জান্নাতুল ফেরদৌস (বরিশাল)
৫টি ছাগীর সমন্বিত খামারে আয়-ব্যয়ের হিসাব করে ছাগলের খামার করলে সহজেই লাভবান হওয়া যায়। পরিকল্পিত উপায়ে ছাগলের খামার গড়ে তুললে খামারে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। ছাগলের খামার গড়ে তুলে অনেকেই হিসাব রাখেন না। ফলে অনেক সময় লোকসানে পড়েন। আসুন জেনে নেই ৫টি ছাগীর সমন্বিত খামারে আয়-ব্যয়ের হিসাব সম্পর্কে-
৫টি ছাগীর সমন্বিত খামারে আয়-ব্যয়ের হিসাবঃ
একটি খামারে ৫টি ছাগী পালনের মোট আয়-ব্যয় সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত দেওয়া হল-
প্রয়োজনীয় মূলধনঃ
১টি ছাগীর মূল্য যদি হয় ২৫০০.০০ টাকা।
তাহলে, ৫টি ছাগীর মূল্য হবে ২৫০০.০০ × ৫ = ১২৫০০.০০ টাকা।
পালন খরচঃ
১টি ছাগীর প্রত্যেকবার গর্ভ ধারণের শেষ ১ মাস ও বাচ্চা প্রসবের প্রথম ১ মাস দানাদার খাদ্য খাওয়ানোর প্রয়োজন হয়। ছাগী প্রতি দৈনিক ৩০০ গ্রাম খাদ্য সরবরাহ করা হলে ১ টি ছাগীর জন্য বছরে দানাদার খাদ্য প্রয়োজন হবে,
(৩০+৩০) × ৩০০ গ্রাম × ২ = ৩৬ কেজি।
১ কেজি খাদ্য ১৫/- টাকা হলে ১ টি ছাগীর জন্য খাদ্য খরচ হবে, ৫৪০/- টাকা।
তাহলে, ৫টি ছাগীর জন্য খাদ্য খরচ হবে = ৫৪০ × ৫ = ২,৭০০.০০ টাকা ।
আয়ের হিসাবঃ
যদি ১ মাসের মধ্যে গর্ভবর্তী হলে ৬ মাস পরে ২ টি করে মোট ১০টি বাচ্চা এবং বছর শেষে আরও ১০ টি বাচ্চা পাওয়া যাবে।
ছাগল কেনার ১৫ মাস পরে ১০টি বাচ্চা দৈনিক পূর্ণতা লাভ করবে এবং বাজারজাত করার উপযোগী হবে। প্রথমে ১৫ মাস পরে পূর্ণতা প্রাপ্ত ১০টি ছাগল বিক্রি করা হবে। ১ টি ছাগলের দাম ১,৫০০.০০ টাকা হলে ১০ টি ছাগলের দাম হবে,
২,০০০.০০ × ১০ = ২০,০০০.০০টাকা।
নিট মুনাফাঃ
খরচ বাদ দিয়ে নিট মুনাফা হবে,
২০,০০০.০০ – ২,৭৫০.০০ = ১৭,২৫০.০০ টাকা।
এই নিট মুনাফা থেকে ৫ টি ছাগীর দাম পরিশোধ করলেও ১৫ মাস পরে হবে,
১৭,২৫০.০০ – ১২,৫০০.০০ = ৪৭৫০ টাকা।
এছাড়াও ৫টি ছাগী ও ১০টি বাচ্চার মালিক হওয়া যাবে। এই পদ্ধতিতে কম পুঁজিতে ও তুলনামূলক কম পরিশ্রম করে সহজেই লাভবান হওয়া যায়। আর এভাবেই আস্তে আস্তে লাভের টাকা দিয়েই ছাগলের খামার বড় হয়ে উঠবে।
কপিঃ আধুনিক কৃষি খামার