জন্মের পর বাছুরের খাদ্য ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা কেমন হবে সে বিষয়ে ডেইরি খামারিদের সঠিক ধারণা থাকা দরকার। আমাদের দেশে বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে ব্যাপকহারে গরু পালন করা হয়ে থাকে। গরু পালনের মাধ্যমে অনেকেই এখন স্বাবলম্বী হচ্ছেন। আজকের এই লেখাতে আমরা জেনে নিব জন্মের পর বাছুরের খাদ্য ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে-
জন্মের পর বাছুরের খাদ্য ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনাঃ
বাছুর জম্মের পরপর ৩০ মিনিটের মধ্যে বাছুরকে শাল দুধ খাওয়াতে হবে,কারন প্রতি ১০ মিনিট পর পর শাল দুধের গুন কমতে থাকে,
এর পর বাছুরের ওজন নির্ণয় করে ২ মাস পর্যন্ত, শরীরের ওজনের দশ ভাগের এক ভাগ দুধ বা CMR বা কাপ মিল্ক রিপ্লেসার খাওয়াতে হবে,ওজন ২২ কেজি হলে দুধ খাবে ২.২ কেজি, ওজন ৪০ কেজি হলে দুধ খাবে ৪ কেজি,
৪র্থ দিন থেকে বাছুরকে মা থেকে আলাদা করে ফিডার দিয়ে দুধ ও পরিস্কার পানি পান করাতে হবে,এই সময় সে দৈনিক ওজন অনুযায়ী (২ মাস পর্যন্ত) ২.৫ – ৫ কেজি পর্যন্ত দুধ খেতে পারে,
পাশাপাশি স্বল্প পরিমান দানাদান বা ভুট্রা সুজির মত জিহ্বায় লাগিয়ে দিয়ে দানাদারের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে,
১৫-২০ দিন পর থেকে আস্তে আস্তে জাবর কাটতে শুরু করবে, এতে রুমেন, রেটিকুলাম, ওমেজাম ডেভলপ করতে থাকবে।
সে ১৫-২০ দিন পর কচি কাঁচা ঘাস খেতে শুরু করবে,এ সময় কখনোই বাছুরকে শুকনো খড় দেয়া যাবেনা,শুকনো খড় দিলে পেট বড় হয়ে যাবে, স্বাস্থ্য নষ্ট হবে,
৪৫-৬০ দিনে উইনিং প্রিয়ডে বাছুর শুকনো খড় খেতে শুরু করবে। শাল দুধের এ্যকশন কমে ৭ দিন পর থেকে বুছুরের ক্রান্তি কাল শুরু হয়।
৩০-৪৫ দিনে বাছুরের মৃত্যু হার সব চেয়ে বেশি,এ সময়কে বাছুরের ভারনারেবল লাইফ বলে। বাছুরকে শুকনা জায়গায় রাখতে হবে যাতে বাছুরের ঠান্ডা না লাগে।
৩ দিন পর কেঁচো কৃমি বা এসকারিস রোধো বাছুরকে আইভারমেকটিন গ্রুফের ইনজেকশন এসিমেক ১% ৩০ কেজির জন্য, চামড়ার নিচে ১ সি সি ইনজেকশন দিতে হবে।
১ মাস বয়সে ক্ষুরা টিকা দিতে হবে, ২১ দিন পর আবার ক্ষুরার বুুষ্টার ডোজ দিতে হবে,এর পর প্রতি ৬ মাসে এক বার ক্ষুরার টিকা দিতে হবে।
নিয়ম মেনে পরিমান মত ১২ সপ্তাহ পর্যন্ত বা ৮৪ দিন পর্যন্ত বাছুরকে মায়ের দুধ বা মিল্ক রিপ্লেসার খাওয়ালে বাছুর ৬ মাসের বাচ্ছার মত গ্রোথ হবে,রোগ কম হবে, মৃত্যু হার কমে যাবে।
প্রতি ৩ মাস পরপর বকনাকে কৃমিমুক্ত করতে হবে।
আরো পড়ুনঃ খাদ্যে বিষ মিশিয়ে গরু হত্যা, ক্ষতি ৫ লাখ টাকা
সূত্রঃ আধুনিক কৃষি খামার