পাবদা ও শিং মাছের খাদ্য প্রয়োগ ও অন্যান্য ব্যবস্থাপনাগুলো কি কি রয়েছে সেগুলো মৎস্য চাষিদের সঠিকভাবে জেনে রাখা দরকার। প্রাকৃতিক উৎসগুলোতে মাছের উৎপাদন কমে যাওয়ায় ফলে অনেকেই এখন পুকুরে মাছের চাষ শুরু করেছেন। পুকুরে চাষ হওয়া মাছগুলোর মধ্যে পাবদা ও শিং মাছ অন্যতম। আসুন আজকের এ লেখায় আমরা জানবো পাবদা ও শিং মাছের খাদ্য প্রয়োগ ও অন্যান্য ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে-
পাবদা ও শিং মাছের খাদ্য প্রয়োগ অন্যান্য ব্যাবস্থাপনা :
খাদ্য:
পাবদা ও শিং মাছের ক্ষেত্রে মজুদ সাইজের শিং ও পাবদা মাছকে ১ মাস পর্যন্ত পাউডার খাওয়াতে হবে। তবে পাউডার খাবারে যেন কোন অবস্থাতেই প্রোটিন ৩৫% নীচে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এর ১ মাস পর থেকে .৫ মিলি মিটার সাইজের খাবার দেয়া ভাল। মাছ যখন বড় হতে থাকবে সাইজ অনুযায়ী খাবারের সাইজও বাড়াতে হবে।
পাবদা ও শিং মাছের মিশ্র চাষে পাবদা মাছ ৫০/৬০ পিসে ১ কেজি হয়ে যায় খুব তাড়াতাড়ি। অর্থাৎ ২০ গ্রাম পর্যন্ত তাড়াতাড়ি বড় হয় তবে এর পরে এদের বৃদ্ধিহার কমে যায় কারন হিসাবে দেখা গেছে পাবদা মাছ যতই বড় হতে থাকবে তার অক্সিজেনের চাহিদা ততই বাড়তে থাকে।
সেজন্য পাবদার পুকুরে এয়ারেটর দরকার পড়ে বাড়তি অক্সিজেন সরবরাহের জন্য। রাত বারোটা থেকে এয়ারেটরের মাধ্যমে অক্সিজেন সরবরাহ করতে হবে সকাল ৮ পর্যন্ত। এতে অক্সিজেন সরবরাহ বৃদ্ধির পাশাপাশি মাছের ওজন বৃদ্ধিও নিশ্চিত হয়। ইচ্ছা করলে মটর দিয়েও পুকুরের পানি দিয়েই অক্সিজেন বৃদ্ধি করা যায়। সে ক্ষেত্রে বিশেষ কৌশলে অক্সিজেন বৃদ্ধি করা যায়।
copy : Adhunik krishi khamar