দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের মজিদ মাত্র ৭০ হাজার টাকার পুঁজি বিনিয়োগ করে খামার শুরু করে বর্তমানে বছরে আয় প্রায় ১০ লাখ টাকা। এতে নিজে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি এলাকার বেকার ছেলেমেয়েদের কর্মসংস্থার সৃষ্টির মাধ্যমে বেকারত্ব দূর করার স্বপ্ন দেখছেন মজিদ।
জানা যায়, ৫ একর জমিতে মজিদ গড়ে তুলেন আলাদা দুইটি খামার। একই খামারে রয়েছে দুইটি পুকুর, সেচ ব্যবস্থার জন্য একটি গভীর নলকূপ। খামারের কর্মচারি ও শ্রমিকদের খাবার রান্নার জন্য গরুর গোবর দিয়ে নির্মাণ করেছেন একটি বায়োগ্যাস প্লান্ট। খামারের চারপাশে চাষ করেছেন নানা ধরনের শীতকালীন শাক-সবজি। আবার কিছু জমিতে ধান আর কিছু জমিতে ভুট্টা চাষ করা হয়েছে। গরুর খামারে রয়েছে ৫০ টি উন্নত জাতের গরু এবং মুরগির খামারে রয়েছে ১০ হাজার লেয়ার জাতের মুরগি।
খামারি মজিদ বলেন, পড়াশোনা শেষ করে চাকরি না পেয়ে বিচলিত হয়ে পরি। এ অবস্থায় উদ্যোক্তা তৈরির প্রশিক্ষণ নিয়ে একইসঙ্গে মাছ, মুরগি ও গাভী পালনের জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করি। আমার জমাকৃত ৭০ হাজার টাকা দিয়ে ছোট্ট করে মুরগি খামার শুরু করি। এরপর আমার আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। প্রতি বছর খামার, ব্যবসা ও কৃষি থেকে সব খরচ বাদ দিয়ে আয় হচ্ছে ৯-১০ লাখ টাকা। বর্তমানে আমার খামারে ২০ জন কর্মচারি কর্মরত থেকে কর্মসংস্থানের সুযোগ পেয়েছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ড. রবিউল ইসলাম বলেন, বেকার যুবকদের কর্মসংস্থার সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রাণিসম্পদ বিভাগ থেকে সার্বিক সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে। আমরা ইতোমধ্যে বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিয়েছি। এলাকার শিক্ষিত যুবকরা নতুন নতুন উদ্যোক্তা হয়ে খামার গড়ে তুলছেন। আমরা তাদেরকে সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে আসছি।
সূত্র: আধুনিক কৃষি খামার।