢাকার বাইরে যাই। যেখানে যেখানে ভালো-তাজা মাছ পাওয়া যায়, তা ঘুরে দেখি। ব্যবসা বোঝার চেষ্টা করি। হাতখরচ বাঁচিয়ে টাকা জমাই। ফেসবুকে পেজ খুলে শুরুতে আস্ত মাছ বিক্রি করি। পরে কেটে-ধুয়ে বিক্রি করি। মূলত তখনই আমার ব্যবসায় গতি আসে।কেটে-ধুয়ে রান্নার উপযোগী করে মাছ বাসায় পৌঁছে দেয় ‘ফিশ মার্ট’ চাহিদা বাড়ায় ২০১৭ সালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে এক কক্ষের একটি অফিস নেন মাহফুজুল। করোনা মহামারি তাঁর জন্য ‘সাপে বর’ হয়ে আসে। তিনি বলেন, ‘দেশে করোনা হানা দিলে লকডাউন দেওয়া হয়। সবকিছু বন্ধ হয়ে যায়। তখন আমার কাছ থেকে মাছ নেওয়ার জন্য ফেসবুক পেজে অনেক অর্ডার আসতে থাকে। আমার আয় বেড়ে যায়।’

ব্যবসাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে ২০২১ সালে ‘ট্রেড লাইসেন্স’ নেন মাহফুজুল। রাজধানীর আদাবর এলাকায় চার কক্ষের একটি ফ্লোর ভাড়া নেন তিনি। পূর্ণ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের আদলে তিনি অফিস সাজান। মাছ কাটার জন্য দেশের বাইরে থেকে যন্ত্র কিনে আনেন। কর্মী নিয়োগ দেন। এই অফিস আনুষ্ঠানিকভাবে চালুর সময় তিনি তাঁর মা- বাবাকে ব্যবসার কথা জানান। তাঁরা বিষয়টি ভালোভাবেই নেন।

তবে ব্যবসার শুরুর দিকে বন্ধুবান্ধব কিছুটা নেতিবাচক মনোভাব দেখিয়ে ছিলেন বলে জানান মাহফুজুল। তাঁর ভাষ্যে, ‘বন্ধুরা বলাবলি করছিল, পড়ালেখা করে মাছের ব্যবসা কেন!’

মাহফুজুলের প্রতিষ্ঠানে এখন সব মিলিয়ে ২৭ কর্মী আছেন। ঢাকার অদূরের মৈনটঘাট, চাঁদপুর, ভৈরব, বরিশালসহ বিভিন্ন স্থান থেকে তাজা মাছ সংগ্রহ করেন তিনি। এই মাছ কেটে-ধুয়ে পুরোপুরি রান্নার উপযোগী করে তা ক্রেতাদের ঘরে পৌঁছে দেন তাঁর কর্মীরা। মাছের পাশাপাশি মাংসও বিক্রি করেন মাহফুজুল। ফেসবুক পেজ ও ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ক্রয়াদেশ গ্রহণ করে তাঁর প্রতিষ্ঠান।

মাছের মানের ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে থাকেন বলে জানান মাহফুজুল। একই সঙ্গে তাঁর প্রতিষ্ঠান দ্রুততম সময়ের মধ্যে তাজা মাছ ক্রেতার কাছে পৌঁছে দিতে অঙ্গীকারবদ্ধ বলে জানান তিনি।

মাহফুজুল বলেন, ‘এখন দিনে কম করে হলেও ৮০ হাজার টাকার মাছ বিক্রি করি। সব খরচ বাদ দিয়ে মাসে দেড় লাখ টাকা মুনাফা হয়। চাকরি করলে মাসে এ টাকা আয় করা সম্ভব হতো না। চাকরির পেছনে না ছুটে ব্যবসা করে ঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছি বলে মনে করি।’

ছয় থেকে সাত মাস ধরে ঢাকার বাইরে কিছু এলাকায় মাছ সরবরাহ করছেন মাহফুজুল। দেশের সব কটি বিভাগীয় শহরে প্রতিষ্ঠানের শাখা খোলার পরিকল্পনা আছে তাঁর। এক সন্তানের বাবা মাহফুজুল বলেন, তাঁর ব্যবসায় স্ত্রী তাসফিয়া ইসলাম সব ধরনের সহযোগিতা ও সমর্থন দিয়ে আসছেন। বন্ধুত্ব থেকে তাসফিয়াকে বিয়ে করেন তিনি। তাসফিয়া আপত্তি করলে তাঁকে হয়তো আজ চাকরিই করতে হতো, সফল উদ্যোক্তা হওয়া আর হতো না।

সূত্র:প্রথম আলো ।

]]>
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে অভিযান চালিয়ে সাড়ে ৩ হাজার কেজি জাটকা জব্দ করেছে কোস্টগার্ড। https://motshoprani.org/6886/ Mon, 10 Apr 2023 05:32:07 +0000 https://motshoprani.org/?p=6886

বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) সকালে উপজেলার মেঘনা নদী সংলগ্ন মেঘনা বাজার এলাকার একটি সুপারি বাগানে তল্লাশি চালিয়ে এসব জাটকা জব্দ করা হয়। পরে জব্দ জাটকাগুলো স্থানীয় এতিমখানায় বিতরণ করা হয়।

রায়পুর কোস্টগার্ড চট্টগ্রাম পূর্ব জোনের কন্টিজেন কমান্ডার তৌহিদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।কোস্টগার্ডের কন্টিজেন কমান্ডার তৌহিদুল ইসলাম জানান, মার্চ-এপ্রিল দুমাস মেঘনায় মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞা থাকায় প্রতিদিন দুইবার নদীতে অভিযানে যান তারা। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রায়পুর উপজেলার উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের মেঘনা নদী সংলগ্ন মেঘনা বাজার এলাকায় অভিযানে যান তারা। পরে তল্লাশি চালিয়ে ওই এলাকার একটি সুপারি বাগান থেকে সাড়ে ৩ হাজার কেজি জাটকা জব্দ করা হয়। এ সময় কোস্টগার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে জাটকা পাচারকারীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। তাই কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি বলে জানান কোস্টগার্ডের এ কর্মকর্তা।

পরে জব্দ জাটকাগুলো রায়পুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এমদাদুল হকের উপস্থিতিতে স্থানীয় এতিমখানা ও অসহায়দের মধ্যে বিতরণ করা হয়।
সূত্র: সময় নিউজ
]]>