চিংড়ি চাষে ঝুঁকি বেশি থাকায় কক্সবাজারে বেড়েছে কাঁকড়া চাষ। কাঁকড়া চাষে ঝুঁকি কম থাকার পাশাপাশি বাজারে চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় চাষিরা ঝুঁকছেন কাঁকড়া চাষে। তাছাড়া বাজারে ভালো দাম পাওয়া যাওয়ায় লাভবান হচ্ছে চাষিরা।
জানা যায়, কক্সবাজারে অন্তত ৭০০ একর জমিতে ছোট-বড় ৬০টি ঘেরে চাষ হচ্ছে। এই চাষিদের অনেকেই আগে চিংড়ি চাষ করতেন। তবে চিংড়ির চেয়ে কাঁকড়া চাষে ঝুঁকি কম ও লাভ বেশি থাকায় চাষিরা এটি চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।
কক্সবাজার টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের মিনাবাজার সৈয়দ আলম বলেন, ১০০ শতক আয়তনের ঘেরে চাষ করছি। গত মে মাসে এই ঘেরে তিনি ১ হাজার ৭০০টি কাঁকড়ার পোনা ছেড়েছি। প্রতিটি পোনার দাম পড়েছে ২ টাকা। ঘেরের এক কোনায় নেট দিয়ে ঘিরে পোনাগুলোকে দুই সপ্তাহ রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। এরপর ৫০ থেকে ৬০ গ্রাম ওজন হয়ে গেলে পোনাগুলো ঘেরে ছাড়া হয়।
তিনি আরও বলেন, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে পোনাগুলো বড় হয়ে ৩৫০ থেকে ৭০০ গ্রাম ওজনের হবে। তখন প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হবে বলে আশা করছি।
এদিকে দিন দিন জেলায় চাহিদা বাড়ছে। দামও বেশ ভালো। অন্যদিকে চিংড়ি চাষে ঝুঁকি বাড়ছে, দামও নিম্নমুখী। তাই চাষিরা চিংড়ি চাষ বাদ দিয়ে কাঁকড়ার দিকে ঝুঁকছেন। প্রতি মৌসুমে একজন চাষি এটি বিক্রি করে ৫০ হাজার থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করছেন।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তারা বলেন, কাঁকড়ার চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় কক্সবাজারে কাঁকড়ার চাষ বেড়েই চলেছে। গত বছর জেলায় কাঁকড়া উৎপাদন হয়েছিল ৭০৫ মেট্রিক টন। এবার ৯০০ মেট্রিক টন ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। দেশের চাহিদা পূরণ করে বিপুল পরিমাণ কাঁকড়া বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে।
সূত্র: আধুনিক কৃষি খামার।