নওগাঁয় মাছ উৎপাদন বেড়েছে। আগের তুলনায় মাছ চাষের পরিমান বাড়ার কারণেই উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। নতুন মৎস্য চাষিরা পুকুর তৈরী করে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধিতে যোগদান করছেন। তবে উৎপাদন বেশি হলেও মাছের খাদ্যের দাম বৃদ্ধির কারণে দুশ্চিন্তায় আছেন চাষিরা। এই জেলার বার্ষিক মাছের চাহিদা ৬১ হাজার টন হলেও বছর আরো ২০ টন বেশি উৎপাদন হয়েছে।
স্থানীয় মৎস্য অধিদপ্তরের সূত্র মতে, নওগাঁ জেলায় ৫২ হাজার চাষিরা ৭ নদী, ১২৩ বিল জলাশয়ে ও ৪৮ হাজার নিবন্ধিত পুকুরে থেকে মাছ উৎপাদন হচ্ছে। জেলায় বার্ষিক ৬১ হাজার টন মাছের চাহিদার মধ্যে উৎপাদন হয়েছে ৮৩ টন। যা মোট চাহিদার থেকে ২০ হাজার টন মাছ বেশি উৎপাদন হয়েছে। গত অর্থ বছরে ৬৩ হাজার টন মাছ উৎপাদন হয়েছিল।
নওগাঁর নিয়ামতপুরের কয়েকটি পুকুরে মাছ চাষিরা বলেন, গত ১৫ বছরে এই অঞ্চলে মাছ উৎপাদনে অভাবনীয় সাফল্য এসেছে। মাছ চাষ লাভজনক হওয়ায় বর্তমানে শিক্ষিত যুবকরা এর দিকে ঝুঁকছে। তারা আধুনিক পদ্ধতিতে দ্রুত বর্ধনশীল রুই, মৃগেল, কাতল, তেলাপিয়া পাঙাস ও দেশি হারিয়ে যাওয়া কিছু প্রজাতির মাছ চাষে ব্যাপক সফলতা পাচ্ছেন। এখানকার উৎপাদিত মাছ রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হচ্ছে। এছাড়াও এখানকার মাছ বিদেশেও রপ্তানি করা হয়।
মাছ চাষি সাদ্দাম হোসেন বলেন, মাছের খাদ্যের দাম কম থাকায় গত দুই বছর লাভ করতে পেরেছি। তবে এখন খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় আমাদের লাভের পরিমান কমে গেছে।
নিয়ামতপুরের মাছ চাষি দুরুল ইসলাম বলেন, আমরা বেশি বেশি মাছ উৎপাদন করলেও আড়তের সিন্ডিকেটের কারণে ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত হই। এছাড়াও আড়তে আমাদের থেকে ৫০ কেজিতে মণ ধরে মাছ ক্রয় করে। মৎস্য বিভাগের হস্তক্ষেপে এই সিন্ডিকেট বন্ধ না হলে আমাদের মাছ চাষ করা মুশকিল হয়ে যাবে।
সূত্র:আধুনিক কৃষি খামার।