পুকুরে পাঙ্গাস চাষে খাদ্য প্রয়োগ ও সঠিক পরিচর্যা করতে মৎস্য চাষিদের যেসব কাজ করতে হবে সেগুলো ভালোভাবে জানতে হবে। বর্তমানে আমাদের দেশে পুকুরে ব্যাপকহারে মাছ চাষ করা হচ্ছে। পুকুরে অনেকেই পাঙ্গাস মাছের চাষ করছেন। আসুন আজকের এ লেখায় আমরা জেনে নিব পুকুরে পাঙ্গাস চাষে খাদ্য প্রয়োগ ও সঠিক পরিচর্যা সম্পর্কে
-পুকুরে পাঙ্গাস চাষে খাদ্য প্রয়োগ ও সঠিক পরিচর্যাঃখাদ্য প্রয়োগঃ
মাছের দ্রুত বৃদ্ধির জন্য প্রাকৃতিক খাদ্যের পাশপাশি সম্পূরক খাবার সরবরাহ করতে হবে। গুনগত মানসম্পন্ন্ খাদ্য প্রদানের ওপরই পাঙ্গাসের বৃদ্ধির হার প্রত্যভাবে নির্ভরশীল। খাদ্যে গুনগত মানসম্পন্ন উপাদান ব্যবহার করতে হবে এবং প্রোটিনের পরিমান ২৮-৩২% নিশ্চিত করতে হবে।
মজুদকৃত মাছের বয়স ও দৈহিক ওজনের সঠিক হারে খাদ্য প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। অতিমাত্রায় খাদ্য ব্যবহার পরিহার করতে হবে। মাছ ছাড়ার পরের দিন থেকে মজুদকৃত মাছের প্রথম দিকে ১০ -১৫% হারে ও পরে মাসে মাসে ২ – ৩% কমিয়ে হারে প্রতিদিন সকালে (৫০%) ও বিকালে (৫০%) খাবার দিতে হবে। মাছ মজুদের পর প্রতি ১৫ দিনে একবার জাল টেনে মাছের নমুনায়নের মাধ্যমে গড় ওজন জেনে খাবারের পরিমাণ নির্ধারণ করতে হবে।
পাঙ্গাস চাষে পরিচর্যাঃ
মাঝে মাঝে জাল টেনে মাছের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হবে।
পুকুরের পানি দ্রুত কমে গেলে অন্য কোন উৎস হতে পানি দিয়ে ভরে দেয়ার ব্যবস্থা নিতে হবে অথবা পানি বেড়ে গিয়ে উপচে পড়ার সম্ভাবনা থাকলে অতিরিক্ত পানি বের করে দিতে হবে।
পুকুরের আগাছা সর্বদা পরিস্কার রাখতে হবে।
পানির স্বচ্ছতা ৮ সেন্টিমিটারের নিচে নেমে গেলে সার ও খাবার দেয়া বন্ধ রাখতে হবে।
পানিতে অক্সিজেনের অভাব হলে মাছ পানির উপরে উঠে খাবি খেতে থাকে। এ অবস্থায় পানিতে লাঠি পেটা করে বা সাঁতার কেটে ঢেউ সৃষ্টি করে পানিতে অক্সিজেনের পরিমাণ বাড়াতে হবে।
মাঝে মাঝে হররা টেনে পুকুরের তলায় বিষাক্ত গ্যাস দূর করার ব্যবস্থা নিতে হবে।
যে মাছগুলো বিক্রি বা খাওয়ার উপযোগী হয়ে যাবে সেগুলো ধরে ফেলতে হবে। তাহলে ছোট আকারের মাছগুলো বাড়ার সুযোগ পাবে।
সূত্র:আধুনিক কৃষি খামার