মৌলভীবাজারের শেরপুরের মাছের মেলায় ৭৬ কেজি ওজনের একটি বাঘাইড় মাছ উঠেছে। বিক্রেতা মাছের দাম হাকছেন ২ লক্ষ টাকা। এ পর্যন্ত দাম উঠেছে ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা।
মেলার সবচেয়ে বড় এই বাঘাইড় মাছকে একনজর দেখতে বিভাগের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিনিয়ত দর্শকরা আসছেন। আবার কেউ কেউ দামও করছেন। বিক্রেতা বলছেন, দেড় লক্ষ টাকা ফেলে তারা মাছ বিক্রি করে দিবেন।
সিলেট বিভাগের চারটি জেলার মিলনস্থল মৌলভীবাজার সদর উপজেলার শেরপুরে আনুমানিক দেড়শ বছরের ঐতিহ্যবাহী ‘মাছের মেলা’। প্রতি বছর ১৪ জানুয়ারি পৌষ-সংক্রান্তি ও নবান্ন উৎসবকে কেন্দ্র করে আয়োজন করা হয় এই মেলার। করোনাভাইরাস ও ওমিক্রন সংক্রমণ ঝুঁকির কারণে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা থাকায় গেল দুই বছর মেলা বসেনি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়াতে এবার বসেছে ঐতিহ্যবাহী এই মেলা।
অন্যদিকে কাঠের তৈরি খাট, আলমারি, আলনাসহ নানান আসবাবপত্র নিয়েও বসেছেন কয়েকজন দোকানি। ব্যবসায়ীরা বলছেন, শনিবার দিনে মেলায় ভিড় বাড়বে। পৌষ সংক্রান্তি কেন্দ্র করে মাছের মেলার প্রচলন শুরু করেন জমিদার মথুর বাবু। শুরুতে মেলাটি সদর উপজেলার মনুমুখ এলাকায় হলেও পরবর্তী সময়ে উপজেলার শেরপুরে স্থানান্তর হয়।
মৌলভীবাজারের হাকালুকি, কাওয়াদিঘি, হাইল হাওর এবং মনু, ধলই, কুশিয়ারা নদীসহ বৃহত্তর সিলেটের বিভিন্ন হাওরের মাছের উপর নির্ভর করে প্রতিবছরই বসে এ মেলা। মৎসজীবীরা এ মেলায় মাছ বিক্রির জন্য ৫ থেকে ৬ মাস আগে থেকেই বড় বড় মাছ সংগ্রহ করে থাকেন। সেসব মাছ বিশেষ ব্যবস্থায় পানিতেই বাঁচিয়ে তাজা রাখা হয়।
মৌলভীবাজার জেলা মৎস্য অফিসার মিজানুর রহমান বলেন, গত বর্ষায় সিলেট বিভাগে বন্যা হওয়ায় সবকটি হাওর জলাশয়ে মাছের বিচরণ বৃদ্ধির কারণে প্রচুর দেশীয় প্রজাতির মাছের উৎপাদন হয়েছে। গত অর্থ বছরে মৌলভীবাজারে মাছের উৎপাদন ছিল ৪ হাজার ৫৫২ টন। এবার এর উৎপাদন আরও বেড়েছে।