মাছ হচ্ছে প্রাণিজ আমিষের অন্যতম উৎস্য। কর্মসংস্থান, বৈদেশিকমুদ্রা উপার্জন এবংপুষ্টি সরবরাহে মৎস্য সম্পদের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে।আমাদের দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় মাছ হচ্ছে একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। মাছের অনেক চাহিদা থাকার কারণে মাছ চাষ করে ভালো আয় করা সম্ভব।
তেমনি একজন সফল মৎস্য চাষী হলেন ধামরাই উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের মোশারফ হোসেন। যার বাৎসরিক লাভের পরিমাণ প্রায় ৮ লক্ষ টাকা। তিনি ২০১০ সালেমাত্র ৪০ শতাংশ আয়তনের একটি পুকুরে মাছ চাষের মাধ্যমে তিনি এই যাত্রা শুরু করেন।বর্তমানে তার ৪ টি পুকুর রয়েছে। মাছ চাষে উৎসাহিত হওয়ার কারণ হিসেবে তিনি বলেন বাড়ির সাথে তাদের নিজস্ব পুকুর রয়েছে যাতে সারা বছর পানি থাকে এবং আশে পাশের অনেকে মাছচাষ করে লাভবান হয়েছে তাই তিনিও এই কাজে যোগদানকরেন।
বর্তমানে তার যে ৪ টিপুকুর রয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে বড়পুকুরের আয়তন ২৫০ শতাংশ যা তার বাড়ির সাথেই অবস্থিত।এই পুকুরে তিনি প্রায় ৪-৫ প্রজাতির মাছ চাষ করে থাকেন । এ গুলোর মধ্যে তেলাপিয়া, রুই, কাতলা, মৃগেল অন্যতম।এছাড়া তার যে বাকি ৩ টিপুকুর রয়েছে এগুলোর আয়তন যথাক্রমে ৫০ শতাংশ, ৪০ শতাংশ এবং ৩০ শতাংশ।একটি পুকুরে তিনি মলা মাছের একক চাষ করেন।আর বাকী ২টি পুকুরে তিনি রেনু পোনা সরবরাহ করেন । যা চারা পোনায় পরিণত হওয়ার পরে মজুদ পুকুরে ছাড়া হয়।পোনা অবমুক্ত করার পর তিনি এই ২ টি পুকুরে চিংড়ি চাষ করে থাকেন।মাছের পোনাগুলো তিনি ময়মনসিংহ থেকে সরবরাহ করে থাকেন ।
তার বাৎসরিক লাভের পরিমাণ প্রায় ৮ লক্ষ টাকা । তিনি বর্তমানে ধামরাই উপজেলার লিফ হিসেবে নিযুক্ত আছেন।তার এই মৎস্য খামারের নাম স¤্রাট মৎস্য ভান্ডার।তিনি মাছকে বছরে ৪ লক্ষ টাকার খাবার দিয়ে থাকেন। তিনি শীতেকালে মাছকে দিনে ১বার এবংগ্রীষকালে দিনে ২ বার খাবার দিয়ে থাকেন।তিনি প্রতি মাসে একবার অথবা দুইবার মাছসংগ্রহ করেন।তিনি মাছগুলো স্থানিয় বাজারে বিক্রি করেন।
এভাবেই মাছচাষ করে তিনি আজ স্বাবলম্বী।তার পরিবারে রয়েছে স্ত্রী,১ পুত্র,১ কন্যাএবংতার বৃদ্ধ বাবা।তার বাবা এখনও তাকে মাছচাষের বিষয়ে উপদেশ দিয়ে সাহায্য করে থাকেন।তার এই খামারে ২ জন কর্মচারি রয়েছে।
মাছচাষের বিষয়ে তিনি বলেন মাছচাষ করে তিনি যথেষ্ট লাভ বান।তিনি বেকার যুবসমাজকে মাছচাষ করতে উৎসাহি করেছেন।মাছ চাষ রক্ষতির সম্মুখীন তিনি খুব বেশি হননিবলেও উল্লেখ করেছেন।এছাড়াও যে কোন ধরণের সমস্যায় তিনি উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার সহযোগিতা পান বলে উল্লেখ করেছেন।
প্রতিবেদনকারীঃজাকিয়া সুলতানা,কৃষি তথ্য কেন্দ্র সংগঠক,মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তর,আঞ্চলিকঅফিস,ঢাকা।