ঈশ্বরদী উপজেলার লক্ষ্মীকুন্ডা ইউনিয়নের বহরমপুর গ্রামের আমিরুল ইসলাম প্রমাণিক গরু পালনে নিজের ভাগ্যের পরিবর্তন করলেন। বর্তমানে তার খামারে গরুর সংখ্যা ১৩৭টি।
জানা যায়, ১৯৯৪ সালে ১৪ হাজার ৬০০ টাকায় একটি শংকর জাতের গাভী কিনে লালন পালন শুরু করেন।সময়ের পরিক্রমায় আজ তিনি একজন সফল খামারি। বর্তমানে তার খামারে ৭০ টি গাভী রয়েছে। যা থেকে প্রতিদিন প্রায় ৫০০ লিটার দুধ পাচ্ছেন। স্থানীয় বাজারে যা বিক্রি করে ২৫ হাজার টাকা আয় করার পাশাপাশি বছরে প্রায় ৫০ লাখ টাকা আয় করছেন।
আমিরুল ইসলাম বলেন, আমার বাবা মৃত্যুর পর সংসারের সব দায়িত্ব এসে পরে আমার উপরে। আমার স্বপ্ন পূরণ করতে সবজি বিক্রি করে টাকা জমাতাম । আমার মায়ের জমানো টাকা এবং আমার সবজি বিক্রির জমানো টাকা দিয়ে একটি শংকর জাতের গাভী কিনি। প্রথমে একটি গাভী থেকে ৩টা বাচ্চা হয়। একটি ষাঁড় বাচ্চা বিক্রি করে গরুর ঘর তৈরি করি আর দুইটি বকনা বাচ্ছা থেকেই আমার সফলতার শুরু। বর্তমানে আমার খামারে মোট ১৩৭টি গরু আছে এর মধ্য ৭০টি গাভী থেকে প্রতিদিন ৫০০ লিটার দুধ হয়। বর্তমান প্রতি বছর খামার থেকে প্রায় ৫০ লাখ টাকা আয় হয়।
ঈশ্বরদী উপজেলার লক্ষ্মীকুন্ডা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান শরীফ জানান, লক্ষ্মীকুন্ডা ইউনিয়নে এখন যে পরিমাণ দুধ উৎপাদন হয়, সে পরিমাণ দুধ বিক্রির জায়গা নেই। তাই এই অঞ্চলে একটি দুগ্ধ শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা যায় এর পরিকল্পনা করা হচ্ছে।