সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা, মৎসজীবীদের সহায়তা এবং সময়োপযোগী বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়ায় ইলিশের উৎপাদন বেড়েছে। ফলে ইলিশ মানুষের ক্রয়সীমার মধ্যে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
আজ বুধবার সকালে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ-২০২২ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রেজাউল করিম বলেন, আগামী ৩১ মার্চ থেকে ৬ এপ্রিল জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ উদযাপন করা হবে। এবারের প্রতিপাদ্য ইলিশ আমাদের জাতীয় মাছ, জাটকা ধরলে সর্বনাশ। এ বছর ইলিশ সম্পৃক্ত ২০টি জেলায় জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহের কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ইলিশের বিজ্ঞানভিত্তিক প্রজনন মৌসুম বিবেচনা করে আহরণ নিষিদ্ধের সময় ২২ দিন করা হয়েছে। দেশের ইলিশ সম্পৃক্ত নদ-নদী অববাহিকায় ৬টি ইলিশ অভয়াশ্রম স্থাপন ও বছরে নির্ধারিত সময়ে অভয়াশ্রমে বন্ধের সিদ্ধান্ত রাখা হয়েছে। এ সময় যেন মৎসজীবীরা ক্ষতিগ্রস্ত না হন তাদের জন্য সরকারি সহযোগিতা রয়েছে। খাদ্য সহায়তার পাশাপাশি তাদের বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। ইলিশসহ অন্যান্য জলজ প্রাণী রক্ষায় ২০১৯ সালে নিঝুম দ্বীপ ও এর আশে পাশের এলাকায় ৩ হাজার ১৮৮ বর্গ কিলোমিটার সামুদ্রিক সংরক্ষিত অঞ্চল ঘোষণা করা হয়েছে।
বিগত ২০০৮-০৯ সালে ইলিশের উৎপাদন ছিল ২ লাখ ৯৮ হাজার মেট্রিক টন। এখন ইলিশের উৎপাদন ২০২০-২১ অর্থবছরে ৫ লাখ ৬৫ হাজার মেট্রিক টনে পৌঁছেছে। এটা সম্ভব হয়েছে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা, মৎসজীবীদের সহায়তা এবং সময়োপযোগী বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়ার কারণে। আজ ইলিশ মানুষের ক্রয়সীমার মধ্যে এসেছে। ইলিশ উৎপাদনে প্রতিকূলতা হলো কারেন্ট জাল-সুতি জালে নির্বিচারে জাটকা নিধন, বলেন তিনি
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, আমাদের লক্ষ্য হলো ইলিশ সবার নাগালের ভেতরে নিয়ে আসা। একটা পর্যায়ে ইলিশের পর্যাপ্ত উৎপাদন দেশের প্রান্তিকসীমায় সবাই যখন ইলিশের স্বাদ নিতে পারবে, তারপর আমরা বাণিজ্যিকভিত্তিতে বিদেশে ইলিশ রপ্তানি করার কথা চিন্তা-ভাবনার ভেতরে রেখেছি।
দ্যা ডেইলি স্টার অনলাইন রিপোর্ট