১৯/০২/২০২৪ খ্রি
ঢাকার হাজারীবাগ থানায় অবস্থিত একটি মৎস্য খামারের মালিক বারেককে মৎস্য চাষে কেনো আগ্রহী হলেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ছোট থেকেই জেলে পরিবারে বড় হয়েছে। তিনি বাজারে মাছ বিক্রয়ের মাধ্যমে জীবন জীবিকা পার করতেন। ২০১০ সালে একটি ৩৫ শতাংশের পুকুর লিজ নিয়ে মাছচাষ শুরু করেন। ব্যবসার পাশাপাশি এমন মাছচাষের ফলে অতি অল্প সময়েই লাভবান হন। নিজের চাষকৃত মাছ তিনি নিজেই বিভিন্ন আড়ৎ ও মাছবাজারে বিক্রয় করেন এবং ধীরে ধীরে ২০১৩ সালে তার নিজস্ব অসংস্কারকৃত ৩০ শতাংশের একটি পুকুর মাছচাষ উপযোগী করেন এবং আরো ২টি পুকুর লিজ নেন। সেখানে কার্প জাতিয় মাছ চাষ শুরু করেন। এতে তার মোট ৩টি পুকুর থেকে বাৎসরিক প্রায় ২,৭৫,০০০/- টাকা লাভ হয়।
পুকুরে মাছ এবং মাছের খাবার ব্যবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তার পুকুরে রুই, কাতলা, মৃগেল, গ্রাস কার্প, সিলভার কার্প জাতিয় মাছ মিশ্র চাষ করেন। সকাল ও বিকেল ২ বেলা মাছের খাবার (ফিড) প্রয়োগ করে থাকেন।
মাছের পোনা সংগ্রহের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সরকারি মৎস্য বীজ উৎপাদন খামার থেকে তিনি সুস্থ সবল পোনা সংগ্রহ করে তার পুকুরে অবমুক্ত করেন।
মাছচাষ বিষয়ক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন কিনা তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, উপজেলা মৎস্য অফিস থেকে ৩ দিনের আধুনিক পদ্ধতিতে মাছ চাষ ব্যস্থাপনা, কার্প জাতীয় মাছের মিশ্র চাষ ব্যবস্থাপনা, কৈ,শিং, মাগুর মাছের মিশ্র চাষ ব্যবস্থাপনা, দেশীয় প্রজাতির মাছচাষ ইত্যাদি বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। ।
পরিশেষে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তর, আঞ্চলিক অফিস, ঢাকা থেকে জনাব আব্দুল বারেককে মাছচাষ বিষয়ক বিভিন্ন লিফলেট বিনামূল্যে বিতরণ করে, মাছচাষ ও মাছের যেকোন রোগের লক্ষণ পরিলক্ষিত হলে সংশ্লিষ্ট উপজেলা মৎস্য অফিসে যোগাযোগের পরামর্ষ প্রদান করা হয়।
প্রতিবেদনকারী
(মো. খাদেমুল ইসলাম)
কৃষি তথ্য কেন্দ্র সংগঠক
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তর
আঞ্চলিক অফিস, ঢাকা।