বাংলাদেশে উৎপাদিত মাছ বিশ্বের ৫২ টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে। পৃথিবীর অনেক দেশ বাংলাদেশ থেকে মাংস আমদানি করতে চাইছে। দেশে উৎপাদিত নানাধরণের খাদ্য সামগ্রী বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) দুপুরে রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় ৬ষ্ঠ ফুড অ্যান্ড এগ্রো বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো ২০২৩, ৬ষ্ঠ ইন্টারন্যাশনাল হেলথ ট্যুরিজম অ্যান্ড সার্ভিসেস এক্সপো বাংলাদেশ ২০২৩ এবং ১৪তম মেডিটেক্স বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো ২০২৩-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। সেমস গ্লোবাল এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে।
এ সময় মন্ত্রী বলেন, বিশ্বের অনেক দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থা শঙ্কা করেছিল করোনায় বাংলাদেশে দুর্ভিক্ষ দেখা দেবে। কিন্তু রাষ্ট্রীয় নীতি এবং সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে মহামারী সত্ত্বেও দেশে খাদ্য ঘাটতি দেখা দেয়নি। বরং কোন কোন ক্ষেত্রে খাদ্য উদ্বৃত্ত রয়েছে। প্রাকৃতিক সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার আমরা করছি। ফলে খাদ্য জাতীয় পণ্য তথা ধান, গম, ভুট্টা, মাছ, মাংস, দুধ, ডিম এমন উৎপাদন হয়েছে এবং এর গুণগতমান এত ভালো যে বিভিন্ন দেশ বাংলাদেশ থেকে এখন অনেক কিছু আমদানি করছে।
তিনি আরও যোগ করেন, বাংলাদেশের উৎপাদিত ঔষধ পৃথিবীর বহু দেশে রপ্তানি হচ্ছে। ঔষুধ শিল্পে যান্ত্রিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে অভাবনীয় উন্নয়ন হয়েছে। দেশের স্বাস্থ্য সেবা এবং অন্যান্য গবেষণায় যে উন্নয়ন হয়েছে তা বিশ্বের বিস্ময়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ খুরশিদ ইকবাল রেজভী স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নিলুফার নাজনিন, আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশ-এর প্রেসিডেন্ট সৈয়দ এরশাদ আহমেদ এবং চেন্নাই ফার্টিলিটি সেন্টার এন্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান ড. ভি এম থমাস। অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্য প্রধান করেন সেমস গ্লোবাল ইউএসএ অ্যান্ড এশিয়া প্যাসিফিক-এর গ্রুপ প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড ম্যানেজিং ডিরেক্টর মেহেরুন এন. ইসলাম
উল্লেখ্য, সেমস গ্লোবাল এর আয়োজনে রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় ২৫ থেকে ২৭ মে ২০২৩ পর্যন্ত তিন দিনব্যাপী ৬ষ্ঠ ফুড অ্যান্ড এগ্রো ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো, ৬ষ্ঠ ইন্টারন্যাশনাল হেলথ ট্যুরিজম অ্যান্ড সার্ভিসেস এক্সপো এবং ১৪তম মেডিটেক্স বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো ২০২৩ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
সূত্র: আধুনিক কৃষি খামার।