চাঁদপুর হাজীগঞ্জের আব্দুল মমিন গরু পালন করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। তিনি একটি গরু দিয়ে খামার শুরু করেন। বর্তমানে তার খামারে ৩০টি গরু রয়েছে। কঠোর পরিশ্রম ও সফল হওয়ার দৃঢ় মনোবল তাকে স্বাবলম্বী করে তুলেছে। তার এই সফলতা দেখে অনেকে গরু পালনে আগ্রহী হচ্ছেন।
জানা যায়, আব্দুল মমিন চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ পৌরসভার ১১ নং ওয়ার্ড রান্ধুনীমুড়া গ্রামের বাসিন্দা। ২০১৯ একটি গরু পালন করার মাধ্যমে যাত্রা শুরু করেন। তারপর ধীরে ধীরে একটি দুটি করে বর্তমানে তার খামারে ৩০টি গরু রয়েছে। ৮ শতাংশ জায়গার উপর গড়ে তোলেন ফয়শাল ডেইরী ফার্ম। খামার পরিচর্যায় কয়েকজন শ্রমিকও রেখেছেন। দৈনিক প্রায় দুইশত লিটার দুধ বিক্রি করে মাসে আয় লাখ টাকার উপরে।
খামারি আব্দুল মমিন বলেন, ২০১৯ সালে প্রবাস থেকে ফিরে আসি। বাড়িতে এসে ছোট পরিসরে ঘর তৈরী করে একটি গরু নিয়ে পালন করা শুরু করি। অনেক চরাই উতরাই পার করেছি। বর্তমানে আমার খামারে ৩০টি গরু রয়েছে। ফ্রিজিয়ান জাতের এই গাভী গুলো দৈনিক প্রায় ২০০ লিটার দুধ দেয়। পাইকাররা ফার্মে এসে দুধ নিয়ে যান।তিনি আরো বলেন, আগে মাসে প্রায় ২ লাখ টাকা আয় হতো। কিন্তু বর্তমানে গোখাদ্যের দাম বৃদ্ধিতে লাখ টাকার উপরে লাভ হচ্ছে না। তবে সরকারি ভাবে যদি সহযোগিতা বা উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিস থেকে ঔষুধপত্র পেলে আরো লাভের মুখ দেখতে পাবো।
আব্দুল মমিন আরো বলেন, বর্তমানে আমার খামারটি ১০ শতাংশ জায়গায়। এর পরিধি আরো বাড়াবো। তখন আরো বেশি দুধ উৎপাদন হবে। যা বিক্রি করে আমি বেশি লাভবান হতে পারবো। ৩জন শ্রমিক নিয়মিত খামার দেখাশোনা করে এবং গরুকে ঘাস, খৈল, ভূষিসহ নানা খাবার খাওয়ানোর কাজ করে।
পাইকার রহমতউল্ল্যাহ বলেন, আমি অনেকদিন যাবত ফয়শাল ডেইরী ফার্ম থেকে দুধ নিচ্ছি। খামার থেকে দুধ সংগ্রহ করে হাজীগঞ্জ বাজারের হোটেল ও বাসা বাড়িতে বিক্রি করি। এতে করে আমাদের পরিবার চলে।
তথ্য সুত্রঃ আধুনিক কৃষি খামার