একজন সফল খামারী নাম রবিউল আলম। বাড়ি কুমল্লা জেলার লালমাই উপজেলার গোলাচোঁ গ্রামে। গ্রামের স্কুল থেকে এস. এস. সি পর্যন্ত পড়াশেনা করেন। এরপর পারিবারিক ব্যবসা মুদীর দোকান দেখাশোনা শুরু করেন। পাশাপাশি কোরবানীর ঈদে গরু মোটাতাজাকরণ করে বিক্রি করেন। এই থেকে গরুর নেশা তাকে পেয়ে বসে। শুরুতে ৮-১০ টা গরু ছিলো, আস্তে আস্তে বাড়তে বাড়তে বর্তমানে তার খামারে গরুর সংখ্যা একশত (১০০) ।
মাত্র ২৪ শতক জায়গা নিয়ে গড়ে উঠছে রবিউল আলমের স্বপ্নের খামার আছিয়া এগ্রো ফার্ম। তার অক্লান্ত প্ররিশ্রমের মাধ্যমে তিনি সফলতা অর্জন করেছেন। রবিউল আলম বলেন, তিনি তার খামারে গরু গুলোকে আলাদা আলাদ শেডে রাখেন যাতে পরিচর্যা করতে কোন সমস্যা না হয়। তিনি, দুগ্ধবতী গাভী, ছোট বাছুর, গর্ভবতী গাভী মোটাতাজাকরণ গরু গুলাকে আলাদা আলাদা রাখেন। এখন তার খামারে ফ্রিজিয়ান ও উন্নতজাতের শাহীওয়াল গরু রয়েছে।
খাদ্য ব্যবস্থাপনার জন্য বরিউল আলম বলেন, সাত একর জমিত নেপিয়ার ঘাস চাষ করেন। এছাড়া গো-খাদ্য হিসাবে চাউলের কুঁড়া, ভূসি, সয়াবিন, ভুট্রা ব্যবহার করেন।
রবিউল আলম আরোও বলেন, তার খামারে বর্তমানে বিশ (২০) টা গরু দুধ দেয়। যার পরিমাণ দুইশত (২০০) কেজি। তিনি তা স্থানীয় বেপারির কাছে বিক্রিয় করেন। খামারে উৎপাদিত গোবর দিয়ে বায়োগ্যাস উৎপাদন করে নিজেদের জ্বালানী চাহিদা মেটান।
খামারে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য জেনারেটরের ব্যবস্থা রয়েছে রবিউল আলম বলেন। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য রয়েছে পাকা ড্রেনেজ সিস্টেম।
খামার গড়ে উঠায় রবিউল আলম বলেন, তিনি যেমন আত্মনির্ভর হয়েছেন তেমনি খামারকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে ছয় (০৬) জন লোকের কর্মসংস্থান।
খামারের গরু অসুস্থ হলে রবিউল আলম বলেন, তিনি উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসে যোগাযোগ করেন এবং উপজেলা অফিসে থেকে তাকে সকল ধরনের সহযোগিতা করে থাকেন।
প্রতিবেদনকারী:
সুরাইয়া আক্তার
কৃষি তথ্য কেন্দ্র সংগঠক
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তর
আঞ্চলিক অফিস
কুমিল্লা