৮৬৭
গবাদিপশু হলো অবুঝ প্রাণী। আমাদের মতোই প্রাণ আছে অনুভূতিও আছে
কিন্তু সুখে-অসুখে আমাদের মতো বলে বেড়াতে পারে না। তাই তাদের লক্ষণ দেখেই বুঝে নিতে হবে কি হতে চলছে। গবাদিপশু যেমন আপনার পরিবারের অংশ তেমনই পরিবারের সদস্যদের মতো তাদের যত্ন নিতে হবে।
গলাফুলা এটি গবাদি পশুর ব্যাকটেরিয়া জনিত একটি মারাত্মক সংক্রামক রোগ। এই রোগে আক্রান্ত হলে পশুর বাঁচার সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে যায়। তাই লক্ষণ গুলো দেখা মাত্রই চিকিৎসার ব্যবস্থা নেয়া উচিত।
■ গলাফুলা রোগের লক্ষণ
● দেহের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়,
● মুখ দিয়ে লালা ও নাক দিয়ে সর্দি বের হয়,
● গলার নীচে, চোয়াল, বুক, পেট ও কানের অংশে পানি জমে যায়
ও ফুলে যায়। ফোলা অংশ শক্ত ও ব্যথাপূর্ণ থাকে। সূঁচ দিয়ে ছিদ্র করলে হলুদ বর্ণের তরল পর্দাথ বের হয়।
● শ্বাস-প্রশ্বাসে ভীষণ কষ্ট হয়। শ্বাস ত্যাগের সময় ঘড় ঘড় শব্দ হয়। তীব্র প্রকৃতির ক্ষেত্রে ২৪ ঘন্টায় মধ্যে মৃত্যু ঘটে।
গলাফুলা রোগ হলে করণীয়
● রোগাক্রান্ত পশুকে আলাদা রাখতে হবে,
● দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা নিতে হবে,
● বৎসরে একবার সুস্থ্য পশুকে টিকা দিতে হবে,
● পশুকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন স্থানে রাখতে হবে,
● পশুর বাসস্থানে জীবাণুনাশক ঔষধ ছিটাতে হবে,
● এই রোগ দুরারোগ্য এবং চিকিৎসা করে ভাল ফল পাওয়া কঠিন।
■ গলাফুলা রোগের চিকিৎসা
সালফানামাইড বা অক্সিটেট্রাসাইক্লিন অথবা উভয় জাতীয় ঔষধ নির্ধারিত মাত্রায় ৪ – ৫ দিন ব্যবহার করতে হবে। নিয়মিত পশুর পরিচর্যা করতে হবে।
এই সময় পশুর প্রতি একটু বেশী যত্নবান হতে হবে।
সূত্র:পশুপালন কেন্দ্র