ড. আব্দুস শহীদ বলেন, আমরা ভাগ্যের ওপর বিশ্বাসী হলেও বিজ্ঞানীরা যে গবেষণা করছেন তা কিন্তু কম না। কেননা গবেষণার মাধ্যমে নতুন নতুন জাত উদ্ভাবন করা হচ্ছে। এতে অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যাচ্ছে। তাই গবেষণার কোনো বিকল্প নেই। এক সময় মোটা ইরি চাষ হতো বর্তমানে লম্বা ও চিকন ধান চাষ হচ্ছে। এগুলো খুবই সুস্বাদু।
তিনি আরও বলেন, কৃষকের মাঠে কাজ করতে করতে পিঠের চামড়া কালো হয়ে যায় অথচ ছেলে-মেয়েদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করান। তারা এ সময় জমির ধারে কাছে যায় না, কিন্তু যে যখন অফিসার হয় তখন কিন্তু ঠিকই বোঝে তার প্রতিষ্ঠার পেছনে কৃষক বাবার অবদান কত। সেজন্য আমরা কৃষির কাছে ঋণী, কৃষিই আমাদের প্রাণ।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে যেভাবে উষ্ণতা ও সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ছে তাতে আমাদের বিভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে হচ্ছে। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা যেভাবে কাজ করছি, আশা করি এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সফল হতে পারব।
জলবায়ু পরিবর্তনে প্রভাবে মাটির উর্বরতা কমছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, খরার ফলে মাটির আর্দ্রতা কমতে পারে। আমাদের মাটির স্তরে যে বন্যা হয় তা কিন্তু খারাপ না, বন্যায় কিছু ক্ষতি হলেও যে পরিমাণ পলি বহন করে নিয়ে আসে। এতে দীর্ঘকালীন উৎপাদনের জন্য মাটির উর্বরতা বাড়ে।
কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আব্দুস সাত্তার মণ্ডলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এফএফবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আরিফ হোসেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন এমএসইউর সিনিয়র অ্যাসোসিয়েট ডিন ড. জর্জ স্মিথ ও এমএসইউর কলেজ অব অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড ন্যাচারাল রিসোর্স ইন্টারন্যাশনাল প্রোগ্রাম ডিরেক্টর ড. করিম মেরিদিয়া।
সম্মেলনে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, মিয়ানমার, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০২৪
আরকেআর/এসআইএস