প্রচলিত আছে, বনের মোরগ বা মুরগি পোষ মানানো যায় না। এ প্রচলিত ধারণাকে মিথ্যা প্রমাণিত করে পোষ মানিয়ে গৃহে পালন করা হচ্ছে। এতে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন বুনছেন বান্দরবান সদর উপজেলার রাজবিলা ইউনিয়নের মেওয়া পাড়া এলাকার হ্লা শোয়ে অং মারমা (৪০)।
তখন তিনি বুঝতে পারেন, দেশি মুরগির খাদ্যাভ্যাস ও বনমোরগের খাদ্যাভ্যাসে ভিন্নতা আছে। তখন থেকে তিনি আলাদাভাবে ঘাসফড়িং, পোকামাকড়, ধানের দানা জাতীয় খাবার খাওয়ানো শুরু করেন। এমনকি গাছ ও লতা-পাতা দিয়ে অনেকটা বনের পরিবেশ তৈরি করে আবাসন সৃষ্টি করেন। সেই থেকে বংশ বৃদ্ধি হয়ে আজ বিশাল বনমোরগের খামারে পরিণত হয়েছে।
বর্তমানে তার খামারে দেড়শ’র বেশি বনমোরগ বা বনমুরগি আছে। এর মধ্যে ২২টি ডিম দেওয়ার উপযোগী, ১৩টি মোরগ, ২টি শিকারী মোরগ (বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া), বাচ্চা ও তা দেওয়া মুরগি আছে। স্থানীয়দের মধ্যে এ মোরগের বেশ চাহিদা থাকায় পরিপক্ব মোরগ প্রতিটি তিন হাজার টাকা, মুরগি প্রতিটি ১ হাজার থেকে দেড় হাজার টাকা দরে বিক্রি করেন।
বান্দরবান বনবিভাগীয় কর্মকর্তা (পাল্পউড) মো. তোহিদুল ইসলাম বলেন, ‘প্রাকৃতিক উপায়ে বনের মধ্যে যে মোরগ-মুরগি বেড়ে ওঠে, সেগুলোকে বন মোরগ-মুরগি বলা হয়ে থাকে। সেগুলো বন থেকে কেউ যদি ধরে এনে বিক্রি বা হত্যা করে, তখন তাকে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনের আওতায় আনার আইনি প্রক্রিয়া আছে। হ্লা শোয়ে অং মারমা যেহেতু কোনোভাবে ডিম সংগ্রহ করে গৃহপালিত প্রাণীর সঙ্গে প্রতিপালন করছে, তাই তাকে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনের আওতায় আনা যায় না।’