গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জের রুবেল সিকদার বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে উপহার হিসেবে ৫ জোড়া কবুতর পান। আর সেই ৫ জোড়া কবুতর দিয়ে শুরু করে তার খামারে এখন সিরাজী, চিলা, রেস, বুম্বাই, মিশরীয় বুম্বাই, পাকিস্তানী কিং, মিশরীয় মেগপাই, ডায়মন্ড কিং, বিউটি কিং, দেশী বিদেশীসহ ১শ জোড়া কবুতর আসছে। বাড়ির আশপাশের প্রতিবেশি ও বন্ধু-বান্ধব তার কাছ থেকে কবুতর নিয়ে পালনে উদ্ধুদ্ধ হচ্ছেন।
জানা যায়, ৫ জোড়া কবুতরের জন্য ৩টি ছোট খাঁচা দিয়ে শুরু করেন। এরপর কবুতরের বংশ বৃদ্ধি হতে থাকেলে, তখন আরও কিছু টাকা খরচ করে কবুতরের জন্য সেট তৈরি করেন। এখন তার খামারে প্রায় সাড়ে ৩ থেকে ৪ লাখ টাকার কবুতর রয়েছে। প্রতি মাসে কবুতরের খাবার কিনতে ১০/১২ হাজার টাকা লাগে। কবুতর দেখা শোনা করার জন্য দুজন লোক রাখা হয়ছে। কবুতরের খাবার ও দুজন লোকের মজুরী বাদ দিয়ে প্রতি মাসে খামার থেকে প্রায় ৫০/৬০ হাজার টাকা আয় হয় তার।
রুবেল বলেন, আমি একটা সময় সংসার চালাতে হিমশিম খেতাম । বাজারে কিছু শাক সবজি বিক্রি করে যা টাকা পেতাম তাই দিয়ে সংসার চালাতাম। একদিন আমি আমার বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে যাই সেই বন্ধু আমাকে ৫ জোড়া কবুতর দেয়। আর সেখান থেকেই আমার পথ চলা শুরু। এখন আমার খামারে প্রায় ১শ জোড়া কবুতর আছে। আমার খামারে সিরাজী, চিলা, রেস, বুম্বাই, মিশরীয় বুম্বাই, পাকিস্তানী কিং, মিশরীয় মেগপাই, ডায়মন্ড কিং, বিউটি কিং, দেশীসহ বিভিন্ন জাতের কবুতর আছে। যার সর্বোচ্চ ৩০ হাজার ও সর্বোনিম্ন ১ হাজার টাকা দামের বিভিন্ন জাতের কবুতর আছে । সব সময় কবুতরের খামার পরিচর্চার জন্য দুজন লোক আছে । এছাড়াও আমি গরু, ছাগল ও মুরগীর পালন করে থাকি।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ ইউসুফ হাবিব বলেন, রুবেল একজন সফল উদ্যোক্তা। প্রতিবেশি ও বন্ধু-বান্ধব তার কাছ থেকে কবুতর নিয়ে পালনে উদ্ধুদ্ধ হচ্ছেন। রুবেল যখনি কোনো সমস্যা নিয়ে যোগাযোগ করেন, আমরা তা সমাধানের চেষ্টা করি। এছাড়াও আমরা কবুতরের টিকা দান প্রয়োজন হলে পরামর্শ দিয়ে থাকি।