ঢাকা, ২৬ মে ২০২২ (বৃহস্পতিবার)
ব-দ্বী পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে ভবিষ্যতের সুন্দর বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপর আস্থা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন,
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০ নিয়ে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক সম্মেলনের ‘ইনস্টিটিউশনাল চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড অপরচুনিটিস উইথ ইন্টারন্যাশনাল লেসন’ বিষয়ক প্যানেল ডায়ালগে বিভিন্ন অংশীজনদের আলোচনার প্রেক্ষিতে এ আহ্বান জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের দূরদর্শী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব-দ্বীপ পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছেন, যা সারাবিশ্বের কাজে আসবে। এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে বিশ্ববাসী উপকৃত হবে।
মন্ত্রী আরো বলেন, বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশে অসাধারণ ভূমি ও প্রাকৃতিক সম্পদ রয়েছে। ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য পৃথিবী গড়ে তোলে আমাদের কর্তব্য। এ জন্য শুধু পরিকল্পনা প্রণয়নই যথেষ্ট নয়, পরিকল্পনার যথাযথ বাস্তবায়ন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ব-দ্বীপ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য সরকার আইন প্রণয়ন করবে। ব-দ্বীপ আইন কার্যকর হলে এ বিষয়টির সাংবিধানিক ভিত্তি তৈরি হবে।
তিনি আরো যোগ করেন, সুনীল অর্থনীতি বিকাশ এখন আমাদের লক্ষ্য। সমুদ্র সম্পদ তথা মৎস্যসম্পদ, খনিজ সম্পদ ইত্যাদি আহরণ সুনীল অর্থনীতি বিকাশে সহায়তা করবে। যা পরবর্তী প্রজন্ম এবং সারাবিশ্বের কাজে লাগবে। ইতোমধ্যে প্রয়োজনের উপর ভিত্তি করে অর্থায়ন, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতার বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে আমাদের ব-দ্বীপ পরিকল্পনার বাস্তবায়ন কাজ এগিয়ে যাচ্ছে। এ প্রক্রিয়ায অব্যাহত থাকবে। অবশ্যই বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০ বাস্তবায়ন করবে।
সারাবিশ্ব এখন গ্লোবাল ভিলেজে পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে দেশসমূহের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি ও একসাথে কাজ করার ব্যাপারে এ সময় গুরুত্বারোপ করেন মন্ত্রী।
এ সময় মন্ত্রী ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০ বাস্তবায়নে আগামী দিনে বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ এবং সম্ভাবনা তুলে ধরেন এবং এক্ষেত্রে নেদারল্যান্ডসসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশের সহযোগিতা কামনা করেন।
বিশ্বব্যাংকের সাউথ এশিয়া সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট এর রিজিওনাল ডাইরেক্টর জন রুম এবং ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আইসিসিএইসিডি) এর অধ্যাপক ড. সালেমুল হকের সঞ্চালনায় প্যানেল ডায়ালগে আরো উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, বাংলাদেশে নিযুক্ত নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত অ্যান ভ্যান লিউয়েন, পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক, বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন, পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য ড. মো. কাউসার আহাম্মেদ।