বুধবার (১১ অক্টোবর) প্রধান প্রজনন মৌসুমে ‘মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান ২০২৩’ বাস্তবায়ন উপলক্ষে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি একথা বলেন।
রেজাউল করিম বলেন, আমার মনে হয়, তারা অধিক লাভবান হওয়ার কারণে ইলিশের দাম যে সহনীয় থাকা উচিত, তার চেয়ে বেশি দেখা যায়।
প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, এ ক্ষেত্রে বাজার ব্যববস্থাপনার সঙ্গে যারা জড়িত, প্রতিযোগিতা কমিশন, ভোক্তা অধিকারের সঙ্গে যারা সম্পৃক্ত আছেন আমরা বিভিন্ন সময় তাদের তাগিদও দিয়েছি। ইতোমধ্যে তারা কিছু কাজও করছেন।
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, আরও বেশি তৎপরতার সঙ্গে করে বাজার ব্যবস্থাপনাকে একেবারে মাছ আহরণের কেন্দ্র থেকে শুরু করে বিপণন পর্যন্ত আরও কঠোর নজরদারি, দেখভাল করা হলে আমার বিশ্বাস ইলিশের দামকে সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসা সম্ভব।
তিনি বলেন, চলতি বছর বিগত বছরের চেয়ে ইলিশের আকারও বৃদ্ধি পেয়েছে, ইলিশের প্রাচুর্যতায় জেলেদের মুখে হাসি ফুটেছে। জাটকা ও মা ইলিশ রক্ষার চলমান কার্যক্রমসমূহ এভাবেই বাস্তবায়ন করা হলে সারাবছর ইলিশের প্রাপ্যতা নিশ্চিত হবে। এ কার্যক্রমের সফল বাস্তবায়নে সরকারি প্রচেষ্টার পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং আপামর জনগণ বিশেষ করে মৎস্যজীবী সম্প্রদায়ের আন্তরিক সহযোগিতা অপরিহার্য।
মা ইলিশ রক্ষা করা শুধু মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় কিংবা মৎস্য অধিদপ্তরের নয় জাতীয় সম্পদের উন্নয়ন এবং দেশের স্বার্থে এ দায়িত্ব দেশের প্রত্যেক মানুষের।
এসময় মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খন্দকার মাহবুবুল হকসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।