শখের বসে বাজরিগার পাখি পালন করলেও বর্তমানে বাণিজ্যিকভাবে খামার গড়ে তুলেছেন দিনাজপুর সদরের চেহেলগাজী ইউপির রানীগঞ্জ মোড় এলাকার আব্দুল বারেক। পাখি খামার করে সংসারের স্বচ্ছলতাও ফিরেছে তার।
জানা যায়, দীর্ঘ ৮ বছর ধরে সুদর্শন টিয়া পাখির মত দেখতে ‘বাজরিগার’ পাখি পালন করেন তিনি। এক সময় কৃষি কাজ করতেন, কিন্তু সংসারে স্বচ্ছলতা আনতে না পারায় এই বাজরিগার পাখি পালন শুরু করেন। বর্তমানে ২০০ জোড়া পাখি রয়েছে তার খামারে। বাড়ি থেকে পাইকারদের কাছে এই পাখি বিক্রি করেন। একসময় এই পাখি বিক্রি করে মাসে ১৬ থেকে ২০ হাজার টাকা আয় করতেন। কিন্তু এখন আয় কমে গিয়েছে বলে জানা তিনি।
আব্দুল বারেক বলেন, এই বাজরিগার পাখির বাজার ভালো আছে। পাখির খাদ্যের দাম বেড়েছে। এতে কিছুটা ক্রেতা কমে গেছে। তবে যে কেউ এটা পালন করে ১৫ থেকে ১৬ হাজার টাকা মাসে আয় করতে পারবেন।
তিনি আরও বলেন, গত ৮ বছর ধরে এই বাজারিকা পাখি পালন করে আসছি। আমার বাড়ির এক ঘরে এই খামার করেছি। ঘরে বিভিন্ন স্থানে মাটির কলস বসানো হয়েছে। এছাড়াও ঘরের মধ্যে পাখি বাস করার পরিবেশ তৈরী করা হয়েছে। সবসময় কিচিরমিচির শব্দে তারা মেতে থাকে। মাটির কলসে তারা ডিম পাড়ে। অনেকে দেখতে আসে আবার কেউ এটি পালনে কিনতে আসে। বর্তমানে পাখির খাদ্যের দাম অনেক বেড়ে গেছে। মাসে ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা আয় হয়।
সূত্র: আধুনিক কৃষি খামার।