জুয়েল রানা, তিনি কুমিল্লা জেলার আর্দশ সদর উপজেলার বাশঁমঙ্গল গ্রামের বাসিন্দা। পেশায় একজন ব্যবসায়ি। ব্যবসার পাশাপাশি শুরু করেন গবাদিপশুর খামার।
জুয়েল রানা পারিবারিকভাবে ১০-১৫ বছর ধরে গরু পালন করে আসছেন। তার এ পারিবারিক খামারে ছিলো ১৫ টি গরু। ১৫ টি গরু দিয়ে খামার শুরু করলেও বর্তমানে তার ৫৪ টি গরু রয়েছে । ৫৪ টি গরুকে কেন্দ্র করে ১০ শতক জায়গায় গড়ে উঠেছে রাবাব এগ্রো ফার্ম।
জুয়েল রানা বলেন, ৫৪ টি গরুর মধ্যে তিনটি ষাঁড় রয়েছে। আর বাকি ৫১ টি হলো গাভী। তিনি গাভী থেকে যে দুধ পায় তা স্থানীয় বাজারে বিক্রি করেন।
জুয়েল রানা তার খামারে গরুর পাশাপাশি ছাগল, ভেড়া ও গাড়ল পালন করেন। বর্তমানে তার খামারে ১০ টি ছাগল, ০৮ টি ভেড়া এবং ০৬ টি গাড়ল রয়েছে।
ভবিষ্যৎতে তিনি তার খামার থেকে উৎপাদিত দুধ দিয়ে মিষ্টির ভান্ডার শুরু করবেন বলে আমাদের বলেন এবং গোবর দিয়ে বায়োগ্যাস উৎপাদন করবেন যা দিয়ে তিনি তার মিষ্টির জ্বালানি চাহিদা মিটাবেন।
জুয়েল রানা আরও বলেন, তিনি খাদ্য ব্যবস্থাপনার জন্য ৪০ শতক জায়গায় উন্নত মানের ঘাস চাষ করেন এবং ভুট্রা সাইলেজ তৈরী করেন। ঘাস খাওয়ানোর পাশাপাশি খড়, চাউলের কুঁড়া, গমের ভূসি ও খৈল খাওয়ান।
তিনি আরও বলেন, তার এই খামারকে কেন্দ্র করে ছয় (০৬) জন লোকের কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে। যারা প্রতিদিন তার খামারের গরুগুলোকে দেখাশোনা করেন।
প্রাণিসম্পদ বিষয় সর্ম্পকে জানতে চাইলে জুয়েল রানা বলেন, তার প্রাতিষ্ঠানিক কোনো জ্ঞান নেই। পারিবারিক খামার থেকে তিনি অভিজ্ঞতা নিয়েছেন। তবে গরু অসুস্থ হলে তিনি উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসে যোগাযোগ করেন এবং সেখান থেকে তিনি সব ধরনের সহযোগিতা পেয়ে থাকেন।
জুয়েল রানা তরুণ প্রজন্মকে উদ্দেশ্য করে বলেন, বেকার না থেকে চাকুরির পেছনে না ছুটে ছোট বাছুর দিয়েও যদি পারিবারিকভাবে অল্প পুঁজি দিয়ে খামার গড়ে তোলা যায় তাহলে সাফল্য আসবেই।
প্রতিবেদনকারী:
(সুরাইয়া আক্তার)
কৃষি তথ্য কেন্দ্র সংগঠক
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তর
আঞ্চলিক অফিস
কুমিল্লা।