ঠাকুরগাঁওয়ে দিন দিন বাড়ছে বাণিজ্যিকভাবে রঙিন মাছের চাষ। বাড়ির আঙিনা কিংবা ছাদে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করে প্রতি মাসে ১৫-২০ হাজার টাকা আয় করছেন উদ্যোক্তারা। চাকরির পাশাপাশি বাড়তি আয় করার চিন্তা থেকে রঙিন মাছ চাষে পাচ্ছেন ব্যাপক সফলতা। এমন সফলতায় বিদেশী এ মাছ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন অনেকে।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর গ্রামের তাজুল ইসলাম রানা। শিক্ষক হলেও স্বপ্ন ছিল উদ্যোক্তা হওয়ার। ২০১৮ সালে টেলিভিশনে রঙিন মাছ চাষের প্রগ্রাম দেখে আগ্রহ জন্মায় তার।৷ পরে অবসর সময়কে কাজে লাগানো ও বাড়তি আয়ের আশায় বাড়ির আঙিনার পাশে শুরু করেন চাষ। বাজারে চাহিদা থাকায় বছর ঘুরতে না ঘুরতে সফলতার মুখ দেখেন তিনি। শুরুর দিকে পরিবারের সদস্যরা দ্বিমত পোষণ করলেও এখন তারাই সহযোগিতা করছেন। তার খামারে গাপ্পি, গোল্ড ফিশ, কমেট, কই কার্ভ, ওরেন্টা গোল্ড, সিল্কি কই, মলি, গাপটিসহ ১৫ প্রজাতির রঙিন মাছ আছে। মাসে ৫০০ টাকার খাবার খরচ হয় তার। খামার থেকে পাইকারির পাশাপাশি বিক্রি করা হয় খুচরা দরে।
জেলা মৎস্য অফিসের দেয়া তথ্যমতে, জেলায় বিদেশী জাতের রঙিন মাছ চাষ করেন ২০ উদ্যোক্তা। এরই মধ্যে এ মাছ চাষে সফলও হয়েছেন অনেকে। বাড়ছে এ মাছ চাষের প্রবণতা।
মাছচাষী তাজুল ইসলাম বলেন, ‘টেলিভিশনে রঙিন মাছ চাষের অনুষ্ঠান দেখে আমার আগ্রহ সৃষ্টি হয়। পরে পরিবারের সঙ্গে কথা বললে কেউ সহযোগিতা করেননি। নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রম কাজে লাগিয়ে সফলতার মুখ দেখেছি। যদিও মৎস্য অফিস থেকে কোনো ধরনের সহযোগিতা পাইনি। যদি সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ও মৎস্য অফিসের সহযোগিতা পাই তাহলে আরো বড় পরিসরে চাষ বাড়াব।’
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ খালিদুজ্জামান বলেন, ‘জেলায় রঙিন মাছচাষীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। তবে এখনো পর্যন্ত তাদের কোনো ধরনের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়নি। তাদের দ্রুত প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হবে।
সূত্র: বনিক বার্তা।