আল আমিন (কুমিল্লা), ১০ সেপ্টেম্বর;
কুমিল্লা জেলার আদর্শ সদর উপজেলার কাশিনাতপুর গ্রামের আব্দুল্লাহ মুশফিক মাদ্রাসা বিভাগ থেকে মাস্টার্স সম্পন্ন করে নিজ উদ্যোগে ২০১৭ সালে ০২টি গরু নিয়ে সাফিয়া এগ্রো খামার শুরু করেন। বর্তমানে তার খামারে মোট ০৮টি গরু, ৩টি ছাগল ও ৩৫টি গাড়ল আছে। আব্দুল্লাহ বলেন তার খামারে জুন মাসে অর্থাৎ কোরবানীর সময় ৮-১০টি গরু বিক্রি করেছেন। তিনি বর্তমানে গরু মোটাতাজাকরন কার্যক্রম শুরু করেছেন । তিন বলেন খামারে গরু, ছাগল ও গাড়লের জন্য প্রতিদন ৮০-১০০কেজি খাবার সকাল ও বিকাল প্রদান করেন । খাবারের তালিকায় রয়েছে নেপিয়ার ঘাস ,সয়াবিন, কুড়া ইত্যাদি । এই খামারকে কেন্দ্র করে ০৩জন লোকের কর্মসসংস্থান হয়েছে। বর্তমানে আব্দুল্লাহ সহ ০৩ জন কর্মচারী নিয়মিত গবাদি পশুকে খাবার প্রদান ,পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা সহ খামারের সকল কাজ করে থাকেন। তিনি আরও বলেন যে, তার খামারের গাড়লের মাংস অনেক সুস্বাদু হওয়ার কুমিল্লা জেলার মাংস বিক্রয়কারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গাড়ল ক্রয় করেন এবং প্রতিকেজি মাংস ৬০০-৭০০ টাকায় স্থানীয় বাজরারে বিক্রি করেন। প্রাণিসম্পদ বিষয়ক কোন প্রশিক্ষন গ্রহন করেছের কিনা সে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন জেলা প্রাণিম্পদ দপ্তর, কুমিল্লা এবং উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর আদর্শ সদর,কুমিল্লা থেকে তিনি প্রানিসম্পদ বিষয়ক সাত দিনের প্রশিক্ষন নিয়েছেন । তিনি আরও জানান খামারে গবাদি পশু রোগাক্রান্ত হলে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস যোগাযোগ করেন এবং প্রাণিসম্পদ অফিস বিভিন্ন সহযোগিতা করেন। এছাড়া মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তর, আঞ্চলিক অফিস, কুমিল্লার পক্ষ থেকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তর,প্রধান কার্যালয় কর্তৃক প্রকাশিতঃ গাভী পালন, ছাগল পালন,সবুজ ঘাস সংরক্ষন প্রযুক্তি সম্প্রসারণ,গবাদি পশুর সুষম খাবার তৈরীর উপকরন ও খাওয়ার নিয়মাবলী,উন্নত জাতের ঘাস চাষ, হাইব্রীড ভূট্রা চাষাবাদ পদ্ধতি বিষয়ক লিফলেট ও ফোল্ডার বিনামূলে প্রদান করা হয় এবং পরামর্শ প্রদান করা হয়।
প্রতিবেদনকারী:
মো.আল আমিন
কৃষি তথ্য কেন্দ্র সংগঠক
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তর,কুমিল্লা।