কক্সবাজারের মহেশখালীতে পিঠে রহস্যজনক ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসযুক্ত একটি পাখি উদ্ধার করা হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে উপজেলার ধলঘাটা ইউনিয়নে পাখিটি ধরা পড়ে। এ নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের মনে কৌতূহলের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সরকারের মেগা প্রকল্প- গভীর সমুদ্র বন্দর, কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প ও ও চায়না প্রকল্পসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প বাস্তবায়নের এলাকা মাতারবাড়ি সংলগ্ন ধলঘাটার উপকূলে আচমকা বিরল প্রজাতির একটি পাখির পিঠে সিসি ক্যামেরা কিংবা জিপিআরএস সিস্টেমের অত্যাধুনিক ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস সংযুক্ত পাখিটি ধরা পড়ে। এটি নিয়ে বিভিন্ন জন বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য করছেন।
ধলঘাটার ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান কামরুল হাসান বলেন, ‘স্থানীয় এক ব্যক্তি ধলঘাটার দক্ষিণ পাশে চায়না প্রকল্প এলাকার বেড়িবাঁধের পাশে ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসযুক্ত সংযুক্ত দুর্বল অবস্থায় উড়িয়ে যেতে অক্ষম পাখিটি দেখতে পান। পাখিটির গায়ে যন্ত্রটি দেখে লোকটি প্রথমে ভয় পেয়ে যান তিনি । তার মাধ্যমে খবর পেয়ে আমি লোক পাঠিয়ে পাখিটি ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে আসি।’
কামরুল হাসান বলেন, ‘বিষয়টি আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং উপজেলা বন বিভাগকে অবগত করেছি। উপজেলা বন বিভাগ থেকে লোকজন আসছেন। তারা এটি তদন্ত করার জন্য নিয়ে যাবেন। তদন্তের মাধ্যমে নিশ্চিত করা যাবে পাখিটির গায়ে ডিভাইস সংযুক্তির আসল রহস্য।’
মহেশখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা খাঁন জুলফিকার আলী বলেন, ‘ধলঘাটার চেয়ারম্যানের মাধ্যমে ডিভাইস সংযুক্ত একটি পাখি উদ্ধার করা হয়েছে বলে শুনেছি। পাখিটি উদ্ধার করে নিয়ে আসার জন্য মাতারবাড়ীর বিট কর্মকর্তাকে ধলঘাটায় পাঠানো হয়েছে। তারা পাখিটি নিয়ে আসলে তদন্তের মাধ্যমে বিস্তারিত জানানো হবে।’
এদিকে মহেশখালীতে উদ্ধার হওয়া ডিভাইসযুক্ত পাখিটি বন বিভাগের গবেষণার কাজে ব্যবহৃত পাখি বলে দাবি করে উপকূলীয় বনবিভাগ চট্টগ্রামের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আব্দুর রহমান দৈনিক আমাদের সময়কে বলেন, ‘উদ্ধারকৃত পাখিটি সম্পর্কে আমি জেনেছি। এটি ঢাকা থেকে একজন গবেষক তার গবেষণার কাজে ছেড়েছেন। পাখিটির নাম ব্ল্যাক সেল গডউইথ। পাখিটির গায়ে যে যন্ত্রটি রয়েছে তা জিপিআরএস বলা যায়। মূলত বার্ড মাইগ্রেশন বিষয়ে জরিপ কাজ ও লোকেশন জানার জন্য এ যন্ত্রটি ব্যবহার করা হয়েছে। এটি নিয়ে অন্য কোনো কৌতূহল বা রহস্যের অবকাশ নেই।’
www.dainikamadershomoy.com