জানা যায়, খামারি আনোয়ার হোসেন নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার পাথুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা। নবাব সিরাজউদ্দৌলা কলেজ থেকে স্নাতক পাশ করে খামার করার পরিকল্পনা করেন। তারপর ২০০০ সালে ৪টি ছাগল কিনে বাড়ির পাশের ফাঁকা জমিতে খামার গড়ে তোলেন। বর্তমানে তার খামারে ১৫টি দুম্বা, ৩৩টি পাঁঠা, ২২২টি ছাগলও ৩২টি গাড়ল আছে। যেগুলো ভারতের তোতাপুরি, হরিয়ানা, পাকিস্তানি বিটল ও সংকর জাতের ছাগল এবং পাকিস্তানের দুম্বা ও ভারতের গাড়ল। এই খামার থেকে তিনি প্রতিবছর ৪০০-৫০০টি ছাগল, দুম্বা ও গাড়ল বিক্রি করেন। প্রতি ৪ মাস অন্তর অন্তর বিক্রি করে থাকেন। ক্রেতারা তার সাথে অনলাইনের মাধ্যমে যোগাযোগ করে থাকেন।
খামারি আনোয়ার হোসেন বলেন, ছাগল পালনে আমি ছোটবেলা থেকেই আগ্রহী ছিলাম। তারপর স্নাতক পাশ করে ৪টি ছাগল কিনে বাড়ির পাশের ফাঁকা জমিতে খামার শুরু করি। তারপর ভারতের রাজস্থান থেকে বিভিন্ন প্রজাতির ছাগল, দুম্বা ও গাড়ল নিয়ে আসি। কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমেই খামারেই ছাগলের সংখ্যা বাড়াতে থাকি। তারপর ধীরে ধীরে খামারের পরিধি বাড়তে থাকে।
তিনি আরো বলেন, খামারের ছাগলগুলোকে মেশিনে কাটা খড় ও এংকর ভূসি লবন দিয়ে মিশিয়ে খাওয়াই। এছাড়াও বিভিন্ন গাছের পাতা ও ঘাস খেয়ে থাকে। দুম্বা ও গাড়ল কাঁচা ঘাস খায়। প্রতিদিন একটি পশু ২৫-৩০ টাকার খাবার খায়। সঠিক পরিচর্যা করলে রোগবালাই হয় না। একটি দুম্বা বছরে দুটি করে বাচ্চা দেয়। মাত্র তিন মাসেই একটি বাচ্চা ৩৫-৪০ কেজি ওজনের হয়ে থাকে। এতে এর বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ১ লাখ টাকা।
আনোয়ার আরো বলেন, দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ আমার সাথে অনলাইনের মাধ্যমে যোগাযোগ করে থাকেন। তারা অনলাইনে ছবির মাধ্যমে খামারের পশু দেখে পছন্দ করেন। তারপর কিনে নিয়ে যান।
গুরুদাসপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা বলেন, শিক্ষিত হওয়ায় আনোয়ারের সফল হতে বেশি সময় লাগেনি। তিনি চাকরির পেছনে না ছুটে পরিকল্পিত ভাবে খামার করে সফলতা অর্জন করেছেন। খামার করে তাকে সফল হতে দেখে অনেকেই খামার করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। আমরা তাকে সর্বিকভাবে সহযোগিতা করছি। আশা করছি তার খামারের পরিধি আরো বড় করতে পারবেন।