মো. সামছুল আলম(১৪/৬/২৩)
এবছর কোরবানির জন্য ১ কোটি ২৫ লাখ ৩৬ হাজার ৩৩৩টি পশু প্রস্তুত রয়েছে। এর মধ্যে গরু-মহিষ রয়েছে ৪৮ লক্ষ ৪৩ হাজার ৭৫২ টি, ছাগল-ভেড়া রয়েছে ৭৬ লক্ষ ৯০ হাজারটি আর অন্যান্য প্রজাতির পশু রয়েছে ২ হাজার ৫৮১টি। এবছর কোরবানির জন্য প্রয়োজন হবে ১ কোটি ৩ লাখ ৯৪ হাজার ৭৩৯ টি পশু। চলতি বছর কোরবানির পশু উদ্ধৃত থাকবে ২১ লাখ ৪১ হাজার ৫৯৪ টি। আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-আযহা, ২০২৩ উদযাপন উপলক্ষ্যে কোরবানির পশুর চাহিদা নিরুপন, সরবরাহ এবং দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে কোরবানির পশুর অবাধ চলাচল/পরিবহন নিশ্চিতকল্পে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপি, একথা বলেন। আজ বুধবার(১৪ জুন) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সকাল ১০ টায় এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় মন্ত্রী বলেন, কৃত্রিম সংকট নিরসনে ও পশুর প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে এবার রেলে করে এক অঞ্চল থেকে অন্য অঞ্চলে গরু যাতায়াত করবে। তাছাড়া কোরবানির পশুর ক্রয়-বিক্রয়কে সহজ করতে এবার হাট-বাজার ছাড়াও রাস্তা-ঘাট( চলন্ত অবস্থায়) ও বাড়িতে পশু বিক্রি করা যাবে এবং বাড়িতে পশু বিক্রি করলে কোন ইজারাদারকে টাকা দেয়া লাগবেনা। যদি কেউ এধরনের টাকা দাবি করে তার বিরূদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ, এবছর কোনভাবেই বাহিরের কোন পশু দেশে প্রবেশ করতে দেয়া যাবে না। কেননা এতে আমাদের দেশের টাকা অবৈধভাবে পাচার হয়, বিজিবি-বিএসএফ এর মধ্যে সংঘর্ষ হয়, বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটে এবং খামারীরা ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হয়।
কোরবানির পশুর স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন করতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, কিছু অসাধু হঠাৎ টাকার মালিক হওয়ার জন্য পশুকে ক্ষতিকর জিনিস খাইয়ে মোটাতাজা করে। এধরনের ক্ষতিকর পশু নির্ধারণ করতে ও অন্যান্য সেবা দিতে সারাদেশে ৩ হাজার ১৯৫ টি কোরবানির পশুর হাটে দায়িত্ব পালন করার জন্য ১ হাজার ৬২৩ টি ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। পাশাপাশি ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম এর কার্যক্রম মনিটরিং এর জন্য কেন্দ্রীয় মনিটরিং টিম এবং বিশেষজ্ঞ টিম গঠন করা হয়েছে। তাছাড়াও কোরবানির পশুর হাট ব্যবস্থাপনার জন্য ৬টি মনিটরিং টিম ও কন্ট্রোল রুমের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সভায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপি’র সভাপতিত্বে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ। এছাড়া সভায় সরাসরি ও ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, অর্থমন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন বিভাগীয় কমিশনার এবং দপ্তর/সংস্থার উর্ধ¦তন কর্মকর্তাবৃন্দ।